নিউইয়র্ক ০১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘আমার ক্যারিয়ারে কোন কাজ এতদিন আটকে থাকেনি’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২৫ বার পঠিত

এক নারীর সমুদ্র দেখার গল্প নিয়ে নির্মাতা শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছেন ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন হালের জনপ্রিয় তারকা জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় দেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই স্ক্রিনে মুক্তি পাবে ওয়েব ফিল্মটি।

নিশো-মেহজাবীন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ইস্পাহানি মির্জাপুর টি লি. এর মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, নির্মাতা শিহাব শাহীন, আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক ও চিত্রনায়ক রিয়াজসহ ফিল্মের কলাকুশলীরা।

এসময় মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে কোনও কাজ এত দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকেনি, এটা যত দিন আটকে ছিল। ২০২১- আমি খুব চাচ্ছিলাম একটা ব্যতিক্রম কাজ করতে। কিন্তু গল্প পাচ্ছিলাম না। একটা সময় এই গল্পটা পাই। এখানে আমার যে ক্যারেক্টার, ও ছোটবেলা থেকে বড় হয় স্কুল-কলেজ পেরিয়ে সংসার শুরু করে, পুরো জার্নিতে ওর একটাই ইচ্ছা ছিল, কক্সবাজার যাবে।

তো শুটিংয়ে প্রথম সমস্যাটা আমিই করি। আমার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। তারপরও আমরা চাচ্ছিলাম কাজটা করি। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে আর শুটিং চালিয়ে যেতে পারিনি। এরপর ব্রেকের পর পর ব্রেক হতেই থাকলো। মনে হচ্ছিল, এত সুন্দর একটা গল্প দর্শককে দিতে চাচ্ছি, এত বাধা আসছে কেন। অবশেষে গত আগস্টে কাজটা শেষ হয়েছে। এখন সবার জন্য মুক্তি পাচ্ছে।’

নিশো বলেন, ‘নীল জলের কাব্য’ একটি মেয়ের দীর্ঘদিনের ইচ্ছের গল্প। তবে গল্পে নানা ঘটনা যুক্ত হবে। শুটিংয়ের মাঝে করোনা, এরপর কয়েক দফায় শুটিং শেষ করতে পেরেছি, কথা বলতে গিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। মানুষের ভেতরে ছোট্ট একটি ইচ্ছা ক্রমান্বয়ে লালিত হয়, সেটা পূরণ করতে কতটা পথ পাড়ি দিতে হয়, সেই জার্নিটা দেখা যাবে এখানে।’

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, যখন শুটিং শুরু করেছিলাম, তখন ওটিটি মাধ্যম দেশে এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। শুরুতে টেলিফিল্ম হিসেবে কাজ শুরু হলেও বর্তমানে এটিকে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে রূপ দেওয়া হয়।

‘নীল জলের কাব্য’ সেখানে দেখা যায়, নানির কাছে কক্সবাজারের গল্প শুনে সমুদ্র দেখার স্বপ্ন জাগে মেহজাবীনের। অনেকবার সমুদ্র দেখার বায়না করলেও মেয়ে বলে পরিবার থেকে অনুমতি পায় না সে। আফরান নিশোর সঙ্গে বিয়ের পর সে জানায়, তাকে সমুদ্রে নিয়ে যেতে হবে। ইচ্ছা থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা। টাকা জমানোর পরিকল্পনা করলেও আসতে থাকে একের পর এক বাধা। সেই গল্পই দেখা যাবে এই ওয়েব ফিল্মে!

সবশেষে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, অনেকগুলো স্তর পার হয়ে একটি কাজ সম্পূর্ণ হয়। ‘নীল জলের কাব্য’ সব স্তর পার হয়ে এখন শেষ স্তরে। ‘নীল জলের কাব্য’ একটি ওয়েব ফিল্ম, যেটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে একসঙ্গে দেখা যাবে। সূত্র : সমকাল

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘আমার ক্যারিয়ারে কোন কাজ এতদিন আটকে থাকেনি’

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

এক নারীর সমুদ্র দেখার গল্প নিয়ে নির্মাতা শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছেন ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন হালের জনপ্রিয় তারকা জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় দেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই স্ক্রিনে মুক্তি পাবে ওয়েব ফিল্মটি।

নিশো-মেহজাবীন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ইস্পাহানি মির্জাপুর টি লি. এর মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, নির্মাতা শিহাব শাহীন, আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক ও চিত্রনায়ক রিয়াজসহ ফিল্মের কলাকুশলীরা।

এসময় মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে কোনও কাজ এত দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকেনি, এটা যত দিন আটকে ছিল। ২০২১- আমি খুব চাচ্ছিলাম একটা ব্যতিক্রম কাজ করতে। কিন্তু গল্প পাচ্ছিলাম না। একটা সময় এই গল্পটা পাই। এখানে আমার যে ক্যারেক্টার, ও ছোটবেলা থেকে বড় হয় স্কুল-কলেজ পেরিয়ে সংসার শুরু করে, পুরো জার্নিতে ওর একটাই ইচ্ছা ছিল, কক্সবাজার যাবে।

তো শুটিংয়ে প্রথম সমস্যাটা আমিই করি। আমার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। তারপরও আমরা চাচ্ছিলাম কাজটা করি। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে আর শুটিং চালিয়ে যেতে পারিনি। এরপর ব্রেকের পর পর ব্রেক হতেই থাকলো। মনে হচ্ছিল, এত সুন্দর একটা গল্প দর্শককে দিতে চাচ্ছি, এত বাধা আসছে কেন। অবশেষে গত আগস্টে কাজটা শেষ হয়েছে। এখন সবার জন্য মুক্তি পাচ্ছে।’

নিশো বলেন, ‘নীল জলের কাব্য’ একটি মেয়ের দীর্ঘদিনের ইচ্ছের গল্প। তবে গল্পে নানা ঘটনা যুক্ত হবে। শুটিংয়ের মাঝে করোনা, এরপর কয়েক দফায় শুটিং শেষ করতে পেরেছি, কথা বলতে গিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। মানুষের ভেতরে ছোট্ট একটি ইচ্ছা ক্রমান্বয়ে লালিত হয়, সেটা পূরণ করতে কতটা পথ পাড়ি দিতে হয়, সেই জার্নিটা দেখা যাবে এখানে।’

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, যখন শুটিং শুরু করেছিলাম, তখন ওটিটি মাধ্যম দেশে এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। শুরুতে টেলিফিল্ম হিসেবে কাজ শুরু হলেও বর্তমানে এটিকে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে রূপ দেওয়া হয়।

‘নীল জলের কাব্য’ সেখানে দেখা যায়, নানির কাছে কক্সবাজারের গল্প শুনে সমুদ্র দেখার স্বপ্ন জাগে মেহজাবীনের। অনেকবার সমুদ্র দেখার বায়না করলেও মেয়ে বলে পরিবার থেকে অনুমতি পায় না সে। আফরান নিশোর সঙ্গে বিয়ের পর সে জানায়, তাকে সমুদ্রে নিয়ে যেতে হবে। ইচ্ছা থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা। টাকা জমানোর পরিকল্পনা করলেও আসতে থাকে একের পর এক বাধা। সেই গল্পই দেখা যাবে এই ওয়েব ফিল্মে!

সবশেষে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, অনেকগুলো স্তর পার হয়ে একটি কাজ সম্পূর্ণ হয়। ‘নীল জলের কাব্য’ সব স্তর পার হয়ে এখন শেষ স্তরে। ‘নীল জলের কাব্য’ একটি ওয়েব ফিল্ম, যেটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে একসঙ্গে দেখা যাবে। সূত্র : সমকাল