নিউইয়র্ক ০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রযোজকের কাছে ধর্ষণ থেকে বেঁচে ফেরার গল্প শোনালেন ইন্দ্রানী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬ বার পঠিত

টালিউডের অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। শতাধিক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। এই সফল অভিনেত্রীও হয়েছেন যৌন নির্যাতনের শিকার। ২০ বছর বয়সে ধর্ষণের ভয়াবহ একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। সেই বিষয়ে দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন ইন্দ্রানী।

জীবনের শুরুতেই বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে। দক্ষতার জোরে মাত্র ২০ বছর বয়সে কাজ পেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের একটি সিনেমায়। প্রযোজক ছিলেন মুম্বাইয়েরই একজন। এ ছবিতে কাজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন ইন্দ্রানী; কিন্তু এটিই যে তার জীবনে কালো অন্ধকারের ছাপ এঁকে দেবে তা বুঝতে পারেননি তিনি।

ইন্দ্রানী বলেন, ‘সিনেমায় অনেক নামিদামি শিল্পী ছিলেন। শুটিং হয়েছিল মুম্বাইয়ে। প্রথম লটে আমার মা গিয়েছিলেন সঙ্গে। দ্বিতীয় লটের শুটিং হবে বলে আমার টিকিট কাটা হলো সকালের ফ্লাইটে। কিন্তু বাবারটা কাটা হলো বিকালে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি কেন? প্রথমবার আমাদের রাখা হয়েছিল কম দামি একটা হোটেলে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের শুটিংয়ের জন্য ঠিক হলো ফাইভস্টার হোটেলে।’

তিনি বলেন, আমি পৌঁছালাম হোটেলে। সেদিন আমার কোনো কাজ নেই। তখন নতুন নতুন মোবাইল ফোন উঠেছে। হঠাৎ আমার রুমে ফোন এলো প্রডিউসার আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। আমি তো ঘাবড়ে গেলাম। তিনি কেন রুমে আসবেন! আমি তখনই আমার ডিরেক্টরকে ফোন করলাম। উনি আমাকে অভয় দিলেন, কিছু হবে না।’

ইন্দ্রানীর ভাষায়, ‘প্রডিউসার রুমে এলেন, কথা বলতে বলতে একপর্যায় উনি আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন। আমি বাঁধা দিলে তিনি জোরপূর্বক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে লাগলেন। এর পর উনার ফোনে একটি কল এলো। ফোনটি করেছিলেন উনার স্ত্রী। ফোনটি ধরতে ধরতে আমি বুদ্ধি করে দরজার লক খুলে দিলাম। তার স্ত্রীকে ভয়েস শোনানোর জন্য কাশতে শুরু করলাম। এভাবে একটি অন্ধকার পৃথিবী থেকে যেন বেঁচে ফিরলাম।’

তিনি বলেন, ‘পরে অন্যান্য জায়গাতে ওই প্রডিউসারের সঙ্গে দেখা হয়েছে; কিন্তু উনি আমার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে কথা বলতে পারেনি। আমি উনার নাম বলতে চাই না। আর বলাটা উচিতও হবে না। উনি এখন প্রয়াত। তবে ওই কালো অভিজ্ঞতা আমার জীবনে কনফিডেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করেছিল। কারণ উনি আমাকে বলেছিলেন— আমি কখনো ভালো কাজ পাব না। পরে আমি আমার জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি— মানুষ সব পারে।’ সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রযোজকের কাছে ধর্ষণ থেকে বেঁচে ফেরার গল্প শোনালেন ইন্দ্রানী

প্রকাশের সময় : ০২:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

টালিউডের অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। শতাধিক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। এই সফল অভিনেত্রীও হয়েছেন যৌন নির্যাতনের শিকার। ২০ বছর বয়সে ধর্ষণের ভয়াবহ একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। সেই বিষয়ে দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন ইন্দ্রানী।

জীবনের শুরুতেই বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে। দক্ষতার জোরে মাত্র ২০ বছর বয়সে কাজ পেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের একটি সিনেমায়। প্রযোজক ছিলেন মুম্বাইয়েরই একজন। এ ছবিতে কাজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন ইন্দ্রানী; কিন্তু এটিই যে তার জীবনে কালো অন্ধকারের ছাপ এঁকে দেবে তা বুঝতে পারেননি তিনি।

ইন্দ্রানী বলেন, ‘সিনেমায় অনেক নামিদামি শিল্পী ছিলেন। শুটিং হয়েছিল মুম্বাইয়ে। প্রথম লটে আমার মা গিয়েছিলেন সঙ্গে। দ্বিতীয় লটের শুটিং হবে বলে আমার টিকিট কাটা হলো সকালের ফ্লাইটে। কিন্তু বাবারটা কাটা হলো বিকালে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি কেন? প্রথমবার আমাদের রাখা হয়েছিল কম দামি একটা হোটেলে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের শুটিংয়ের জন্য ঠিক হলো ফাইভস্টার হোটেলে।’

তিনি বলেন, আমি পৌঁছালাম হোটেলে। সেদিন আমার কোনো কাজ নেই। তখন নতুন নতুন মোবাইল ফোন উঠেছে। হঠাৎ আমার রুমে ফোন এলো প্রডিউসার আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। আমি তো ঘাবড়ে গেলাম। তিনি কেন রুমে আসবেন! আমি তখনই আমার ডিরেক্টরকে ফোন করলাম। উনি আমাকে অভয় দিলেন, কিছু হবে না।’

ইন্দ্রানীর ভাষায়, ‘প্রডিউসার রুমে এলেন, কথা বলতে বলতে একপর্যায় উনি আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন। আমি বাঁধা দিলে তিনি জোরপূর্বক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে লাগলেন। এর পর উনার ফোনে একটি কল এলো। ফোনটি করেছিলেন উনার স্ত্রী। ফোনটি ধরতে ধরতে আমি বুদ্ধি করে দরজার লক খুলে দিলাম। তার স্ত্রীকে ভয়েস শোনানোর জন্য কাশতে শুরু করলাম। এভাবে একটি অন্ধকার পৃথিবী থেকে যেন বেঁচে ফিরলাম।’

তিনি বলেন, ‘পরে অন্যান্য জায়গাতে ওই প্রডিউসারের সঙ্গে দেখা হয়েছে; কিন্তু উনি আমার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে কথা বলতে পারেনি। আমি উনার নাম বলতে চাই না। আর বলাটা উচিতও হবে না। উনি এখন প্রয়াত। তবে ওই কালো অভিজ্ঞতা আমার জীবনে কনফিডেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করেছিল। কারণ উনি আমাকে বলেছিলেন— আমি কখনো ভালো কাজ পাব না। পরে আমি আমার জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি— মানুষ সব পারে।’ সূত্র : যুগান্তর।