প্রেমপত্র ভেবে হলুদ খামে গুলতেকিন পান ডিভোর্স নোটিস
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৯৯ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান হঠাৎ তার ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর পর চারটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
প্রথম স্ট্যাটাসে গুলতেকিন জানান, এই খামটির ভেতরে খুব যত্ন করে রাখা ছিলো আরেকটি খাম। আজ ট্যাক্সের জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি (ডিভোর্স নোটিস) পেলাম।
নোটিশের সেই চিঠির খাম ও নোটিশটি ফেসবুকে শেয়ার করে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘এ ধরনের হলদে খামে চিঠি আসলে আমার মেয়ে শীলা বলত, এগুলো তোমাকে লেখা প্রেমপত্র। শীলার বাবার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই পড়ে অনেকেই আমাকে চিঠি লিখত।’
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিশ’ আসার কথা জানিয়ে পোস্টে গুলতেকিন আরও লিখেছেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই শীলা বলল, ‘‘তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে’’। আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড-এর নিচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসল একটি কাগজ।’
নোটিশে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ।’
পোস্টের নিচে মন্তব্যের বক্সে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘আমার সাথে তার কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এবিষয়ক আরেক পোস্টে এই খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যত্ন করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে ট্যাক্স এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার ডেডি তো আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার নিজের ছোট একটি থাকার জায়গা আছে। আমি তিন বেলা ভালো খাই, ভালো পোষাক পরি। এরপর আর কিছু চাওয়া নেই জীবনের কাছে। দুঃখ দুঃখ ভাব করলে অসন্তুষ্ট হবেন আল্লাহ। এসব লিখে দুঃখ বিলাসের সময়, এখন নেই। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এদেশের লক্ষ লক্ষ মেয়েরা একই ধরণের সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছে। পার্থক্য হচ্ছে, আমি একজন বিখ্যাত মানুষের, এক সময়ের স্ত্রী ছিলাম, তাই আমাদের জীবনযাপন সম্পর্কে মানুষের অনেক কৌতূহল আছে। কিন্তু অন্যদের কথা আমরা জানি না। লক্ষ কোটি নারীরা জীবন সংগ্রাম করছে, শুধুমাত্র আমরা তাদের কথা জানি না।’
প্রসঙ্গত, গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। তাদের সংসারে আসে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। গুলতেকিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের দুই বছর পর ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে।
এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। কিছুদিন আগেই আফতাব প্রয়াত হয়েছেন। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল