নিউইয়র্ক ১০:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপা’র বৈশাখী উৎসব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৯৩২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: উৎসবমুখর পরিবেশ আর বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈশাখ বরণ করলো প্রবাসের সনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা)। এই উপলক্ষ্যে ২৩ এপ্রিল রোববার সিটির এস্টোরিয়াস্থ বিপা কার্যালয়ের সামনে (৩৭ এভিনিউ) খোলা রাস্তায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা, আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রতিযোগিতাতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ, শুভেচ্ছা বক্তব্য আর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. গুলশান আলা কাজী। তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রার গ্র্যান্ড মার্শালও ছিলেন। এছাড়া শোভাযাত্রার মার্শাল ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আমীন ও চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া। খবর ইউএনএ’র।
অপরাহ্নে বিপা কার্যালয়ের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রটি বের হয়ে ৩৭ এভিনিউ হয়ে ৩৬ এভিনিউ আর ২৮ ষ্ট্রীট ঘুরে পুনরায় ৩৭ এভিনিউতে এসে শেষ হয়। জাতীয় পতাকা আর রং বে রং-এর ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিপা’র শিক্ষার্থী, অভিভাবক আর প্রবাসী বাংলাদেশীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এছাড়াও শোযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন অতিথিবৃন্দ। সবার অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য হয়ে উঠে শোভাযাত্রাটি এবং দেশী-বিদেশী সবার দৃষ্টি কাড়ে।
শোভাযাত্রা শেষে মূল মঞ্চে অতিথিবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত আবৃত্তি, অংকন, বাংলা কথোপকথন, বৈশাখী আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। ড. গুলশান আলা কাজী, রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম ও বিচারক পারভীন সুলতানা বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ড. গুলশান আলা কাজী তার বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ আর আমেরিকার বসন্তের রঙিন শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্ক শহরে আজ বইছে উৎসবের ঢল। আজ এখানে বাংলাদেশ এবং মার্কিন বাংলাদেশীরা হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন জানাচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে। অফুরান ভালোবাসার পরাগ ছড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ আমেরিকান সখ্যতার কথা বলছে। আমি সিটির মেয়রকে এবং নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্ণরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন সমগ্র বিশ্বের বৈচিত্র কে উদার আহ্বানে আলিঙ্গণ জানাবার জন্য। পৃথিবী সুন্দর হোক, শান্তিময় হোক, হিংসা বিদ্বেষকে ছাপিয়ে বেজে উঠুক একতা ও প্রশান্তির গান, ভালবাসার গান।
তিনি বলেন, আজকের এই উৎসব মুখর পরিবেশে বিপা পঁচিশ বছরে পদার্পন করলো। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পূর্বে সুর, ছন্দ, নৃত্য, সঙ্গীত ও বাংলা শিল্প সাহিত্যের রত্ম ভান্ডার নিয়ে বিপা রোপন করেছিল একটি ছোট্ট বীজ নিউইয়র্ক শহরে, আজ সেই বীজ থেকেই ফুল, ফল ও লতায় পাতায় সমৃদ্ধ বিশাল মহীরুহ তার কোমল ¯িœগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। শিশু কিশোরদের পদচারণায়, নৃত্য লালিতে আর সঙ্গীতের মূর্ছনায় আজ আকাশ বাতাস মুখরিত। বিপাকে আমি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
তিনি বলেন, শিল্পকলা ও সুন্দর জীবনাদর্শন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করে, জীবনে চলার পথে দুর্গম চড়াই উৎরাই পার হয়ে সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে শেখায়। মানুষের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে। ভালোবাসতে শেকায়। পৃথিবীকে ভালোবাসতে শেখায় এবং একই সাথে অন্যায়কে রুখে দাঁড়াবার জন্য শক্তি ও সাহস যোগায়। অতএব, প্রত্যেকটি শিমু কিশোরের জন্য এবং প্রত্যেক পেশাজীবীর জন্য শিল্পকলা ও সুন্দর জীবনাদর্শ তাদের পলার পথের সুহৃদ বন্ধু। তাই বিপার এই মহতী উদ্যোগ যার মাধ্যমে মানুষের সুকোমল সত্তাকে জাগিয়ে তোলা যায়, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
বিপার কর্মকর্তারা যাদের দূরদর্শিতা নিবিঢ় একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই যাত্রা, এই দীর্ঘ পথচলা সফল হয়েছে আমি তাঁদের সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষ করে সেলিমা ইসলাম ও এনি ফেরদৌসকে তাদের দূরদর্শিতার ও বলিষ্ঠ নেত্রীত্বের জন্য জানাই সাধুবাদ। ছোট্ট সোনামনিরা যারা তাদের নিবিঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসা দিয়ে এই স্কুলের প্রশিক্ষণ থেকে শিক্ষা অর্জন করছে, তাদের সকলকে জানাই অফুরন্ত আদর ও ভালোবাসা।
বিপা তার যাত্রা পথে আরও সফলতা অর্জন করবে তার সুর ছন্দের মূর্ছনায় চারিদিক ঝংকৃত করবে আমি সেই কামনা করি। এর দীর্ঘ যাত্রাপথ শুভ হোক। গৌরবময় হোক, সুন্দর হোক। আজ এখানে বিপার ছাত্র ছাত্রীরা এক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান উপহার দিবে। তাদের সকলকে আমি জানাই আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাকে আজ এখানে আমন্ত্রণ জানাবার জন্য আমি বিপাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। এই মহতী উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিপার বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের বৈশাখী শোভাযাত্রাকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। আমাদের জীবনের সকল আশংকা, অসত্য, অসুন্দর আর অশুভকে দূর করে মঙ্গল শোভাযাত্রা সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে অসাম্প্রদায়িক দেশ। তিনি আগামীতে ম্যানহাটানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করার জন্য বিপার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ম্যানহাটানে এমন আয়োজনে বাঙালীর ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বিপা একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিপা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য লালন করার পাশাপাশি প্রবাসের নতুন প্রজন্মকে বাঙালী শিল্প-সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে তাদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ধারনাই প্রবাসে প্রস্ফুটিত হয়েছে। কিশেষ করে শোভাযাত্রার শৃঙ্খলাবোধ আমদেরকে মুগ্ধ করেছে। আর এতে সমগ্র বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
সাংস্কৃতিক পর্বে বিপার শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপা’র বৈশাখী উৎসব

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

নিউইয়র্ক: উৎসবমুখর পরিবেশ আর বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈশাখ বরণ করলো প্রবাসের সনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা)। এই উপলক্ষ্যে ২৩ এপ্রিল রোববার সিটির এস্টোরিয়াস্থ বিপা কার্যালয়ের সামনে (৩৭ এভিনিউ) খোলা রাস্তায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা, আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রতিযোগিতাতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ, শুভেচ্ছা বক্তব্য আর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. গুলশান আলা কাজী। তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রার গ্র্যান্ড মার্শালও ছিলেন। এছাড়া শোভাযাত্রার মার্শাল ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আমীন ও চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া। খবর ইউএনএ’র।
অপরাহ্নে বিপা কার্যালয়ের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রটি বের হয়ে ৩৭ এভিনিউ হয়ে ৩৬ এভিনিউ আর ২৮ ষ্ট্রীট ঘুরে পুনরায় ৩৭ এভিনিউতে এসে শেষ হয়। জাতীয় পতাকা আর রং বে রং-এর ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিপা’র শিক্ষার্থী, অভিভাবক আর প্রবাসী বাংলাদেশীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এছাড়াও শোযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন অতিথিবৃন্দ। সবার অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য হয়ে উঠে শোভাযাত্রাটি এবং দেশী-বিদেশী সবার দৃষ্টি কাড়ে।
শোভাযাত্রা শেষে মূল মঞ্চে অতিথিবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত আবৃত্তি, অংকন, বাংলা কথোপকথন, বৈশাখী আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। ড. গুলশান আলা কাজী, রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম ও বিচারক পারভীন সুলতানা বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ড. গুলশান আলা কাজী তার বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ আর আমেরিকার বসন্তের রঙিন শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্ক শহরে আজ বইছে উৎসবের ঢল। আজ এখানে বাংলাদেশ এবং মার্কিন বাংলাদেশীরা হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন জানাচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে। অফুরান ভালোবাসার পরাগ ছড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ আমেরিকান সখ্যতার কথা বলছে। আমি সিটির মেয়রকে এবং নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্ণরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন সমগ্র বিশ্বের বৈচিত্র কে উদার আহ্বানে আলিঙ্গণ জানাবার জন্য। পৃথিবী সুন্দর হোক, শান্তিময় হোক, হিংসা বিদ্বেষকে ছাপিয়ে বেজে উঠুক একতা ও প্রশান্তির গান, ভালবাসার গান।
তিনি বলেন, আজকের এই উৎসব মুখর পরিবেশে বিপা পঁচিশ বছরে পদার্পন করলো। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পূর্বে সুর, ছন্দ, নৃত্য, সঙ্গীত ও বাংলা শিল্প সাহিত্যের রত্ম ভান্ডার নিয়ে বিপা রোপন করেছিল একটি ছোট্ট বীজ নিউইয়র্ক শহরে, আজ সেই বীজ থেকেই ফুল, ফল ও লতায় পাতায় সমৃদ্ধ বিশাল মহীরুহ তার কোমল ¯িœগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। শিশু কিশোরদের পদচারণায়, নৃত্য লালিতে আর সঙ্গীতের মূর্ছনায় আজ আকাশ বাতাস মুখরিত। বিপাকে আমি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
তিনি বলেন, শিল্পকলা ও সুন্দর জীবনাদর্শন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করে, জীবনে চলার পথে দুর্গম চড়াই উৎরাই পার হয়ে সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে শেখায়। মানুষের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে। ভালোবাসতে শেকায়। পৃথিবীকে ভালোবাসতে শেখায় এবং একই সাথে অন্যায়কে রুখে দাঁড়াবার জন্য শক্তি ও সাহস যোগায়। অতএব, প্রত্যেকটি শিমু কিশোরের জন্য এবং প্রত্যেক পেশাজীবীর জন্য শিল্পকলা ও সুন্দর জীবনাদর্শ তাদের পলার পথের সুহৃদ বন্ধু। তাই বিপার এই মহতী উদ্যোগ যার মাধ্যমে মানুষের সুকোমল সত্তাকে জাগিয়ে তোলা যায়, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
বিপার কর্মকর্তারা যাদের দূরদর্শিতা নিবিঢ় একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই যাত্রা, এই দীর্ঘ পথচলা সফল হয়েছে আমি তাঁদের সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষ করে সেলিমা ইসলাম ও এনি ফেরদৌসকে তাদের দূরদর্শিতার ও বলিষ্ঠ নেত্রীত্বের জন্য জানাই সাধুবাদ। ছোট্ট সোনামনিরা যারা তাদের নিবিঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসা দিয়ে এই স্কুলের প্রশিক্ষণ থেকে শিক্ষা অর্জন করছে, তাদের সকলকে জানাই অফুরন্ত আদর ও ভালোবাসা।
বিপা তার যাত্রা পথে আরও সফলতা অর্জন করবে তার সুর ছন্দের মূর্ছনায় চারিদিক ঝংকৃত করবে আমি সেই কামনা করি। এর দীর্ঘ যাত্রাপথ শুভ হোক। গৌরবময় হোক, সুন্দর হোক। আজ এখানে বিপার ছাত্র ছাত্রীরা এক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান উপহার দিবে। তাদের সকলকে আমি জানাই আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাকে আজ এখানে আমন্ত্রণ জানাবার জন্য আমি বিপাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। এই মহতী উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিপার বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের বৈশাখী শোভাযাত্রাকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। আমাদের জীবনের সকল আশংকা, অসত্য, অসুন্দর আর অশুভকে দূর করে মঙ্গল শোভাযাত্রা সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে অসাম্প্রদায়িক দেশ। তিনি আগামীতে ম্যানহাটানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করার জন্য বিপার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ম্যানহাটানে এমন আয়োজনে বাঙালীর ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বিপা একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিপা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য লালন করার পাশাপাশি প্রবাসের নতুন প্রজন্মকে বাঙালী শিল্প-সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে তাদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ধারনাই প্রবাসে প্রস্ফুটিত হয়েছে। কিশেষ করে শোভাযাত্রার শৃঙ্খলাবোধ আমদেরকে মুগ্ধ করেছে। আর এতে সমগ্র বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
সাংস্কৃতিক পর্বে বিপার শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।