ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া

- প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
- / ৬১ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের পাশাপাশি দেশ ও প্রবাসের সর্বমহলেই গভীর শোকের ছায়ানেমে এসেছে। তাঁর মত্যুতে স্মৃতি চারণ করে সঙ্গীত ও মিডিয়া জগতের অনেকেই নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিমির নন্দী
শিল্পী তিমির নন্দী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের তত্ত¡াবধানে কলকাতার নারিকেল ডাঙায় শরণার্থী শিল্পীগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলাম আমরা। সেখানে ফকির আলমগীরের সহশিল্পী ছিলাম আমি, নাট্যকার-অভিনেতা মামুনুর রশীদসহ অনেকে। সেই সময় বিভিন্ন গীতিনাট্য নিয়ে আমরা কলকাতা ও কলকাতার আশপাশে সীমান্তে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছি। সেই সময় ফকিরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা গাঢ় হয়েছে। আমার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিল।
ফেরদৌস ওয়াহিদ
সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ফকির আলমগীর বাংলাদেশের এমন একজন গায়ক যাকে আমি বাংলার সঙ্গীতের বাঘ বলি। মজার বিষয় হচ্ছে, ওর মাথায় বিয়ের পাগড়িটা আমিই পরিয়েছিলাম। এমন হাজারো গল্প রয়েছে আমাদের। সে গণসঙ্গীতটাকে ধরে রেখেছিল আমৃত্যু। তার চলে যাওয়ায় সঙ্গীতের এই অসাধারণ ধারাটিতে শূন্যতা তৈরি হলো।
কুমার বিশ্বজিৎ
শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, তিনি যেমন বড় মাপের শিল্পী ছিলেন তেমনি ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার আত্মা শান্তি পাক- সেই প্রার্থনাই করি।
হানিফ সংকেত
উপস্থাপক হানিফ সংকেত এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মানবিক গুণাবলীতে মহান এই শিল্পীর অকস্মাৎ মৃত্যুসংবাদে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছি। সম্প্রতি তার অসুস্থতার খবরে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছিলাম। ভাবীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিলেন- এখন কিছুটা স্ট্যাবল, দোয়া করেন। কিছুটা আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনার কাছে পরাজিত হয়ে চিরবিদায় নিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারের এই শব্দসৈনিক-বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবার সুখে-দুঃখে তিনি পাশে থেকেছেন। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার অনেক আড্ডার ও গল্পের স্মৃতি। মনে পড়ে আমার অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থিতির স্মৃতিময় সময়গুলোর কথা। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
কনকচাঁপা
এত টগবগে যুবকের প্রাণশক্তিওয়ালা মানুষটা করোনার ভয়াল থাবায় পর্যুদস্ত হলেন! আমি শোকে নিমজ্জিত! এই দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার নেই। সারাজীবন গণসঙ্গীত নিয়ে এক রকম যুদ্ধ করে গেছেন। যুদ্ধ করতে করতে নিজের একটা অটল পাহাড় সমান দুর্গম দুর্গ তৈরি করেছিলেন, করতে পেরেছিলেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের মুখপাত্র। তিনি ছিলেন আমাদের গণসংগীতের প্রাণপুরুষ। আমি ওনার শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করছি, তারা যেন এই ভয়াবহ শোক সইবার শক্তি অর্জন করেন।