নিউইয়র্ক ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এ আর রহমানের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ সরাতে আইনি নোটিশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২ বার পঠিত

ফাইল ছবি

 বিনোদন ডেস্ক : অস্কারজয়ী শিল্পী এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায় গাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিবাদী গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সেটি অপসারণ করতে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ডাক ও ই-মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, “কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন। এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছন। এই গান নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’।”

বৃটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি লেখেন। গানটি ‘ভাঙার গান’ কবির বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়। ১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী ও তার সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তার কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।

প্রসঙ্গত, “পিপ্পা” সিনেমায় “কারার ওই লৌহ কপাট” গানটি নতুন সুরে রূপ দিয়েছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীতজ্ঞ এ আর রাহমান। তবে গানটির মূল সুরকে “বিকৃত” করার অভিযোগে বাংলাদেশ ও ভারতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিপ্পা টিমের পক্ষ থেকে ক্ষচ চাওয়া হয়। সত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এ আর রহমানের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ সরাতে আইনি নোটিশ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

 বিনোদন ডেস্ক : অস্কারজয়ী শিল্পী এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায় গাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিবাদী গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সেটি অপসারণ করতে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ডাক ও ই-মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, “কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন। এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছন। এই গান নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’।”

বৃটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি লেখেন। গানটি ‘ভাঙার গান’ কবির বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়। ১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী ও তার সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তার কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।

প্রসঙ্গত, “পিপ্পা” সিনেমায় “কারার ওই লৌহ কপাট” গানটি নতুন সুরে রূপ দিয়েছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীতজ্ঞ এ আর রাহমান। তবে গানটির মূল সুরকে “বিকৃত” করার অভিযোগে বাংলাদেশ ও ভারতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিপ্পা টিমের পক্ষ থেকে ক্ষচ চাওয়া হয়। সত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন