বিনোদন ডেস্ক : হলিউডের বিখ্যাত তারকাদের অনেকেই এখনো বিয়ে করেননি। অথচ যার যার সোনালি সময়ে ভক্তদের ক্রাশ ছিলেন তারা। বিয়ে করা তাদের জন্য কোনো বিষয়ই ছিল না। তবু তারা আজতক বিয়ে করেননি। যদিও কেউই একা ছিলেন না কখনো। ধনসম্পদ, খ্যাতি সব থাকা সত্ত্বেও কেন তারা বিয়ে করেননি। চলুন দেখে নেওয়া যাক, তারা কারা?

গোল্ডি হন : ক্যাকটাস ফ্লাওয়ার সিনেমায় অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব ও একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী অভিনেত্রী গোল্ডি হন। সে সময়ের হার্টথ্রব অভিনেতার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ১৯৮৩ সালে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে এই তিরিশ বছরে চার সন্তানের মালিক হলেও তারা কেউই বিয়ের ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখাননি।

শেরিল ক্রো : আমেরিকার বিখ্যাত গায়িকা শেরিল ক্রো সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের মালিক। রক, পপ, কান্ট্রি, ফোক ও ব্লুজ গানে মন গলিয়েছেন ভক্তদের। আর নিজের মন গলেছিল বিশ্ববিখ্যাত সাইক্লিস্ট ল্যান্স আর্মস্ট্রংয়ের প্রেমে। সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় ভক্তদের নেতিবাচক আলোচনায় ভেঙে গিয়েছিল সে সম্পর্ক। শেষমেশ দুজনের কেউই বিয়ে করেননি।

অপরাহ ইউনফ্রে : ছোটবেলা থেকেই বিবাহিত জীবনের প্রতি অনুৎসাহী হয়ে ওঠেন আমেরিকার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে। যদিও স্থানীয় ব্যবসায়ী স্টেডম্যান গ্রাহামের সঙ্গে ৩০ বছর সম্পর্ক রয়েছে তার। বিয়েতে বিচ্ছেদ আছে বলে তারা গাঁটছড়া বাঁধার স্বপ্ন দেখেন না।

জ্যাকুলিন বিসেট : ষাটের দশকে দ্য সুইট রাইড সিনেমার মাধ্যমে সাড়া জাগানো অভিনেত্রী জ্যাকুলিন বিসেট। তার সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে প্রেম এসেছিল বহুবার। কমপক্ষে পাঁচজন অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কখনো বিয়ে করার চিন্তা মাথায় আসেনি তার।

শার্লিজ থেরন : দক্ষিণ আফ্রিকান আমেরিকান অভিনেত্রী প্রযোজক শার্লিজ থেরন উচ্চতম পারিশ্রমিক প্রাপ্তদের একজন। গোল্ডেন গ্লোব ও একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী এ তারকা ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সময় কাটিয়েছিলেন আইরিশ অভিনেতা স্টুয়ার্ট টাউনসেন্ডের সঙ্গে। সে সময়ের দুই সন্তান নিয়ে কাটিয়ে দেন বাকি জীবন।

লেডি গাগা : একই বছরে গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, গ্র্যামি ও অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন আমেরিকান গায়িকা লেডি গাগা। অভিনেতা টেলর কিনির সঙ্গে বাগদান হলেও বিয়ে হয়নি তাদের। এরপর সম্পর্ক গড়েছিলেন আরও সতীর্থদের সঙ্গে। সবাইকেই বন্ধু হিসাবে পরিচয় দিতে ভালো লাগে গাগার।

ডায়ান কিটন : তার সময়ে বহু পুরুষ পাগল করা সুন্দরী ছিলেন অভিনেত্রী ডায়ান কিটন, ১৯৭৭ সালে যখন তার এনি হল সিনেমাটি মুক্তি পায়। ওয়ারেন বিটি, জ্যাক নিকলসন, আল পাচিনো, কিয়ানু রিভসের মতো কয়েকজন হাইপ্রোফাইল তারকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়লেও তার ভাষায় ‘স্বাধীনতা’ বিসর্জন দেননি তিনি। তাই আজও অবিবাহিত।

সেলেনা গোমেজ : আমেরিকান গায়িকা অভিনেত্রী সেলিনা গোমেজ ষোলোটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর অধিকারী। পুরস্কারের ঝুলিও অনেক ভারী। ২০০২ সাল থেকে গড়া দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিটেফোঁটা ডেটিংয়ে জড়ালেও আজ পর্যন্ত অবিবাহিতই রয়ে গেছেন।

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও : অসংখ্য পুরস্কারে ক্যারিয়ার সাজিয়েছেন টাইটানিকবয় খ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জিসেল বন্ডচেন, বার রাফায়েলি, টনি গার্ন, ক্যামিলা মরোনের সঙ্গে ডেটিংয়ের খবর থাকলেও আজ পর্যন্ত বিয়ে করেননি এ তারকা।

কাইলি মিনোগ : অস্ট্রেলিয়ান গায়িকা-অভিনেত্রী কাইলি মিনোগ ক্যারিয়ার উত্তোরণের পাশাপাশি স্তন ক্যানসারসহ জীবনের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বেঁচে আছেন। ব্রিটিশ অভিনেতা জোশুয়া সাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও তা টেকেনি। তাই অবিবাহিত রয়ে গেছেন আজও।

উইনোনা রাইডার : হলিউডের প্রতিভাবান সুন্দরীদের অন্যতম উইনোনা রাইডার। ১৯৮৯ সাল থেকে অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। সে সম্পর্ক টিকেছিল চার বছর। এরপর ২০১১ সাল থেকে স্কট ম্যাকিনলে হানের সঙ্গে ডেটিং করছেন। তবে তারা এখনো বিয়ে করেননি।

জেনিফার লরেন্স : বর্তমানে হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে ফোর্বসের ১০০ সেলেবিটি এবং ২০১৩ সালে টাইমের প্রভাবশালী ১০০ তালিকায় স্থান পাওয়া এ অভিনেত্রী এক্স-মেন কস্টার নিকোলাসের সঙ্গে ডেটিং করলেও তা ভেঙে যায়। পরে পরিচালক ড্যারেন অ্যারোনোফস্কির সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয়। শেষমেশ তার কথা, ‘আমার প্রেমের জীবন অস্তিত্বহীন। বিয়ে তো অনেক দূরের ব্যাপার’।

এমা ওয়াটসন : ফোর্বস ও ভ্যানিটি ফেয়ারের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এবং টাইমের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন ফরাসি অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। লিঙ্গ সমতা নিয়ে প্রচারণা চালানো এ অভিনেত্রী জাতিসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসেডরও নির্বাচিত হন। পরপর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ডেটিং করলেও তিনি এখনো ‘সঠিক’ প্রেমের সন্ধানে রয়েছেন। সূত্র : যুগান্তর