নিউইয়র্ক ০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিন্দুকেরে আমি বাসি ভালো : শারমিন আঁখি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • / ৮১ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : প্রায় একযুগ ধরে ছোট পর্দায় অভিনয় করে দর্শক ও নির্মাতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক দেশকালের সাথে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার আপনার। অনুভূতিটা কেমন? ’
আমি প্রথমে একজন মঞ্চকর্মী। থিয়েটার দিয়েই আমার শুরুটা হয়েছিল। মহড়াকক্ষে নাটকের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়েই প্রেমে পড়ি অভিনয়ের। এরপর অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করি। আসলে সময়টা যে কীভাবে চলে যায়, টেরই পাওয়া যায় না। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। এই অভিনয়ের ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছি বলা যায়।
কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে বেশি ভালো লাগে?
এক এক মাধ্যমের কাজের ধরন এক এক রকমের। টিভি নাটকের চাপ থাকে সারাদিন। দুই বা তিন দিনে এক ঘণ্টার কাজটা আমাদের শেষ করতে হয়। চরিত্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে কম। আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যেহেতু সময় থাকে অনেক, তাই চরিত্র নিয়ে ভাবার সময় পাই বেশি। গল্প পড়ে নিজেকে চরিত্রের জন্য তৈরি করার সময় পাওয়া যায়। সর্বোপরি নিজেকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ থাকে। দুটিতেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে অভিনয় শিল্পী হিসেবে কাজের এবং চরিত্র বিশ্লেষণের স্বাধীনতার সুযোগ বেশি থাকে ওটিটিতে। তাই ওটিটিকেই এগিয়ে রাখব।
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে?
আমার সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্নতা এমনিতেই বৈচিত্র্য এনে দেয়। সব ধরনের চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমাকে অনেক পরিণত করেছে। পেশাদার জায়গা থেকে অভিনয় করতে গেলে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। এর মধ্যে থেকেই চেষ্টা করি ভালো গল্প কিংবা গল্পের চরিত্রটির একটা ভিন্ন আঙ্গিক দেওয়ার। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি আমি থিয়েটারে নিয়মিত পারফর্ম করি। তাই আমি সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে পছন্দ করি।
এমন কোনো চরিত্র আছে, যার জন্য অপেক্ষা করে আছেন?
মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী আর পর্দায় ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।
তরুণদের জন্য মিডিয়ায় টিকে থাকার স্ট্রাগলটা কেমন?
মোটা দাগে যদি বলি, কঠিন। কারণ সবাই খুব দ্রুত বিখ্যাত হতে চায়। তাই মাঝপথে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েন। অভিনয়টা সাধনা আর চর্চার বিষয়। এমন নয় যে আসলাম, পাঠ গাইলাম আর অভিনয় হয়ে গেল। লক্ষ্যটা যদি ঠিক থাকে আর কাজের প্রতি কমিটমেন্টের জায়গাটা যদি সৎ থাকে, তবে যে কোনো স্ট্রাগল সহজ হয়ে যায়।
ক্যারিয়ার নিয়ে সামনে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অভিনয় করছি। সামনেও করে যেতে চাই। অভিনয়ের হাতে খড়ি মঞ্চে। অভিনয়টা তাই রক্তে মিশে আছে। এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে রূপান্তরে অদম্য আনন্দ কাজ করে। তাই অভিনয়ের বাইরে আর কিছু ভাবতে পারি না। স্বভাবতই একজন সফল অভিনয় শিল্পী হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। তাই অভিনয় যাত্রাটা একটু সুদীর্ঘ করে যেতে চাই। ভালো ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিয়ে যেতে চাই, যেন তারা আমার কাজগুলোর মধ্য দিয়ে আমাকে মনে রাখে।
সম্প্রতি আপনি মডেলিংও করছেন, বোল্ড ফটোশুটেও আপনাকে দেখা গেছে, এ নিয়ে কিছু বলবেন?
আমি মনে করি বোল্ড ফটোশুটটা আমার কাজেরই একটা অংশ। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। সৌন্দর্যটাকে আমি কীভাবে দেখি তার ওপরই নির্ভর করে। অনেক নেতিবাচক মন্তব্য আসলেও ওটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না। কারণ আমি নিন্দুকেরে বাসি ভালো।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিন্দুকেরে আমি বাসি ভালো : শারমিন আঁখি

প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : প্রায় একযুগ ধরে ছোট পর্দায় অভিনয় করে দর্শক ও নির্মাতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক দেশকালের সাথে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার আপনার। অনুভূতিটা কেমন? ’
আমি প্রথমে একজন মঞ্চকর্মী। থিয়েটার দিয়েই আমার শুরুটা হয়েছিল। মহড়াকক্ষে নাটকের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়েই প্রেমে পড়ি অভিনয়ের। এরপর অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করি। আসলে সময়টা যে কীভাবে চলে যায়, টেরই পাওয়া যায় না। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। এই অভিনয়ের ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছি বলা যায়।
কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে বেশি ভালো লাগে?
এক এক মাধ্যমের কাজের ধরন এক এক রকমের। টিভি নাটকের চাপ থাকে সারাদিন। দুই বা তিন দিনে এক ঘণ্টার কাজটা আমাদের শেষ করতে হয়। চরিত্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে কম। আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যেহেতু সময় থাকে অনেক, তাই চরিত্র নিয়ে ভাবার সময় পাই বেশি। গল্প পড়ে নিজেকে চরিত্রের জন্য তৈরি করার সময় পাওয়া যায়। সর্বোপরি নিজেকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ থাকে। দুটিতেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে অভিনয় শিল্পী হিসেবে কাজের এবং চরিত্র বিশ্লেষণের স্বাধীনতার সুযোগ বেশি থাকে ওটিটিতে। তাই ওটিটিকেই এগিয়ে রাখব।
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে?
আমার সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্নতা এমনিতেই বৈচিত্র্য এনে দেয়। সব ধরনের চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমাকে অনেক পরিণত করেছে। পেশাদার জায়গা থেকে অভিনয় করতে গেলে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। এর মধ্যে থেকেই চেষ্টা করি ভালো গল্প কিংবা গল্পের চরিত্রটির একটা ভিন্ন আঙ্গিক দেওয়ার। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি আমি থিয়েটারে নিয়মিত পারফর্ম করি। তাই আমি সব ধরনের চরিত্রেই কাজ করতে পছন্দ করি।
এমন কোনো চরিত্র আছে, যার জন্য অপেক্ষা করে আছেন?
মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী আর পর্দায় ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।
তরুণদের জন্য মিডিয়ায় টিকে থাকার স্ট্রাগলটা কেমন?
মোটা দাগে যদি বলি, কঠিন। কারণ সবাই খুব দ্রুত বিখ্যাত হতে চায়। তাই মাঝপথে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েন। অভিনয়টা সাধনা আর চর্চার বিষয়। এমন নয় যে আসলাম, পাঠ গাইলাম আর অভিনয় হয়ে গেল। লক্ষ্যটা যদি ঠিক থাকে আর কাজের প্রতি কমিটমেন্টের জায়গাটা যদি সৎ থাকে, তবে যে কোনো স্ট্রাগল সহজ হয়ে যায়।
ক্যারিয়ার নিয়ে সামনে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অভিনয় করছি। সামনেও করে যেতে চাই। অভিনয়ের হাতে খড়ি মঞ্চে। অভিনয়টা তাই রক্তে মিশে আছে। এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে রূপান্তরে অদম্য আনন্দ কাজ করে। তাই অভিনয়ের বাইরে আর কিছু ভাবতে পারি না। স্বভাবতই একজন সফল অভিনয় শিল্পী হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। তাই অভিনয় যাত্রাটা একটু সুদীর্ঘ করে যেতে চাই। ভালো ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিয়ে যেতে চাই, যেন তারা আমার কাজগুলোর মধ্য দিয়ে আমাকে মনে রাখে।
সম্প্রতি আপনি মডেলিংও করছেন, বোল্ড ফটোশুটেও আপনাকে দেখা গেছে, এ নিয়ে কিছু বলবেন?
আমি মনে করি বোল্ড ফটোশুটটা আমার কাজেরই একটা অংশ। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। সৌন্দর্যটাকে আমি কীভাবে দেখি তার ওপরই নির্ভর করে। অনেক নেতিবাচক মন্তব্য আসলেও ওটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না। কারণ আমি নিন্দুকেরে বাসি ভালো।
হককথা/এমউএ