বিব্রত পরীমনি, আতঙ্কিত শিশু রাজ্য
- প্রকাশের সময় : ০১:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মা’ সিনেমার একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন পরীমনি। প্রদর্শনী শেষে বের হওয়ার সময় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবাররা পরীমনির পথ আটকে ধরেন। এ সময় লাইট ক্যামেরার প্রচণ্ড শোরগোলে ভয় পেয়ে যায় পরীমনি-শরীফুল রাজের সন্তান রাজ্য। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেসবুকে পরীমনি বলেন, ‘‘আজ আমি একসাথে অনেক কষ্ট আর অনেক আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরলাম ‘মা’ সিনেমা দেখতে গিয়ে! কষ্ট পেয়েছি, কারণ আমার বাচ্চাটা অনেক ভয় পেয়েছে। রাজ্য যখন অনেক ছোট তখন থেকেই আমি ওকে নিয়ে হলে গিয়ে ছবি দেখেছি অনেকবার। শো শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছি সব সময় সুন্দর-সুশৃঙ্খল পরিবেশে। কিন্তু আজকে এমন উচ্ছৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করল কেউ কেউ, তাতে বাজেভাবে আমার বাচ্চাটা ভয় পেল।’’ ক্যামেরা পরীমনিকে আটকে দেয়, অনুরোধ সত্ত্বেও পথ ছাড়েনি তারা।
আরোও পড়ুন । ‘এটা কোনো আপত্তিকর ভিডিও না’
পরীমনি বলেন, ‘কত কাছের মানুষজনকে দাওয়াত করে একটা হ্যালোও করতে পারি নাই তাদের সাথে আমি! অথচ আমি আপনাদের সবার সাথে সিনেমা দেখবো, কথা বলবো বলেই তো গিয়েছিলাম। হল থেকে বেরোনোর সিঁড়িটার মুখে এত এত ক্যামেরা আর লাইট দিয়ে আটকে রাখলেন কেউ কেউ। আমি বারবার রিকোয়েস্ট করলাম বের হওয়ার পথটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।’
পুরো বিষয়টায় সহনশীল থাকা যেত উল্লেখ করে পরীমনি বলেন, আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলছিল আমাকে পথ ছেড়ে দিয়ে লবিতে ক্যামেরা সেট করার জন্য। এই নিয়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করলেন, যেটাতে বাচ্চাটা ভয় পেয়ে গেল। আপনারা বাচ্চাটার জন্য একটু সহনশীল হতে পারতেন। কেন যে এমন করলেন! আর খুশি এই জন্য যে আপনাদের মধ্যেই কত মানুষ আমাকে মন থেকেই কত ভালোবাসেন, কেয়ার করেন। থ্যাংক ইউ।’
বুধবার সন্ধ্যায় পরীমনি ইউটিউবারদের দ্বারা রীতিমতো হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এই ঘটনার বিশদ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন কণ্ঠশিল্পী ও কথাসাহিত্যিক লুৎফর হাসান।
ঘুড়িখ্যাত এই গায়ক বলেন, ‘সিনেমা চলাকালেই একঝাঁক ইউটিউবার এসে তাকে ঘিরে ধরল। ইউটিউবার এ জন্য বলছি, সাংবাদিকদের সবাইকে তো চিনি। সাংবাদিকরা ভীষণ বিব্রত ও অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন। ইউটিউবারদের মধ্যে একজনও মূল ধারার সাংবাদিক ছিল না। তারা এমন ভাব দেখাচ্ছিল যে পরীমনি তাদের পরিচিত, এটা তারা বোঝাতে চাইছিল।’ শিশু রাজ্যের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, “তারা ছোট্ট শিশুটার চোখেমুখে ফ্ল্যাশের পর ফ্ল্যাশ ফেলার আগে একবারও ভাবল না, বাচ্চাটা একেবারেই অবুঝ। এ রকম উপর্যুপরি লাইটে বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে। তাদের দরকার কনটেন্ট। পরী যতক্ষণ ছিলেন, ইউটিউবারেরা যা করল, সেটা চূড়ান্ত বিভীষিকা। অনেকবার মনে হচ্ছিল, বেরিয়ে যাই। কিন্তু সিনেমাটা দেখেই যাব বলে চুপ করে ‘খিঁচ মেরে’ বসে রইলাম। সিনেমা শেষে লাইট জ্বলে উঠতেই যে ভয়াবহ দৃশ্য, এ রকম বিভীষিকার অভিজ্ঞতা আমার নাই বললেই চলে। যা হোক, পরীমনি চলে গেলেন এদের হাত থেকে নিজের বাচ্চার পরিত্রাণের জন্য। একজন মা হিসেবে নিশ্চয়ই তিনি বুঝতে পেরেছেন, এই তথাকথিত মানুষগুলো কোনো বাচ্চার সমস্যা বুঝতে পারবে না।’
ফেসবুক হ্যান্ডেলে লুৎফর হাসান বলেন, ‘পরী চলে যাবার পর আমি সেই ইউটিউবারদের দেখলাম মনোযোগে। কী অদ্ভুত! অবিকল মানুষের মতো দেখতে। অথচ তারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। যা হোক, পরীর জন্য শুভ কামনা। আশা রাখি তিনি এরপর কোথাও গেলে নিজের সন্তানকে এসব কনটেন্ট ক্রিয়েটরের হাত থেকে নিরাপদে রাখবেন।’ সূত্র : কালের কণ্ঠ
বেলী/হককথা