ঢাকা: না ফেরার দেশে চলে গেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি। ২০ মার্চ রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাবার কবরের পাশে। ২১ মার্চ সোমবার দুপুর পৌনে দুইটার পর উপজেলার দত্তরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দত্তরপাড়ার নিজ বাড়ির সামনে মসজিদের মাঠে তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি দীর্ঘদিন ভারতের চেন্নাইয়ের এমআইওটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে তার মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ২৯ জুলাই চেন্নাইয়ের একই হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপর সুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে বেশ কয়েকদিন ছিলেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটছিল তার। এরপর মস্তিষ্কে পানি জমায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন দিতি। দ্রুত দিতিকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন।
২০ মার্চ রোববার বিকাল চারটায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। পরদিন সোমবার সকালে দিতির মরদেহ এফডিসিতে নেয়া হয়। সেখানে তার চলচ্চিত্র সহকর্মী, সাংবাদিক ও ভক্তরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ সোনারগাঁওয়ে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। নতুন মুখের সন্ধান থেকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান এবং তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি শতাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন।