নিউইয়র্ক ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কান চলচ্চিত্র উৎসব : যা নিয়ে ফিরছেন সাদ-বাঁধনরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • / ২৪ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক: ধারণা করা হয়েছিল কান থেকে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অন্তত একটি পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফিরতে হচ্ছে পুরস্কার ছাড়াই। তবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম যে সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরছে তা ভাবলেই মাথা উচু হয়।
কানের লাল গালিচায় গেলো সাতদিন কতটা সরব ছিলো বাংলাদেশ- তা সহজেই অনুমেয়। গোটা বিশ্ব দেখেছে, লাল গালিচায় বাংলাদেশের অভিনেতা-নির্মাতাদের উজ্জ্বল হাসি। বিশ্বের নামী অনেক সংবাদমাধ্যম ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছ। তাই যদি বলা হয় সাদ-বাঁধনরা খালি হাতে ফিরছেন দেশে, তাহলে অবিচার হবে এই টিমের প্রতি।
এর আগে সত্যজিৎ রায়ের ছবির নায়িকা হয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের বিচরণ শুরু হয়। ববিতা এক সময় দেশের মুখোপাত্র হয়ে ঘুরেছেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। এরপর নানা সময় দেশের অনেক সিনেমা বিশ্বের নানা চলচ্চিত্র বিষয়ক উৎসবে ঘুরেছে। কিন্তু কানের অফিসিয়ালে সিলেকশন পেয়ে যেতে পারেনি একটিও। কানের লাল গালিচায় লাল সুবজের দেশের কোনো নির্মাতা অভিনেতাকে হাসতে দেখা যায়নি। সেটি করলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ তথা সাদ-বাঁধনরা।
কানের সাগর পাড়ের ৭৪তম এ আয়োজনে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ স্থান পায় উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে। বাংলাদেশী কোনো ছবির এমন অর্জন এটাই প্রথম। কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের পরেই এটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের কোনো ছবি এবারই প্রথম এতে জায়গা করে নিলো। ফলে কান-সৈকতে প্রথমবার উড়ে লাল-সবুজ পতাকা!
১৬ জুলাই ‘আ সার্তে রিগা’য় ৬টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে সেরা পুরস্কার গ্রান্ড প্রাইজ পায় রাশিয়ান নারী নির্মাতা কিরা কোভালেনকো পরিচালিত চলচ্চিত্র আনক্লেনচিং দ্য ফিস্টস। জুরি প্রাইজ পায় গ্রেট ফ্রিডম (সেবাস্টিয়ান মাইজে), এনসেম্বল প্রাইজ পায় বোন মের (হাফসিয়া হেরৎসি), প্রাইজ অব কারেজ পায় লা সিভিল (তিওডোরা আনা মিহাই), প্রাইজ অব অরিজিনালিটি পায় ল্যাম্ব (ভøাদিমির জোহানসন), স্পেশাল মেনশন পায় নচে দে ফুয়েগো (তাতিয়ানা উয়েজো)।
পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরতে না পারলেও অন্য বছরের তুলনায় এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসব একটু বিশেষ এদেশের সিনেমাপ্রেমিদের কাছে। গত ৭ জুলাই আঁ সার্তে রিগা বিভাগে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম। ছবিটির রিভিউ প্রকাশ হয়েছে হলিউড রিপোর্টার, স্ক্রিন ডেইলি ও রজার এবার্টের সাইটসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। একটি রিভিউতে এমনও বলা হয়েছে, কানের উল্লেখযোগ্য তিন ছবির একটি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) ফ্রান্সের কানে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিট) শুরু হয় আঁ সার্তে রিগা বিভাগের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। লাল গালিচায় অনেক দেশের অভিনয় শিল্পীদের হাসি দেখা গেলেও সকলকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে রাশিয়ান নারী নির্মাতা কিরা কোভালেনকো পরিচালিত ‘আনক্লেনচিং দ্য ফিস্টস (কিরা কোভালেনকো)’ ছবিটি।
উৎসবের ৭৪তম আসরে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০টি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পেয়েছিলো আঁ সার্তে রিগা বিভাগে। পুরস্কার বিতরণ করেন এই বিভাগের বিচারকদের প্রধান ব্রিটিশ নির্মাতা আন্দ্রেয়া আর্নল্ড। পুরস্কার না পেলেও আক্ষেপ নেই দেশের মানুষের। কারণ, কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার না পেলও সবার মন জয় করেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কান চলচ্চিত্র উৎসব : যা নিয়ে ফিরছেন সাদ-বাঁধনরা

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

বিনোদন ডেস্ক: ধারণা করা হয়েছিল কান থেকে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অন্তত একটি পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফিরতে হচ্ছে পুরস্কার ছাড়াই। তবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম যে সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরছে তা ভাবলেই মাথা উচু হয়।
কানের লাল গালিচায় গেলো সাতদিন কতটা সরব ছিলো বাংলাদেশ- তা সহজেই অনুমেয়। গোটা বিশ্ব দেখেছে, লাল গালিচায় বাংলাদেশের অভিনেতা-নির্মাতাদের উজ্জ্বল হাসি। বিশ্বের নামী অনেক সংবাদমাধ্যম ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছ। তাই যদি বলা হয় সাদ-বাঁধনরা খালি হাতে ফিরছেন দেশে, তাহলে অবিচার হবে এই টিমের প্রতি।
এর আগে সত্যজিৎ রায়ের ছবির নায়িকা হয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের বিচরণ শুরু হয়। ববিতা এক সময় দেশের মুখোপাত্র হয়ে ঘুরেছেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। এরপর নানা সময় দেশের অনেক সিনেমা বিশ্বের নানা চলচ্চিত্র বিষয়ক উৎসবে ঘুরেছে। কিন্তু কানের অফিসিয়ালে সিলেকশন পেয়ে যেতে পারেনি একটিও। কানের লাল গালিচায় লাল সুবজের দেশের কোনো নির্মাতা অভিনেতাকে হাসতে দেখা যায়নি। সেটি করলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ তথা সাদ-বাঁধনরা।
কানের সাগর পাড়ের ৭৪তম এ আয়োজনে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ স্থান পায় উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে। বাংলাদেশী কোনো ছবির এমন অর্জন এটাই প্রথম। কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের পরেই এটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের কোনো ছবি এবারই প্রথম এতে জায়গা করে নিলো। ফলে কান-সৈকতে প্রথমবার উড়ে লাল-সবুজ পতাকা!
১৬ জুলাই ‘আ সার্তে রিগা’য় ৬টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে সেরা পুরস্কার গ্রান্ড প্রাইজ পায় রাশিয়ান নারী নির্মাতা কিরা কোভালেনকো পরিচালিত চলচ্চিত্র আনক্লেনচিং দ্য ফিস্টস। জুরি প্রাইজ পায় গ্রেট ফ্রিডম (সেবাস্টিয়ান মাইজে), এনসেম্বল প্রাইজ পায় বোন মের (হাফসিয়া হেরৎসি), প্রাইজ অব কারেজ পায় লা সিভিল (তিওডোরা আনা মিহাই), প্রাইজ অব অরিজিনালিটি পায় ল্যাম্ব (ভøাদিমির জোহানসন), স্পেশাল মেনশন পায় নচে দে ফুয়েগো (তাতিয়ানা উয়েজো)।
পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরতে না পারলেও অন্য বছরের তুলনায় এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসব একটু বিশেষ এদেশের সিনেমাপ্রেমিদের কাছে। গত ৭ জুলাই আঁ সার্তে রিগা বিভাগে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম। ছবিটির রিভিউ প্রকাশ হয়েছে হলিউড রিপোর্টার, স্ক্রিন ডেইলি ও রজার এবার্টের সাইটসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। একটি রিভিউতে এমনও বলা হয়েছে, কানের উল্লেখযোগ্য তিন ছবির একটি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) ফ্রান্সের কানে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিট) শুরু হয় আঁ সার্তে রিগা বিভাগের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। লাল গালিচায় অনেক দেশের অভিনয় শিল্পীদের হাসি দেখা গেলেও সকলকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে রাশিয়ান নারী নির্মাতা কিরা কোভালেনকো পরিচালিত ‘আনক্লেনচিং দ্য ফিস্টস (কিরা কোভালেনকো)’ ছবিটি।
উৎসবের ৭৪তম আসরে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০টি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পেয়েছিলো আঁ সার্তে রিগা বিভাগে। পুরস্কার বিতরণ করেন এই বিভাগের বিচারকদের প্রধান ব্রিটিশ নির্মাতা আন্দ্রেয়া আর্নল্ড। পুরস্কার না পেলেও আক্ষেপ নেই দেশের মানুষের। কারণ, কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার না পেলও সবার মন জয় করেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)