নিউইয়র্ক ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুন্দর হোক ভাবনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • / ২৯ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি জন আব্রাহামের একটি মন্তব্য নারী-পুরুষের সৌন্দর্যের ভেদাভেদ নিয়ে উস্কে দিয়েছে জল্পনা। শিল্পা শেট্টির চ্যাট শোয়ে জন মন্তব্য করেছেন, ‘মেন শুড নট লুক প্রিটি। মেন শুড বি ইমপারফেক্ট।’ শোয়ের মার্কেটিংয়ের জন্য এই মন্তব্যগুলি প্রচার করা হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজ়েনরা। তবে কি সৌন্দর্যের মাপকাঠি নারীদের জন্যই বরাদ্দ? সুদর্শন অভিনেতা হয়ে জন কেন-ই বা এমন কথা বলছেন?
অন্যদিকে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের গুরুত্বকে একেবারে নাকচ করে দেয়া যায় না। তবে নিক্তি মেপে সৌন্দর্যের অবাস্তব চাহিদা পূরণে এখনকার কোনো শিল্পী রাজি নন। মূল কথা হলো- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুন্দর হোক ভাবনা। সৌন্দর্য বিষয়ে কয়েকজন তারকা আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশ করেছেন তাদের সুন্দর ভাবনা।
সৌন্দর্যের চুলচেরা বিশ্লেষণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী অভিনেত্রীরা। অভিনেত্রী জয়া আহসানের মতে, ‘এখন অনেক অভিনেত্রী যে ঠোঁট-নাক বা অন্য সার্জারি করাচ্ছেন, তাতে কোন সৌন্দর্য তারা খুঁজছেন, তা ঠিক জানি না। আমার ছকভাঙা সৌন্দর্য বরাবর ভালো লাগে। সৌন্দর্য শুধু শরীরের নয়, ব্যক্তিত্বেরও। কোনো অভিনেতা যদি কুঁজো হন, আমার তো অসুবিধে নেই।’
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি এ বিষয়ে কী মত পোষণ করে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,‘এখন তো নায়িকা নয়, চরিত্রাভিনেতাদের যুগ। সেটাই তো সব ভাষার ছবিতে দেখছি।’
শুটিংয়ের ফাঁকে ঋতাভরী চক্রবর্তী বললেন, ‘আমাকে এক পরিচালক বলেছিলেন, নায়িকার ত্বক হবে মাখনের মতো। না হলে সে নায়িকা নয়। খুব ছোট বয়স থেকে কাজ করছি। আমার ইউনিটের লোকজন প্রথমে আমার দিকে আঙুল তুলত, কারণ আমার স্তন তখনও পরিণত হয়নি। পরে যখন আমি শরীর সম্পর্কে সচেতন হলাম, তখন বলা হতে থাকল-ছবিতেই দেখতে ভাল লাগে, সামনে নয়। তখন আমি বুঝে গিয়েছি, মানুষকে খুশি করা যায় না। আমার অসুস্থতার পরে এখন যে চেহারা, তাতে আমি নিজেকে মেনে নেয়েছি। সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’
লখনউয়ে শুটিংয়ে ব্যস্ত পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘জনের কথার প্রেক্ষিত তো জানি না। তবে পুরুষের চেহারায় যে ‘রাফনেস’ থাকে, সেটা বোঝাতেও এই কথা বলা হয়ে থাকতে পারে। সৌন্দর্য, চরিত্র বা চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। যেকোনো দিক থেকেই আমার চোখে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ইমপারফেক্ট। এই খুঁতগুলো মানুষকে সুন্দর করে।’
অন্য দিকে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে। যিশু সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রতকে দেখতে ভালো বটেই। কিন্তু তারা ভালো অভিনেতাও। ‘কাহানি’ ছবিতে ওই চেহারাতেই নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিকে পুলিশের চরিত্রে নেয়া হয়েছিল। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে সৌন্দর্য নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি।’
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুন্দর হোক ভাবনা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি জন আব্রাহামের একটি মন্তব্য নারী-পুরুষের সৌন্দর্যের ভেদাভেদ নিয়ে উস্কে দিয়েছে জল্পনা। শিল্পা শেট্টির চ্যাট শোয়ে জন মন্তব্য করেছেন, ‘মেন শুড নট লুক প্রিটি। মেন শুড বি ইমপারফেক্ট।’ শোয়ের মার্কেটিংয়ের জন্য এই মন্তব্যগুলি প্রচার করা হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজ়েনরা। তবে কি সৌন্দর্যের মাপকাঠি নারীদের জন্যই বরাদ্দ? সুদর্শন অভিনেতা হয়ে জন কেন-ই বা এমন কথা বলছেন?
অন্যদিকে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের গুরুত্বকে একেবারে নাকচ করে দেয়া যায় না। তবে নিক্তি মেপে সৌন্দর্যের অবাস্তব চাহিদা পূরণে এখনকার কোনো শিল্পী রাজি নন। মূল কথা হলো- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুন্দর হোক ভাবনা। সৌন্দর্য বিষয়ে কয়েকজন তারকা আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশ করেছেন তাদের সুন্দর ভাবনা।
সৌন্দর্যের চুলচেরা বিশ্লেষণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী অভিনেত্রীরা। অভিনেত্রী জয়া আহসানের মতে, ‘এখন অনেক অভিনেত্রী যে ঠোঁট-নাক বা অন্য সার্জারি করাচ্ছেন, তাতে কোন সৌন্দর্য তারা খুঁজছেন, তা ঠিক জানি না। আমার ছকভাঙা সৌন্দর্য বরাবর ভালো লাগে। সৌন্দর্য শুধু শরীরের নয়, ব্যক্তিত্বেরও। কোনো অভিনেতা যদি কুঁজো হন, আমার তো অসুবিধে নেই।’
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি এ বিষয়ে কী মত পোষণ করে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,‘এখন তো নায়িকা নয়, চরিত্রাভিনেতাদের যুগ। সেটাই তো সব ভাষার ছবিতে দেখছি।’
শুটিংয়ের ফাঁকে ঋতাভরী চক্রবর্তী বললেন, ‘আমাকে এক পরিচালক বলেছিলেন, নায়িকার ত্বক হবে মাখনের মতো। না হলে সে নায়িকা নয়। খুব ছোট বয়স থেকে কাজ করছি। আমার ইউনিটের লোকজন প্রথমে আমার দিকে আঙুল তুলত, কারণ আমার স্তন তখনও পরিণত হয়নি। পরে যখন আমি শরীর সম্পর্কে সচেতন হলাম, তখন বলা হতে থাকল-ছবিতেই দেখতে ভাল লাগে, সামনে নয়। তখন আমি বুঝে গিয়েছি, মানুষকে খুশি করা যায় না। আমার অসুস্থতার পরে এখন যে চেহারা, তাতে আমি নিজেকে মেনে নেয়েছি। সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’
লখনউয়ে শুটিংয়ে ব্যস্ত পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘জনের কথার প্রেক্ষিত তো জানি না। তবে পুরুষের চেহারায় যে ‘রাফনেস’ থাকে, সেটা বোঝাতেও এই কথা বলা হয়ে থাকতে পারে। সৌন্দর্য, চরিত্র বা চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। যেকোনো দিক থেকেই আমার চোখে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ইমপারফেক্ট। এই খুঁতগুলো মানুষকে সুন্দর করে।’
অন্য দিকে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে। যিশু সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রতকে দেখতে ভালো বটেই। কিন্তু তারা ভালো অভিনেতাও। ‘কাহানি’ ছবিতে ওই চেহারাতেই নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিকে পুলিশের চরিত্রে নেয়া হয়েছিল। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে সৌন্দর্য নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি।’
হককথা/এমউএ