নিউইয়র্ক ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতি নায়ক ফারুকের সজাগ দৃষ্টি ছিল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৫৪ বার পঠিত

নায়ক ফারুক ও মাদ্রাসার সুপার কাওছার আলম । ছবি : ইত্তেফাক

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান পাঠান দুলু ওরফে ফারুক যদিও তিনি চিত্রনায়ক ছিলেন। কিন্তু দ্বীনি কাজের ব্যাপারে তিনি মসজিদ-মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি ছিল। এবং খোঁজখবর নিতেন। মসজিদ-মাদ্রাসার কল্যাণে যতদিন জীবিত ছিলেন, সুস্থ ছিলেন ততদিন সেগুলোর খোঁজখবর রাখতেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের ওয়াকফ করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ট এ এইচএম কাওছার আলম এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, আকবর হোসেন খান পাঠান চিত্রনায়ক ফারুক সাহেব সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্মলগ্ন থেকে ওই মাদ্রাসার কাদরিয়া চিশতিয়া লিল্লাহ বডিং ছিল। আর ওই লিল্লাহ বডিংয়ের সব ব্যয়ভার তিনি ব্যক্তিগতভাবে বহন করতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসায় যারা এতিম থাকতো, তাদের খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড় ও তাদের খোঁজ-খবর তিনি এবং তার পরিবারের পক্ষে থেকে নিতেন। মাদ্রাসার খোঁজ-খবরও ওনি সবসময় রাখতেন।

মাদ্রাসা সুপার আরও বলেন, নায়ক ফারুক সাহেব যখনই বাড়িতে আসতেন, তখনই তিনি মাদ্রাসার সুখ-দুঃখ, মাদ্রাসার শিক্ষকরা কেমন আছেন বা মাদ্রাসার কখন কি প্রয়োজন সেটার ব্যাপারে তিনি সবসময় সজাগ থাকতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসার পাশের বাজারে একটি জমি আছে ৩০ শতাংশ, সেটা তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। সেটার আয় দিয়েই মাদ্রাসা চলতো। সেটার ব্যাপারে তিনি বা তার পরিবার কখনোই হস্তক্ষেপ করতেন না।

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও ছেলে রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত নয়টায় সোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সন্ধ্যার দিকে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হবে। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতি নায়ক ফারুকের সজাগ দৃষ্টি ছিল

প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান পাঠান দুলু ওরফে ফারুক যদিও তিনি চিত্রনায়ক ছিলেন। কিন্তু দ্বীনি কাজের ব্যাপারে তিনি মসজিদ-মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি ছিল। এবং খোঁজখবর নিতেন। মসজিদ-মাদ্রাসার কল্যাণে যতদিন জীবিত ছিলেন, সুস্থ ছিলেন ততদিন সেগুলোর খোঁজখবর রাখতেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের ওয়াকফ করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ট এ এইচএম কাওছার আলম এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, আকবর হোসেন খান পাঠান চিত্রনায়ক ফারুক সাহেব সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্মলগ্ন থেকে ওই মাদ্রাসার কাদরিয়া চিশতিয়া লিল্লাহ বডিং ছিল। আর ওই লিল্লাহ বডিংয়ের সব ব্যয়ভার তিনি ব্যক্তিগতভাবে বহন করতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসায় যারা এতিম থাকতো, তাদের খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড় ও তাদের খোঁজ-খবর তিনি এবং তার পরিবারের পক্ষে থেকে নিতেন। মাদ্রাসার খোঁজ-খবরও ওনি সবসময় রাখতেন।

মাদ্রাসা সুপার আরও বলেন, নায়ক ফারুক সাহেব যখনই বাড়িতে আসতেন, তখনই তিনি মাদ্রাসার সুখ-দুঃখ, মাদ্রাসার শিক্ষকরা কেমন আছেন বা মাদ্রাসার কখন কি প্রয়োজন সেটার ব্যাপারে তিনি সবসময় সজাগ থাকতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসার পাশের বাজারে একটি জমি আছে ৩০ শতাংশ, সেটা তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। সেটার আয় দিয়েই মাদ্রাসা চলতো। সেটার ব্যাপারে তিনি বা তার পরিবার কখনোই হস্তক্ষেপ করতেন না।

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও ছেলে রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত নয়টায় সোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সন্ধ্যার দিকে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হবে। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা