ডিপজলের ডেরায় মৌ-শিরিন-কাজলের মনোরঞ্জনের গুঞ্জন !

- প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬২ বার পঠিত
মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছুই নেই। তিনি নিজের কর্মদক্ষতায় অভিনয় করে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নিজের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে ব্যবহার করে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নায়িকা হতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিত্র নায়িকা মৌ খান, শিরিন শিলা এবং কাজল নামের তিনজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই তিন নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরাই ডিপজলের ডেরায় মনোরঞ্জনের বিষয়টি ভোরের পাতাকে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের গাবতলীতে নিজের আলিশান বাড়ি এবং সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় ‘ফাহিম সুটিং স্পটে’ নিয়মিত রাত বিরাতে মনোরঞ্জনে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে মৌ খান, শিরিন শিলা এবং কাজলকে। বিনিময়ে তারা ডিপজল প্রযোজিত সিনেমার নায়িকা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিনয় দক্ষতা এক্ষেত্রে মূখ্য হিসাবে কাজ করছে না বলেও দাবি করেছেন উল্লেখিত তিন নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরা। তারা বলেন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল থেকে শুরু করে তার কয়েকজন বন্ধুদেরও মনোরঞ্জন করতে হয় এই নায়িকাদের। এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলার সাহসও দেখান না। কারণ হিসাবে সূত্রটি জানিয়েছে, নায়িকারা বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের জন্য আমরা সব করতে পারি, এখানে কেউ কোনো কথা বললে খবর আছে।’
এসব বিষয়ে নায়িকা শিরিন শিলা বলেন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভাই অনেক বড় মনের মানুষ। বাংলাদেশের সব সেলিব্রেটিরাই তার কাছে গিয়ে বসে থাকেন। আমি তার সঙ্গে ‘ঘর ভাঙা সংসার, জিম্মি’ এই দুটি সিনেমায় নায়িকা হিসাবে কাজ করেছি। তার চরিত্র নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগই নেই। মনোরঞ্জন তো অনেক দূরের বিষয়। তার সাথে আরো একটি প্রস্তাবিত সিনেমার কাজ চলেছে। সিডিউল তৈরি হলেই মিডিয়াতে আমরা কথা বলবো। শিলা জোর গলায় বলেন, ডিপজল ভাই নায়িকাদের জন্মদাতা, উনার চরিত্রে কোনো সমস্যা নেই।
মৌ খান বলেন, আমি মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্রজোযনায় তিনটি সিনেমায় তার বিপরীতে নায়িকা হিসাবে কাজ করেছি। যেমন জামাই তেমন বউ, বাংলার হারকিউলিস এবং মানুষ হলো অমানুষ। পেশাগত কাজ করেছি। সেখানে মনোরঞ্জনের কোনো প্রশ্নই আসে না। তবে নায়িকা হিসাবে শিরিন শিলা এবং মৌ খানের পর নতুন করে কাজলে মজেছেন ডিপজল। তাকে নিয়েই নতুন ৬ টি সিনেমা বানানোর কথাও জানিয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্রযোজক হিসেবেও সফল। তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অনেকেই। এবার এই দাপুটে খল অভিনেতার সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন নবাগত কাজল। ডিপজলের পরবর্তী সিনেমা ‘আলী ভাই’-এ কাজলকে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে। তার নায়ক হবে জয় চৌধুরী।
নায়িকা হতে যাওয়া কাজলকে আবিষ্কার করেছেন ডিপজল। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই সিনেমার শুটিং শীঘ্রই শুরু করা হবে। এর আগে কাজলকে পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘ সময় ধরে গ্রুমিংয়ের ব্যবস্থা করেন ডিপজল। মনতাজুর রহমান আকবরের তত্ত্বাবধানে কাজলকে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের বিশাল ক্যানভাসের খুঁটিনাটি হাতেকলমে শেখানো হয়েছে। নাচ এবং ফাইটও শেখানো হয়েছে বলে জানান এর নির্মাতা।
‘আলী ভাই’সহ তার পরবর্তী আরও ৬টি সিনেমায় কাজলকে নায়িকা করা হবে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সরকার’, ‘বাবুর্চি’, ‘আক্রোশ’, ‘মানিক রতন’ ইত্যাদি। কাজলকে নিয়ে ডিপজল বলেন, মেয়েটি একেবারে নতুন।ওর মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছি।নায়িকা হওয়ার সবগুণ ওর মধ্যে রয়েছে।এজন্য পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে গড়ে তুলতে ওর জন্য যা করা দরকার তাই করা হয়েছে।আশা করছি, চলচ্চিত্রের শিল্পী সংকটের সময় একজন প্রতিভাময়ী নতুন নায়িকা পাওয়া যাবে।
এদিকে, নবাগত নায়িকা কাজলের বিষয়ে তারই ঘনিষ্ঠ একজন বান্ধবী বলেন, কাজল নায়িকা হওয়ার নেশায় সব বিলিয়ে দিতেও রাজি। এখন তিনি মনোরঞ্জন নয়, আরো অনেক কিছুই করতে রাজি। যেকোনো মূল্যে তাকে নায়িকা হতেই হবে। এটাই কাজলের শেষ কথা। এ বিষয়ে নবাগত কাজলকে ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের জন্ম ১৫ জুন, ১৯৫৮ সালে ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে। চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে তার। তিনি ফাহিম শুটিং স্পট, এশিয়া সিনেমা হল, পর্বত সিনেমা হল, জোবেদা ফিল্মস, পর্বত পিকচার্স-২, ডিপজল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সক্রিয়। প্রথমে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও চাচ্চু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি ভালো চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ডিপজল বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দলের হয়ে স্থানীয় ঢাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর কমিশনার নির্বাচিত হন ১৯৯৪ সালে। তার বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বাদশা তার নামে (ডিপজল পরিবহন) বাস সার্ভিস চালু করেন। সূত্র : ভোরের পাতা