নিউইয়র্ক ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমি হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চাই…

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৭৫ বার পঠিত

হুমায়ূন আহমেদ ও নাটকটির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক : আজ (১৩ নভেম্বর) বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক-নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। অসাধারণ সব নাটক-সিনেমা আর অনবদ্য সব চরিত্রের এ কারিগরকে নিয়ে তৈরি হয়েছেন নাটক। নাম ‘আমি হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চাই’। এটি নির্মাণ করেছেন সালাহ উদ্দিন লাভলু। লিখেছেন রাজিয়া সুলতানা জেনি।

নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলুর ভাষ্য, ‘নাটকের গল্পটা ব্যতিক্রম ও সুন্দর। ধনী বাবার একমাত্র ছেলে। নাম তার হ‌ুমায়ূন। কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের মা ও বাবার নাম যা, হ‌ুমায়ূনের মা-বাবার নামও তা। সব মিলিয়ে নিজেকে হ‌ুমায়ূন আহমেদ ভাবতেই ভালো লাগে হ‌ুমায়ূনের। একসময় সে সত্যি সত্যিই কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চায়। কিন্তু বড়লোক মা-বাবার সঙ্গে থাকলে হ‌ুমায়ূন আহমেদ হওয়া যাবে না, এই ভেবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সে একাকী জীবনযাপন শুরু করে দারিদ্র্যের মধ্যে। এরপর শুরু হয় তার হুমায়ুন আহমেদ হওয়ার চেষ্টা।’

(বাঁ থেকে) জুনায়েদ বোগদাদী, রিয়া, ডলি জহুর, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, রোশান ও রোশনী। ছবি: সংগৃহীত

নাটকে হ‌ুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদী এবং গুলতেকিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়া। হ‌ুমায়ূনের মায়ের চরিত্রে রয়েছেন ডলি জহুর এবং গুলতেকিনের মায়ের চরিত্রে শিল্পী সরকার অপু।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে নাটকটি।

হ‌ুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একদিকে সাহিত্য দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন পাঠককে, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। তার হাত ধরেই তারকার সম্মান পেয়েছেন এ দেশের অনেক শিল্পী। তার সৃষ্টিতে উঠে এসেছে নৈসর্গিক দৃশ্য, জোছনা, বৃষ্টিসহ বাংলার চিরচেনা প্রকৃতির ব্যঞ্জনা।

টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকদের দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩-এ নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’।

১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘শ্যামল ছায়া’। এটি ২০০৬ সালে অস্কারের সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল। এছাড়া এটি প্রদর্শিত হয় কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ২০০৮-এ ‘আমার আছে জল’ পরিচালনা করেন তিনি। তার সব চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ গান রচনা করেছেন তিনি নিজেই। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত শেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।
Independent Television

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমি হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চাই…

প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : আজ (১৩ নভেম্বর) বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক-নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। অসাধারণ সব নাটক-সিনেমা আর অনবদ্য সব চরিত্রের এ কারিগরকে নিয়ে তৈরি হয়েছেন নাটক। নাম ‘আমি হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চাই’। এটি নির্মাণ করেছেন সালাহ উদ্দিন লাভলু। লিখেছেন রাজিয়া সুলতানা জেনি।

নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলুর ভাষ্য, ‘নাটকের গল্পটা ব্যতিক্রম ও সুন্দর। ধনী বাবার একমাত্র ছেলে। নাম তার হ‌ুমায়ূন। কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের মা ও বাবার নাম যা, হ‌ুমায়ূনের মা-বাবার নামও তা। সব মিলিয়ে নিজেকে হ‌ুমায়ূন আহমেদ ভাবতেই ভালো লাগে হ‌ুমায়ূনের। একসময় সে সত্যি সত্যিই কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদ হতে চায়। কিন্তু বড়লোক মা-বাবার সঙ্গে থাকলে হ‌ুমায়ূন আহমেদ হওয়া যাবে না, এই ভেবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সে একাকী জীবনযাপন শুরু করে দারিদ্র্যের মধ্যে। এরপর শুরু হয় তার হুমায়ুন আহমেদ হওয়ার চেষ্টা।’

(বাঁ থেকে) জুনায়েদ বোগদাদী, রিয়া, ডলি জহুর, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, রোশান ও রোশনী। ছবি: সংগৃহীত

নাটকে হ‌ুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদী এবং গুলতেকিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়া। হ‌ুমায়ূনের মায়ের চরিত্রে রয়েছেন ডলি জহুর এবং গুলতেকিনের মায়ের চরিত্রে শিল্পী সরকার অপু।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে নাটকটি।

হ‌ুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একদিকে সাহিত্য দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন পাঠককে, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। তার হাত ধরেই তারকার সম্মান পেয়েছেন এ দেশের অনেক শিল্পী। তার সৃষ্টিতে উঠে এসেছে নৈসর্গিক দৃশ্য, জোছনা, বৃষ্টিসহ বাংলার চিরচেনা প্রকৃতির ব্যঞ্জনা।

টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকদের দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩-এ নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’।

১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘শ্যামল ছায়া’। এটি ২০০৬ সালে অস্কারের সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল। এছাড়া এটি প্রদর্শিত হয় কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ২০০৮-এ ‘আমার আছে জল’ পরিচালনা করেন তিনি। তার সব চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ গান রচনা করেছেন তিনি নিজেই। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত শেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।
Independent Television

হককথা/নাছরিন