নিউইয়র্ক ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বলিউড ছেড়ে অক্ষয়ের নায়িকা এখন বৌদ্ধ ভিক্ষু!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩২ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড নায়িকা বারখা মদন। রাভিনা ট্যান্ডন, মাধুরী দীক্ষিত এবং ঐশ্বরিয়াদের সঙ্গে তার নামও উচ্চারিত হত এক সময়ে। জানলে অবাক হবেন বলিউডের রঙিন দুনিয়া ছেড়ে এই বারখা এখন সন্যাসী জীবন বেছে নিয়েছেন। তার পরিচয় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে।

১৯৯৪ সালে ভারতে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ছিলেন বারখা মদন। সে সময় সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে রানার-আপও হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে ‘খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। প্রথম সিনেমাতেই অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন বারখা। এই সিনেমায় আরো ছিলেন—রেখা ও রাভিনা ট্যান্ডন। যদিও সিনেমাটি বেশ সাড়া ফেললেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি বারখা।

সাফল্যের দেখা পেতে এই অভিনেত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় বেশ কয়েক বছর। ২০০৩ সালে ‘ভূত’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই নায়িকা। তবে এতে ভূতের চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। রাম গোপাল ভার্মা পরিচালিত এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন— অজয় দেবগন, উর্মিলা মাতন্ডকর, রেখা প্রমুখ।

মাঝের সময়টাতে ‘ড্রাইভিং মিস পালমেন’ (১৯৯৬) নামের একটি ইন্দো-ডাচ এবং হিন্দি ভাষার ‘তেরা মেরা পেয়ার’ (১৯৯৯) সিনেমাতেও অভিনয় করেন বারখা। পরে ‘সময়: হোয়েন টাইম স্ট্রাইকস’, (২০০৩), ‘সোচ লো’ (২০০৩), ‘সুরখাব’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করলেও নায়িকা হিসেবে খুব বেশি নাম ডাক করতে পারেননি বারখা। যদিও টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। প্রায় ২০টির মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।

সিনেমা নির্মাণেও আগ্রহী হয়েছিলেন বারখা। চালু করেছিলেন নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন। এই সময় তিনি বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠ পরিদর্শন করতেন। ধীরে ধীরে শোবিজ দুনিয়ার প্রতি তার আগ্রহে ভাটা পড়ে। দালাই লামার অনুসারী হন। ২০১২ সালের নভেম্বরে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন। নাম পাল্টে রাখেন গ্যালটেন সামটেন।

তবে নতুন জীবন নিয়ে মোটেও আক্ষেপ নেই বারখার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘এই জীবন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কোনো ভুল করিনি। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত।’

হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বলিউড ছেড়ে অক্ষয়ের নায়িকা এখন বৌদ্ধ ভিক্ষু!

প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড নায়িকা বারখা মদন। রাভিনা ট্যান্ডন, মাধুরী দীক্ষিত এবং ঐশ্বরিয়াদের সঙ্গে তার নামও উচ্চারিত হত এক সময়ে। জানলে অবাক হবেন বলিউডের রঙিন দুনিয়া ছেড়ে এই বারখা এখন সন্যাসী জীবন বেছে নিয়েছেন। তার পরিচয় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে।

১৯৯৪ সালে ভারতে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ছিলেন বারখা মদন। সে সময় সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে রানার-আপও হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে ‘খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। প্রথম সিনেমাতেই অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন বারখা। এই সিনেমায় আরো ছিলেন—রেখা ও রাভিনা ট্যান্ডন। যদিও সিনেমাটি বেশ সাড়া ফেললেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি বারখা।

সাফল্যের দেখা পেতে এই অভিনেত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় বেশ কয়েক বছর। ২০০৩ সালে ‘ভূত’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই নায়িকা। তবে এতে ভূতের চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। রাম গোপাল ভার্মা পরিচালিত এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন— অজয় দেবগন, উর্মিলা মাতন্ডকর, রেখা প্রমুখ।

মাঝের সময়টাতে ‘ড্রাইভিং মিস পালমেন’ (১৯৯৬) নামের একটি ইন্দো-ডাচ এবং হিন্দি ভাষার ‘তেরা মেরা পেয়ার’ (১৯৯৯) সিনেমাতেও অভিনয় করেন বারখা। পরে ‘সময়: হোয়েন টাইম স্ট্রাইকস’, (২০০৩), ‘সোচ লো’ (২০০৩), ‘সুরখাব’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করলেও নায়িকা হিসেবে খুব বেশি নাম ডাক করতে পারেননি বারখা। যদিও টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। প্রায় ২০টির মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।

সিনেমা নির্মাণেও আগ্রহী হয়েছিলেন বারখা। চালু করেছিলেন নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন। এই সময় তিনি বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠ পরিদর্শন করতেন। ধীরে ধীরে শোবিজ দুনিয়ার প্রতি তার আগ্রহে ভাটা পড়ে। দালাই লামার অনুসারী হন। ২০১২ সালের নভেম্বরে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন। নাম পাল্টে রাখেন গ্যালটেন সামটেন।

তবে নতুন জীবন নিয়ে মোটেও আক্ষেপ নেই বারখার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘এই জীবন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কোনো ভুল করিনি। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত।’

হককথা/এমউএ