নিউইয়র্ক ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পরকীয়ার ভালো-মন্দ জানালেন অরুণা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৫ বার পঠিত

কখনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে, কখনো আবার বিবাহিত পুরুষের সঙ্গেও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী অরুণা ইরানি। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও তিনি কখনো তার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। অরুণাকে ঘিরে যা জল্পনা তৈরি হয়ে এসেছে, তা নীরবে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সম্পর্কিত নানা বিষয় খোলসা করেছেন অরুণা।

পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে নারীদের সাধারণত কী ধারণা থাকে, সেই প্রসঙ্গে বলতেও বাকি রাখেননি অরুণা। তিনি বলেন, কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে ওই পুরুষের স্ত্রী সবসময় অপর নারীকে দোষারোপ করেন। যেন ওই নারীর জন্যই তার সংসার ভেঙেছে ।

অরুণার মতে, স্বামীদের দায়িত্ব তাদের স্ত্রীদের খুশি রাখা। তাই স্বামীরা বাইরে কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সেই প্রসঙ্গে সরাসরি তাদেরই প্রশ্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অরুণা।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেমা মালিনীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অরুণা। তার দাবি, হেমা মালিনী কখনো ধর্মেন্দ্রর সংসার ভাঙতে চাননি। তিনি ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসেছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। এতে হেমার কোনো দোষ নেই।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হননি স্বয়ং হেমা। তিনি জানিয়েছেন, যে নারীরা বিবাহিত পুরুষদের ভালবেসে বিয়ে করেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে যায়

হেমার দাবি, পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করার পর কোনো নারী সন্তানলাভ করেন। মাঝরাতে যদি সন্তানের শরীর খারাপ হয়, তা হলে ভালবাসার মানুষকে পাশে পাওয়া যায় না। কারণ, তিনি তখন তার অন্য পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। একা হাতে সব সামলাতে হয় ওই নারীদের, জানিয়েছেন হেমা।

অরুণা এতদিন পর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করায় বলিপাড়ায় আবার তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ১৯৬১ সালে ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে প্রথম অভিনয় অরুণার। হিন্দি, কন্নড়, গুজরাটি ও মরাঠি ভাষার ছবি মিলিয়ে ৫০০রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন অরুণা। কাজের সূত্রে মেহমুদের সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় হলেও সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। কিন্তু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন মেহমুদ। অরুণা ও মেহমুদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় বিতর্ক শুরু হয়। তবে, মেহমুদের সঙ্গে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি অরুণার।

মেহমুদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর ১৯৯০ সালে পরিচালক কুকু কোহলিকে বিয়ে করেন অরুণা। কুকু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন। কুকুকে বিয়ে করলেও অরুণার এই বিয়ে থেকে কোনো সন্তান হয়নি। বিয়ের পর দত্তক নিয়েছিলেন অরুণা।

তবে, এত দিন পরেও মেহমুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে অরুণার। সাক্ষাৎকারে অরুণা তার ক্যারিয়ার নিয়েও অনেক কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক সময় ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। মেহমুদ তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

অরুণার দাবি, তার এত যশ-খ্যাতির পেছনে আছেন মেহমুদ। তিনি অরুণার জীবনে এমন বদল এনেছিলেন যে, এক সময় অভিনেত্রী মনে করতে শুরু করেছিলেন যে, মেহমুদকে তার জীবনে ঈশ্বর দূত হিসাবে পাঠিয়েছেন।

অরুণা বলেন, আমি বুঝতেই পারিনি কখন মেহমুদকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। ও যে বিবাহিত তা আমি জানতাম। আমরা যে কখনো বিয়ে করতে পারব না, তাও বুঝতে পেরেছিলাম। তাই আমাদের সম্পর্ক বেশি দূর এগোয়নি। ও আমার জীবনে বন্ধুর চেয়েও বেশি ছিল।

‘বম্বে টু গোয়া’ ছবিতে অরুণাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন মেহমুদ। কিন্তু মেহমুদ যেমন তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছিলেন, তেমনই তার কেরিয়ার নষ্টও করেছিলেন। এমনটাই দাবি অরুণার।

অরুণা জানান, ‘বম্বে টু গোয়া’ ছবি মুক্তির পর বলিপাড়ায় রটে যায় যে, তিনি মেহমুদকে বিয়ে করেছেন। অথচ মেহমুদকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ কিছুই বলেননি।

তারপর থেকে কোনো ছবিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন না অরুণা। কুকুকে বিয়ে করার পরেও কম কথা শুনতে হয়নি তাকে। অরুণা জানিয়েছেন, কুকু কোহলির প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি পরিচালকের সঙ্গে তার বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতেন। তার আগে তিনি কাউকে জানতে দিতেন না যে, তিনি বিবাহিত। সূত্রঃ ঢাকা পোষ্ট

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পরকীয়ার ভালো-মন্দ জানালেন অরুণা

প্রকাশের সময় : ০২:১৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কখনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে, কখনো আবার বিবাহিত পুরুষের সঙ্গেও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী অরুণা ইরানি। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও তিনি কখনো তার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। অরুণাকে ঘিরে যা জল্পনা তৈরি হয়ে এসেছে, তা নীরবে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সম্পর্কিত নানা বিষয় খোলসা করেছেন অরুণা।

পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে নারীদের সাধারণত কী ধারণা থাকে, সেই প্রসঙ্গে বলতেও বাকি রাখেননি অরুণা। তিনি বলেন, কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে ওই পুরুষের স্ত্রী সবসময় অপর নারীকে দোষারোপ করেন। যেন ওই নারীর জন্যই তার সংসার ভেঙেছে ।

অরুণার মতে, স্বামীদের দায়িত্ব তাদের স্ত্রীদের খুশি রাখা। তাই স্বামীরা বাইরে কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সেই প্রসঙ্গে সরাসরি তাদেরই প্রশ্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অরুণা।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেমা মালিনীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অরুণা। তার দাবি, হেমা মালিনী কখনো ধর্মেন্দ্রর সংসার ভাঙতে চাননি। তিনি ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসেছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। এতে হেমার কোনো দোষ নেই।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হননি স্বয়ং হেমা। তিনি জানিয়েছেন, যে নারীরা বিবাহিত পুরুষদের ভালবেসে বিয়ে করেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে যায়

হেমার দাবি, পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করার পর কোনো নারী সন্তানলাভ করেন। মাঝরাতে যদি সন্তানের শরীর খারাপ হয়, তা হলে ভালবাসার মানুষকে পাশে পাওয়া যায় না। কারণ, তিনি তখন তার অন্য পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। একা হাতে সব সামলাতে হয় ওই নারীদের, জানিয়েছেন হেমা।

অরুণা এতদিন পর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করায় বলিপাড়ায় আবার তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ১৯৬১ সালে ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে প্রথম অভিনয় অরুণার। হিন্দি, কন্নড়, গুজরাটি ও মরাঠি ভাষার ছবি মিলিয়ে ৫০০রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন অরুণা। কাজের সূত্রে মেহমুদের সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় হলেও সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। কিন্তু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন মেহমুদ। অরুণা ও মেহমুদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় বিতর্ক শুরু হয়। তবে, মেহমুদের সঙ্গে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি অরুণার।

মেহমুদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর ১৯৯০ সালে পরিচালক কুকু কোহলিকে বিয়ে করেন অরুণা। কুকু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন। কুকুকে বিয়ে করলেও অরুণার এই বিয়ে থেকে কোনো সন্তান হয়নি। বিয়ের পর দত্তক নিয়েছিলেন অরুণা।

তবে, এত দিন পরেও মেহমুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে অরুণার। সাক্ষাৎকারে অরুণা তার ক্যারিয়ার নিয়েও অনেক কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক সময় ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। মেহমুদ তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

অরুণার দাবি, তার এত যশ-খ্যাতির পেছনে আছেন মেহমুদ। তিনি অরুণার জীবনে এমন বদল এনেছিলেন যে, এক সময় অভিনেত্রী মনে করতে শুরু করেছিলেন যে, মেহমুদকে তার জীবনে ঈশ্বর দূত হিসাবে পাঠিয়েছেন।

অরুণা বলেন, আমি বুঝতেই পারিনি কখন মেহমুদকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। ও যে বিবাহিত তা আমি জানতাম। আমরা যে কখনো বিয়ে করতে পারব না, তাও বুঝতে পেরেছিলাম। তাই আমাদের সম্পর্ক বেশি দূর এগোয়নি। ও আমার জীবনে বন্ধুর চেয়েও বেশি ছিল।

‘বম্বে টু গোয়া’ ছবিতে অরুণাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন মেহমুদ। কিন্তু মেহমুদ যেমন তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছিলেন, তেমনই তার কেরিয়ার নষ্টও করেছিলেন। এমনটাই দাবি অরুণার।

অরুণা জানান, ‘বম্বে টু গোয়া’ ছবি মুক্তির পর বলিপাড়ায় রটে যায় যে, তিনি মেহমুদকে বিয়ে করেছেন। অথচ মেহমুদকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ কিছুই বলেননি।

তারপর থেকে কোনো ছবিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন না অরুণা। কুকুকে বিয়ে করার পরেও কম কথা শুনতে হয়নি তাকে। অরুণা জানিয়েছেন, কুকু কোহলির প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি পরিচালকের সঙ্গে তার বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতেন। তার আগে তিনি কাউকে জানতে দিতেন না যে, তিনি বিবাহিত। সূত্রঃ ঢাকা পোষ্ট