নিউইয়র্ক ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবশেষে মুখ খুললেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির নির্মাতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • / ৮৪ বার পঠিত

আশিকুর রহমান ও শাকিব খান

বিনোদন ডেস্ক :  ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বর্তমানে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের পর অবশেষে মুখ খুললেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির পরিচালক আশিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘অপারেশন অগ্নিপথ চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে যথেষ্ট পরিমাণে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসাবে আমার অবস্থান ও বক্তব্য উপস্থাপন করছি।’

চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ও বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক। আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। অভিযোগ করার মাধ্যমে কি লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছে এটা অভিযোগকারীর কাছেই পরিষ্কার নয়। যদি অনৈতিক কোন কাজ কেও সংঘটন করে থাকে, তবে তা যে কোন দেশের আইনেও অপরাধ যোগ্য। এবং আমাদের সবারি সেটার বিচার চাওয়া উচিত। কিন্তু ঘটনার বদলে টাকা বা অন্যকোন সুবিধা চাওয়া টা পুরপুরি অগ্রহণযোগ্য। তবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো অভিযোগকে সত্যি বলা যায় না। এবং অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব একমাত্র পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারি বাহিনীর। একটি চলচ্চিত্রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, ব্যক্তিগত রোষানলের বিষয়ে সমাধান করা অগ্রহণযোগ্য।’

Ashiqur Rahmanআশিকুর রহমান

তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খান ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুইবার অস্ট্রেলিয়া তে শুটিং করতে আসেন। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৭-৮ দিনের শুটিং করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে “সুপার হিরো” চলচ্চিত্রের শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি নাকি পালিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে, যেটা বাস্তবে কখনও হওয়া সম্ভব না। এই দেশে কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে, তা খতিয়ে শেষ না দেখা পর্যন্ত, তাকে দেশ ত্যাগ বা প্রবেশ এর অনুমতি দেয়া হয় না। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে এই দুই চলচ্চিত্রের সকল কলাকুশলী সম্মান ও আতিথেয়তা সহকারে অস্ট্রেলিয়া আগমন ও ত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলাবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলা
২০১৮ সালে, শাকিব খান ও অন্যান্য কলাকুশলীরা যখন হোটেল হলিডে ইনে অবস্থান করছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুইজন তদন্তকারী কর্ম কর্তা তার রুমে যান। প্রায় ২০-৩০ মিনিটের অবস্থান শেষ এ তারা অন্যান্যদের আরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করে চলে যান। এই ঘটনা ছাড়া শাকিব খানের সাথে পুলিশের আর কোনো ইন্টারেকশন আমার জানা নেই। সেই দিনও আমরা ইনডোরে মুভির ২টা সিকুয়েন্স শুট করি। তার একদিন পর, আমি, রবিউল রবি ও শাকিব খানের আরেকজন লিগ্যাল প্রতিনিধি কোগরা পুলিশ স্টেশনে যাই, উক্ত ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য।

 

শাকিব খানের প্রতিনিধি পুলিশের সাথে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে আলাদা একটি রুমে বসেন। প্রায় ১ ঘণ্টার আলোচনা শেষে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের জানান, জনাব শাকিব খানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ এর সত্যতার, তারা প্রমাণ পান নাই। তারপর, তিনি শাকিব খানের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলেন, এবং তাকে কোন সন্দেহ ছাড়া ও নিশ্চিন্তে সিডনিতে শুটিং করতে বলেন। উক্ত ঘটনার পর, আমরা আরও দুই সপ্তাহেরও বেশি সিডনিতে শুটিং করি। সফলভাবে শুটিং করার পর, সুপারহিরো চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এবং দর্শকদের মন জয় করে সুপারহিট হয়।’

আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যেকোনো কাজ করার সময়, ছোটখাটো অনেক ত্রুটি থাকে। সেগুলোকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করাটা মোটেও সমীচীন নয়। খাবার দাবারসহ যে সকল অনর্থক অভিযোগ এসেছে, সেই গুলো আসলে অনভিপ্রেত ও ক্ষুদ্র মানষিকতার পরিচয় দেয়। শুটিংয়ের বিশাল কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সময় পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা বিরতিহীন শুটিং করার পর, সবারই মুল লক্ষ্য থাকত বিশ্রাম নেয়া ও পরের দিনের শুটিং এর প্রস্তুতি নেয়া।

শাকিব খান, এবং আমরা যতক্ষণ একসাথে শুটিং করেছি, কখনও আপত্তিকর কিছু চোখে পড়েনি। এ ছাড়া কাজের বাইরে কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি কখনও আগ্রহ দেখাইনি। আমি যে কয়বার অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে শুধুমাত্র এই মুভির জন্য গিয়েছি, তার খরচ এই মুভিতে আমার পারিশ্রমিকের থেকে বেশি। এই মুভিতে কাহিনীকার ও পরিচালক হিসাবে আমি যে সময় ও শ্রম দিয়েছি, তা টাকার অংকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।’

AshiqurRahmanআশিকুর রহমান

সবশেষে এই পরিচালক বলেন, ‘“অপারেশন অগ্নিপথ’ চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ মিলিয়ে শুট করার একটাই কারণ ছিল। সেটা হলো আমরা অনিন্দ্য সুন্দর একটি দেশকে বাংলাদেশের সিনেমার পর্দায় উপস্থিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ও ঈর্ষা কাতর মানুষের কারণে আমরা অসাধারণ একটি গল্প পর্দায় আনতে পারিনি। এই মুভিটি পর্দায় আসলে, বাংলা ভাষায় দর্শকরা অসাধারণ একটি স্পাই থ্রিলার উপভোগ করতে পারত। আমরা সবাই এখনও চাই এই মুভির কাজ শেষ করতে। সময় বলে দেবে, এই চাওয়াটা কতটুকু পাওয়া সম্ভব। তবে মাত্র ৮ দিনের শুটিং আর দুই মিনিটের টিজারে যে ঘটনার জন্ম দিয়েছে, আমার মনে হয় না বিগত কয়েক বছরে কোনো চলচ্চিত্র এতটা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অপারেশন অগ্নিপথ মুভিটি সত্যিকারের অগ্নিপথ পাড়ি দিয়ে একদিন সোনালি পর্দায় মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র শুটিং সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করতেন অ্যানি। মূলত সেই সূত্রেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অবশেষে মুখ খুললেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির নির্মাতা

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক :  ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বর্তমানে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের পর অবশেষে মুখ খুললেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির পরিচালক আশিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘অপারেশন অগ্নিপথ চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে যথেষ্ট পরিমাণে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসাবে আমার অবস্থান ও বক্তব্য উপস্থাপন করছি।’

চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ও বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক। আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। অভিযোগ করার মাধ্যমে কি লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছে এটা অভিযোগকারীর কাছেই পরিষ্কার নয়। যদি অনৈতিক কোন কাজ কেও সংঘটন করে থাকে, তবে তা যে কোন দেশের আইনেও অপরাধ যোগ্য। এবং আমাদের সবারি সেটার বিচার চাওয়া উচিত। কিন্তু ঘটনার বদলে টাকা বা অন্যকোন সুবিধা চাওয়া টা পুরপুরি অগ্রহণযোগ্য। তবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো অভিযোগকে সত্যি বলা যায় না। এবং অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব একমাত্র পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারি বাহিনীর। একটি চলচ্চিত্রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, ব্যক্তিগত রোষানলের বিষয়ে সমাধান করা অগ্রহণযোগ্য।’

Ashiqur Rahmanআশিকুর রহমান

তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খান ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুইবার অস্ট্রেলিয়া তে শুটিং করতে আসেন। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৭-৮ দিনের শুটিং করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে “সুপার হিরো” চলচ্চিত্রের শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি নাকি পালিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে, যেটা বাস্তবে কখনও হওয়া সম্ভব না। এই দেশে কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে, তা খতিয়ে শেষ না দেখা পর্যন্ত, তাকে দেশ ত্যাগ বা প্রবেশ এর অনুমতি দেয়া হয় না। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে এই দুই চলচ্চিত্রের সকল কলাকুশলী সম্মান ও আতিথেয়তা সহকারে অস্ট্রেলিয়া আগমন ও ত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলাবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলা
২০১৮ সালে, শাকিব খান ও অন্যান্য কলাকুশলীরা যখন হোটেল হলিডে ইনে অবস্থান করছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুইজন তদন্তকারী কর্ম কর্তা তার রুমে যান। প্রায় ২০-৩০ মিনিটের অবস্থান শেষ এ তারা অন্যান্যদের আরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করে চলে যান। এই ঘটনা ছাড়া শাকিব খানের সাথে পুলিশের আর কোনো ইন্টারেকশন আমার জানা নেই। সেই দিনও আমরা ইনডোরে মুভির ২টা সিকুয়েন্স শুট করি। তার একদিন পর, আমি, রবিউল রবি ও শাকিব খানের আরেকজন লিগ্যাল প্রতিনিধি কোগরা পুলিশ স্টেশনে যাই, উক্ত ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য।

 

শাকিব খানের প্রতিনিধি পুলিশের সাথে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে আলাদা একটি রুমে বসেন। প্রায় ১ ঘণ্টার আলোচনা শেষে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের জানান, জনাব শাকিব খানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ এর সত্যতার, তারা প্রমাণ পান নাই। তারপর, তিনি শাকিব খানের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলেন, এবং তাকে কোন সন্দেহ ছাড়া ও নিশ্চিন্তে সিডনিতে শুটিং করতে বলেন। উক্ত ঘটনার পর, আমরা আরও দুই সপ্তাহেরও বেশি সিডনিতে শুটিং করি। সফলভাবে শুটিং করার পর, সুপারহিরো চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এবং দর্শকদের মন জয় করে সুপারহিট হয়।’

আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যেকোনো কাজ করার সময়, ছোটখাটো অনেক ত্রুটি থাকে। সেগুলোকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করাটা মোটেও সমীচীন নয়। খাবার দাবারসহ যে সকল অনর্থক অভিযোগ এসেছে, সেই গুলো আসলে অনভিপ্রেত ও ক্ষুদ্র মানষিকতার পরিচয় দেয়। শুটিংয়ের বিশাল কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সময় পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা বিরতিহীন শুটিং করার পর, সবারই মুল লক্ষ্য থাকত বিশ্রাম নেয়া ও পরের দিনের শুটিং এর প্রস্তুতি নেয়া।

শাকিব খান, এবং আমরা যতক্ষণ একসাথে শুটিং করেছি, কখনও আপত্তিকর কিছু চোখে পড়েনি। এ ছাড়া কাজের বাইরে কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি কখনও আগ্রহ দেখাইনি। আমি যে কয়বার অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে শুধুমাত্র এই মুভির জন্য গিয়েছি, তার খরচ এই মুভিতে আমার পারিশ্রমিকের থেকে বেশি। এই মুভিতে কাহিনীকার ও পরিচালক হিসাবে আমি যে সময় ও শ্রম দিয়েছি, তা টাকার অংকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।’

AshiqurRahmanআশিকুর রহমান

সবশেষে এই পরিচালক বলেন, ‘“অপারেশন অগ্নিপথ’ চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ মিলিয়ে শুট করার একটাই কারণ ছিল। সেটা হলো আমরা অনিন্দ্য সুন্দর একটি দেশকে বাংলাদেশের সিনেমার পর্দায় উপস্থিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ও ঈর্ষা কাতর মানুষের কারণে আমরা অসাধারণ একটি গল্প পর্দায় আনতে পারিনি। এই মুভিটি পর্দায় আসলে, বাংলা ভাষায় দর্শকরা অসাধারণ একটি স্পাই থ্রিলার উপভোগ করতে পারত। আমরা সবাই এখনও চাই এই মুভির কাজ শেষ করতে। সময় বলে দেবে, এই চাওয়াটা কতটুকু পাওয়া সম্ভব। তবে মাত্র ৮ দিনের শুটিং আর দুই মিনিটের টিজারে যে ঘটনার জন্ম দিয়েছে, আমার মনে হয় না বিগত কয়েক বছরে কোনো চলচ্চিত্র এতটা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অপারেশন অগ্নিপথ মুভিটি সত্যিকারের অগ্নিপথ পাড়ি দিয়ে একদিন সোনালি পর্দায় মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র শুটিং সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করতেন অ্যানি। মূলত সেই সূত্রেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা