মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল
- প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
- / ৪৯ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল। আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী আদালতে এ রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।
তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।
আদালতে আজ মামলার বাদী তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেছেন। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন বিধায় আজ রায় হচ্ছে না।
এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত ও মো. সলিম উল্লাহ (খসরু) এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।
তিন্নির চাচা রেজাউল করিম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হয়েছে আমরা জানতাম না। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা পত্রিকায় খবর দেখে আজ আদালতে এসেছি।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ। গত ২৬ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক তা পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন ১৫ নভেম্বর।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওইদিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।
এদিকে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়।
মামলার সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।