ঐশ্বরিয়ার সাহসে মুগ্ধ ছিলেন সালমানের সাবেক প্রেমিকা

- প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
- / ৪০ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : তখন তিনি ঐশ্বরিয়া রাই। নামের পিছনে তখন ‘বচ্চন’ বসেনি। একটি সম্পর্কে থাকাকালীন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। শোনা যায়, প্রেমিকের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরী।
ঐশ্বরিয়ার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন বলিউডের এক সময়ের অভিনেত্রী সোমি আলি।
তার অবশ্য আরও একটি পরিচয় আছে। ঐশ্বরিয়ার সাবেক প্রেমিক সালমান খানের সঙ্গে এক সময় সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সোমি। বলিউডে তাদের প্রেম ছিল চর্চার বিষয়। কিন্তু সেই প্রেমও বেশিদিন টেকেনি। সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই বলিউড ত্যাগ করেন সোমি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যৌন ও গার্হস্থ্য হিংসার কবলে পড়া ব্যক্তিদের পাশে থাকার জন্য একটি সংস্থা চালান তিনি।
সোমি আলি
সোমি জানিয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়ার প্রতিবাদী সত্তা দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ঐশ্বরিয়াই একমাত্র ছিলেন যিনি সম্পর্কের সময় বাইরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার সাহস পেয়েছিলেন। ঐশ্বরিয়ার সেই অবস্থান নেওয়ার জন্য তাকে স্যালুট ও প্রশংসা করেন সোমি।
শোনা যায়, সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এমনকি প্রেমিকার ছবির সেটে গিয়েও সালমানের গোল পাকানোর গল্প চাউর বলিউডে। এ বিষয়ে যদিও কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি সালমান বা ঐশ্বরিয়া।
বলিউডের ভাইজান তাদের প্রেমকে বিয়ের রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐশ্বরিয়া বেঁকে বসেন। তিনি চেয়েছিলেন মন দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে। তাই বিয়ের প্রস্তাব অ্যাশ ফিরিয়ে দেন।
সালমান বলিউড সুন্দরীকে রাজি করানোর জন্য গভীর রাতে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হন। এমনকি এই বলিউড তারকা রাগে অন্ধ হয়ে গিয়ে ১৯তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। কিন্তু কিছুতেই অ্যাশ সেদিন তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি। সকাল পর্যন্ত সালমান সাবেক বিশ্বসুন্দরীর ফ্ল্যাটের দরজা পেটাতে থাকেন। এর ফলে তার হাত রক্তাক্ত হয়ে যায়।
ঐশ্বরিয়ার বাবা সাল্লু মিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন।
শোনা যায়, ঐশ্বরিয়া সেটের মধ্যে তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। ঐশ্বরিয়ার এই ছবির নায়ক ছিলেন অভিষেক বচ্চন। এমনকি জুনিয়ার বচ্চনের গাড়িও নাকি ভাঙচুর করেন সালমান। এরপর অ্যাশ তার সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেন।