ফকির আলমগীরের ৬৯তম জন্মদিন ২১ ফেব্রুয়ারী

- প্রকাশের সময় : ০২:২৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
- / ৬৪৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: দেশবরেণ্য গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের ৬৯তম জন্মদিন ২১ ফেব্রুয়ারী। শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে এদিন (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা চত্বরে লেখক কুঞ্জে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পীর জন্মদিনের কেক কাটা হবে। ফকির আলমগীর ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি। এছাড়াও আগামী ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে প্রধান মিলনায়তনে, আনন্দভুবন পত্রিকার উদ্যোগে একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের একক সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, শিল্পী ফকির আলমগীর ব্যক্তিগত সফরে বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন। সঙ্গীত জগতে তার ৫০ বছর পূতি উপলক্ষে ফুলকলি ফাউন্ডেশন ইউএসএ গত ১৭ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্কে তার একক সঙ্গীতের আয়োজন করে।
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মো. হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেছা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে গণসঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী একজন শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি প্রচলিত ও প্রথাসিদ্ধ গানের বন্ধ্যা ভূমিতে দেশজ ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজন করেন। ১৯৭৬-এ গঠন করেন লোকপ্রিয় ঋষিজ শিল্পগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণসঙ্গীতকে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি গানের পাশাপাশি একজন সফল লেখকও বটে। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো চেনাচীন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান, গণসঙ্গীতের অতীত ও বর্তমান, গণসঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুরা, আমার কথা, পপসঙ্গীতের একাল সেকাল। প্রখ্যাত এ কণ্ঠশিল্পী সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক, শেরে বাংলা পদক, ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, ক্রান্তিপদক, গণনাট্যপদক, গণস্বাস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, জনসংযোগ সমিতি পুরস্কার, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ পুরস্কার, ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার, বাংলা একাডেমির সম্মানজনক ফেলোশিপসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি আজীবন সদস্য, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি, জনসংযোগ সমিতির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সদস্য, অফিসার্স ক্লাবের সদস্য। (সূত্র: মানবজমিন)