অবশেষে সাত পাকে বাঁধা আলিয়া-রণবীর

- প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
- / ৫৫ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : কোটি জল্পনা রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের বিয়ে নিয়ে! অবশেষে সব জল্পনার অবসান হলো। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই বলিউড তারকা যুগল। আজ বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। শোনা যাচ্ছে, যুগলে সাত পাক ঘুরবেন বিকেল ৩টা নাগাদ।
রণবীরের মা অভিনেত্রী নিতু কাপুর জানান, রণবীরের বান্দ্রার বাড়ি বাস্তুতেই চলছে বিয়ের অনুষ্ঠান।
দীপিকা-ক্যাটরিনাদের মতো আলিয়াও নিজের এই বিশেষ দিনে সব্যসাচীর ডিজাইন করা লেহেঙ্গায় সাজবেন। অন্যদিকে রণবীরের পরনে থাকবে মনীশ মালহোত্রার ডিজাইনার পোশাক।
এদিকে বদলে যাচ্ছে ‘রণলিয়া’র রিসেপশনের ঠিকানা। এত দিন ঠিক ছিল মুম্বাইয়ের প্রথম সারির হোটেল তাজ মহল প্যালেসে হবে রিসেপশন। সেখানেই আমন্ত্রিত বলিউডের সব তারকা। তবে পাত্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিয়ে-রিসেপশন সবই হবে একই জায়গায়, বান্দ্রার বাস্তুতেই। ১৬ এপ্রিল বলিউডকে একসাথে স্বাগত জানাবে দুই পরিবার।
অতিথিদের নিরাপত্তার কারণেই এই স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বহুদিন পরে বলিউডের কোনো চর্চিত যুগল ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পথে না হেঁটে মুম্বাইয়ে বিয়ে সারছেন।
গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) ছিল অনুষ্ঠিত হয় রণবীর-আলিয়ার মেহেন্দি ও সংগীতের অনুষ্ঠান। শোনা যাচ্ছে, নিজের হাতের মেহেন্দিতে রণবীরের নাম লেখেননি আলিয়া। তার বদলে বিশেষ একটি সংখ্যা লিখেছেন তিনি। হাতের মেহেন্দির নকশায় ৮ নম্বর লিখেছেন আলিয়া। কারণ আট নম্বরকে লাকি মনে করেন রণবীর।
আলিয়া-রণবীরের কোনো ছবি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। কারণ কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রণবীর-আলিয়ার বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে। অতিথিদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু প্রটোকল। ভেতরের ছবি কোনোভাবেই ফাঁস করা যাবে না, এমন নাকি শর্ত দিয়েছেন তারকা জুটি। তাই মেহেন্দিতে কেমন সেজেছিলেন রণবীর বা আলিয়া, তা জানা যায়নি।
রণবীরের মা নীতু কাপুর ও বোন ঋদ্ধিমা কাপুর
দুই পরিবারের তারকা সদস্য ও কাছের বন্ধুদের বাস্তুর অন্দরে যাওয়া-আসা করতে দেখা গেছে। তাদের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
তবে মেহেন্দির ছবি পোস্ট করেছেন নীতু। তার হাতে লেখা রয়েছে প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের নাম। ছেলের বিয়ে দেখে যেতে পারেননি ঋষি। তা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে নীতুর। তবে স্বামীর কথা ভেবেই সেলিব্রেশনে কমতি রাখছেন না নিতু।
হককথা/এমউএ