নিউইয়র্ক ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কাউকে ছাপিয়ে যাব, এই চিন্তাটাই আমার মধ্যে নেই: ফারিণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪৯ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : ক্যারিয়ারের সুসময় পার করছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বছরজুড়ে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন আলোচিত কিছু কাজ। বছরের শুরুতেই ‘ট্রল’ ওয়েব দিয়ে বেশ ভালো সাড়া পান, এরপর ফারিণ অভিনীত ‘রোমিও জুলিয়েট’, ‘কমলা রঙের রোদ’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘আপন’, ‘মন দরিয়া’, ‘২১ বছর পরে’, ‘মায়ের ডাক’, ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’, ‘বিড়াল তপস্যা’ ও ‘রিভেঞ্জ’ নাটকগুলো বেশ প্রশংসিত ও আলোচিত হয়। এর বাইরে ওয়েব ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’, ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ও ‘তিথির অসুখ’ দিয়ে তুমুল সাড়া পান। চলতি বছরে ফারিণ অভিনীত নাটক ও ওয়েব সবমিলিয়ে প্রায় ৬৯টির কাজ প্রচারে এসেছে।

ফারিণ বলেন, ‘কতগুলো কাজ প্রচারে এসেছে তার চেয়ে বেশি আমি দেখছি কতটা ভালো কাজ উপহার দিতে পেরেছি দর্শকদের। গতবারের তুলনায় এবার একটু বেশি। যেহেতু করোনার মহামারীর কারণে আমরা অনেকেই কিছু সময় কাজ করতে পারি নি। আর আমার ক্যারিয়ারের বয়সও তো এত বেশি না। তারপরেও বলবো, যতটুকু করতে পেরেছি এতে আমি সন্তুষ্ট। এবছর আমার অনেকগুলো ভালো কাজ এসেছে, দর্শকরাও পছন্দ করেছে অনেক। এতেই আমি খুশি।’

প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বছরের প্রাপ্তি অনেক। আমি এই বছরের শুরুতে যেরকমভাবে পরিকল্পনা বা প্রত্যাশা করেছিলাম তার বেশিরভাগই পূরণ করতে পেরেছি। প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবে অনেক কিছুই মিলে গিয়েছে এবছর। মানুষ তো কখনোই শতভাগ পূর্ণ না। আমার জায়গা থেকে আমি অনেক বেশি খুশি। এই বছরটাতে আমি অনেকগুলো হাইলাইটেড কাজ করতে পেরেছি। আমি এমনিতেও একটু বেছে কাজ করছি অনেক দিন। সেই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পেরেছি। যে ধরণের কাজ করতে চেয়েছিলাম সেগুলো করতে পেরেছি।

বলা যায়, যেরকমটা চিন্তা করেছিলাম ঠিক সেরকমভাবেই পেয়েছি আমি। বলতে পারি, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি এ বছর। যেমন- ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ কাজটা এত বেশি হিট হবে, দর্শকরা এত বেশি পছন্দ করবে; এটা কখনও প্রত্যাশা করি নি। কিছু নাটকের কাজ করেছি, কোনো প্রত্যাশা ছিল না তারপরও দেখি সেই কাজগুলো দর্শকরা অনেক বেশি পছন্দ করেছেন। সব মিলিয়ে আমি বলবো অনেক কিছু পেয়েছি। আমি খুব খুশি।

আর বিশেষ করে যদি বলি তাহলে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ সিরিজটার কথা বলবো। এই কাজটা আমার কাছে সেরা ও অন্যরকম অভিজ্ঞতা। একজন শিল্পী হিসেবে বলি বা মানুষ হিসেবে; দুই দিক থেকেই আমাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে। আমার মনে হয়, এ বছরে এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।

অপ্রাপ্তি বলতে তেমন কিছু নেই। তবে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। এ বছর যেরকম কাজ করতে পেরেছি আগামীতে যেন তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো কাজ করতে পারি।’

এ বছরে অনেকেই অনেক ভালো কাজ উপহার দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে কখনও কি মনে হয়েছে যে তাদের (অন্যান্য সহকর্মী) থেকেও ভালো কাজ করতে হবে আমাকে? এমন প্রশ্নে তাসনিয়া ফারিণের স্পষ্ট জবাব, ‘আমি কখনও কাউকে প্রতিযোগী ভেবে কাজ করি না। আমি কাউকে ছাপিয়ে যাব, এই চিন্তাটাই আমার মধ্যে নেই। আমি যদি এটা ভাবি যে, আমি তাকে ছাপিয়ে যাব তার মানে হলো আমার চেষ্টাটাকে আমি একটা সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেললাম। যদি সেটাই হয় তাহলে আমার টার্গেট টা কিন্তু অনেক ছোট হয়ে যাবে, আমি অনেক বড় কিছুর দিকে এগোতে পারবো না। আমার লক্ষ্য হবে সময়কে ছাপিয়ে যাওয়া। এতে করে আমি একটা নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ না হয়ে প্রতিনিয়তই ভালো কিছু করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো। আমি সবসময় এটা ভাবি যে, আমার আজকের কাজটা থেকে আগামীকালের কাজটা যেন ভালো হয়। সময়ের সাথে কিংবা নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগীতা করতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’

বছরের শেষদিকে এসে কি কখনও চিন্তা করেন যে, বছর শুরুতে যে পরিকল্পনা করেছিলাম সেগুলো বাস্তবায়িত হলো কিনা বা কোনো আক্ষেপ! অভিনেত্রীর উত্তর, ‘ওভাবে না ভাবলেও আমি চেষ্টা করি সামঞ্জস্যটা রাখার। যেমন বলেছিলাম, এই বছর অনেক সিলেক্টিভ কাজ করবো এবং সেগুলো খুব চুজি হবে। আমার মনে হয় সেগুলো আমি করতে পেরেছি। আবার এটাও বলবো না যে, সবকিছু একদম পিক করতে পেরেছি। তবে এটলিস্ট দুইটা আলাদা মানুষ মনে হবে না আর কি! শুরু এবং শেষ মিলিয়ে দুইজনই একই মানুষ আছি।’

নতুন বছরের প্রত্যাশা বা পরিকল্পনা নিয়ে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নতুন বছরের প্রত্যাশা এটাই যে, যেন আরও ভালো ভালো কাজ করতে পারি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, পরিবার নিয়ে যেন সুস্থ থাকতে পারি, এই কামনাই করি। এই দুই বছরে তো অনেক কিছুই দেখলাম। সবাই সুস্থ থেকে যেন আবারও সুস্থ পরিবেশে কাজ করতে পারি, এটাই চাই। আর নতুন বছরে একটা সুখবর দেওয়ার চেষ্টা করবো। দেখা যাক কি হয় সামনে।’

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কাউকে ছাপিয়ে যাব, এই চিন্তাটাই আমার মধ্যে নেই: ফারিণ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : ক্যারিয়ারের সুসময় পার করছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বছরজুড়ে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন আলোচিত কিছু কাজ। বছরের শুরুতেই ‘ট্রল’ ওয়েব দিয়ে বেশ ভালো সাড়া পান, এরপর ফারিণ অভিনীত ‘রোমিও জুলিয়েট’, ‘কমলা রঙের রোদ’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘আপন’, ‘মন দরিয়া’, ‘২১ বছর পরে’, ‘মায়ের ডাক’, ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’, ‘বিড়াল তপস্যা’ ও ‘রিভেঞ্জ’ নাটকগুলো বেশ প্রশংসিত ও আলোচিত হয়। এর বাইরে ওয়েব ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’, ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ও ‘তিথির অসুখ’ দিয়ে তুমুল সাড়া পান। চলতি বছরে ফারিণ অভিনীত নাটক ও ওয়েব সবমিলিয়ে প্রায় ৬৯টির কাজ প্রচারে এসেছে।

ফারিণ বলেন, ‘কতগুলো কাজ প্রচারে এসেছে তার চেয়ে বেশি আমি দেখছি কতটা ভালো কাজ উপহার দিতে পেরেছি দর্শকদের। গতবারের তুলনায় এবার একটু বেশি। যেহেতু করোনার মহামারীর কারণে আমরা অনেকেই কিছু সময় কাজ করতে পারি নি। আর আমার ক্যারিয়ারের বয়সও তো এত বেশি না। তারপরেও বলবো, যতটুকু করতে পেরেছি এতে আমি সন্তুষ্ট। এবছর আমার অনেকগুলো ভালো কাজ এসেছে, দর্শকরাও পছন্দ করেছে অনেক। এতেই আমি খুশি।’

প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বছরের প্রাপ্তি অনেক। আমি এই বছরের শুরুতে যেরকমভাবে পরিকল্পনা বা প্রত্যাশা করেছিলাম তার বেশিরভাগই পূরণ করতে পেরেছি। প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবে অনেক কিছুই মিলে গিয়েছে এবছর। মানুষ তো কখনোই শতভাগ পূর্ণ না। আমার জায়গা থেকে আমি অনেক বেশি খুশি। এই বছরটাতে আমি অনেকগুলো হাইলাইটেড কাজ করতে পেরেছি। আমি এমনিতেও একটু বেছে কাজ করছি অনেক দিন। সেই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পেরেছি। যে ধরণের কাজ করতে চেয়েছিলাম সেগুলো করতে পেরেছি।

বলা যায়, যেরকমটা চিন্তা করেছিলাম ঠিক সেরকমভাবেই পেয়েছি আমি। বলতে পারি, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি এ বছর। যেমন- ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ কাজটা এত বেশি হিট হবে, দর্শকরা এত বেশি পছন্দ করবে; এটা কখনও প্রত্যাশা করি নি। কিছু নাটকের কাজ করেছি, কোনো প্রত্যাশা ছিল না তারপরও দেখি সেই কাজগুলো দর্শকরা অনেক বেশি পছন্দ করেছেন। সব মিলিয়ে আমি বলবো অনেক কিছু পেয়েছি। আমি খুব খুশি।

আর বিশেষ করে যদি বলি তাহলে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ সিরিজটার কথা বলবো। এই কাজটা আমার কাছে সেরা ও অন্যরকম অভিজ্ঞতা। একজন শিল্পী হিসেবে বলি বা মানুষ হিসেবে; দুই দিক থেকেই আমাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে। আমার মনে হয়, এ বছরে এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।

অপ্রাপ্তি বলতে তেমন কিছু নেই। তবে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। এ বছর যেরকম কাজ করতে পেরেছি আগামীতে যেন তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো কাজ করতে পারি।’

এ বছরে অনেকেই অনেক ভালো কাজ উপহার দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে কখনও কি মনে হয়েছে যে তাদের (অন্যান্য সহকর্মী) থেকেও ভালো কাজ করতে হবে আমাকে? এমন প্রশ্নে তাসনিয়া ফারিণের স্পষ্ট জবাব, ‘আমি কখনও কাউকে প্রতিযোগী ভেবে কাজ করি না। আমি কাউকে ছাপিয়ে যাব, এই চিন্তাটাই আমার মধ্যে নেই। আমি যদি এটা ভাবি যে, আমি তাকে ছাপিয়ে যাব তার মানে হলো আমার চেষ্টাটাকে আমি একটা সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেললাম। যদি সেটাই হয় তাহলে আমার টার্গেট টা কিন্তু অনেক ছোট হয়ে যাবে, আমি অনেক বড় কিছুর দিকে এগোতে পারবো না। আমার লক্ষ্য হবে সময়কে ছাপিয়ে যাওয়া। এতে করে আমি একটা নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ না হয়ে প্রতিনিয়তই ভালো কিছু করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো। আমি সবসময় এটা ভাবি যে, আমার আজকের কাজটা থেকে আগামীকালের কাজটা যেন ভালো হয়। সময়ের সাথে কিংবা নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগীতা করতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’

বছরের শেষদিকে এসে কি কখনও চিন্তা করেন যে, বছর শুরুতে যে পরিকল্পনা করেছিলাম সেগুলো বাস্তবায়িত হলো কিনা বা কোনো আক্ষেপ! অভিনেত্রীর উত্তর, ‘ওভাবে না ভাবলেও আমি চেষ্টা করি সামঞ্জস্যটা রাখার। যেমন বলেছিলাম, এই বছর অনেক সিলেক্টিভ কাজ করবো এবং সেগুলো খুব চুজি হবে। আমার মনে হয় সেগুলো আমি করতে পেরেছি। আবার এটাও বলবো না যে, সবকিছু একদম পিক করতে পেরেছি। তবে এটলিস্ট দুইটা আলাদা মানুষ মনে হবে না আর কি! শুরু এবং শেষ মিলিয়ে দুইজনই একই মানুষ আছি।’

নতুন বছরের প্রত্যাশা বা পরিকল্পনা নিয়ে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নতুন বছরের প্রত্যাশা এটাই যে, যেন আরও ভালো ভালো কাজ করতে পারি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, পরিবার নিয়ে যেন সুস্থ থাকতে পারি, এই কামনাই করি। এই দুই বছরে তো অনেক কিছুই দেখলাম। সবাই সুস্থ থেকে যেন আবারও সুস্থ পরিবেশে কাজ করতে পারি, এটাই চাই। আর নতুন বছরে একটা সুখবর দেওয়ার চেষ্টা করবো। দেখা যাক কি হয় সামনে।’