নিউইয়র্ক ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ধর্ষণের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে প্রবাসীদের বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • / ৪৬ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: অতি সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সিলেটে এমসি কলেজে নববধূকে গণধর্ষণসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী বাঙালীরা। রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ইউএস ক্যাপিটালের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মেজর আলম, জামাল জ্যামি, খালেদ হোসেন, মোস্তাক রহমান, নেসার আহমেদ, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ জামান প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও বিচার না হওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি যে সারাদেশে আশঙ্কাজনকহারে হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকের কোনও দল নেই। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চাই পারে দেশের মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে। এখন প্রয়োজন মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা।
বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষণের হার কমানোর জন্য দেশের আইন প্রণেতারা কোনো কাজ করছে না। তবে যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করছে তাদের সংখ্যা সমাজে খুব বেশি না। তাই সমাজের সবাই যদি একসাথে সকল অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে সমাজ আরও বেশি সুন্দর হবে। ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সোনার বাংলায় নারীর প্রতি এই নৃশংস নির্যাতনে আমরা স্তম্ভিত। এই অমানবিক-পাষন্ড কর্মকান্ডের ঘটনা প্রবাসে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করছে।
মানব বন্ধনে আগত অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী লিলি ভো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নোয়াখালী, সিলেটের এএমসি কলেজসহ স¤প্রতি সময়ে একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের নারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ নারীর প্রতি সহিংসতা দেখতে চাই না। সরকারের উচিত দ্রæত এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুসস্পর্ক রয়েছে। আর্থিকভাবেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের দেশও নারীর প্রতি এধরণের সহিংসতা প্রত্যশা করে না।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে আগত প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির উপদেষ্টা জাহিদ খান, মেজর আলম, রাজিব চৌধুরী, মোহাম্মদ গাজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে একদল যুবক ও কিশোর। ছেলের বয়সী ওইসব কিশোর-যুবকের পায়ে ধরেও রেহাই পাননি ৩৭ বছর বয়সী ওই নারী। ভয়ে ৩২ দিন আগের ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারেননি নির্যাতিতা কিংবা তার স্বজনরা। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হলে তা জানাজানি হয়। এর আগে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধুকে কয়েকজন যুবুক ধর্ষণ করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনকহারে বেড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ধর্ষণের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে প্রবাসীদের বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি: অতি সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সিলেটে এমসি কলেজে নববধূকে গণধর্ষণসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী বাঙালীরা। রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ইউএস ক্যাপিটালের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মেজর আলম, জামাল জ্যামি, খালেদ হোসেন, মোস্তাক রহমান, নেসার আহমেদ, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ জামান প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও বিচার না হওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি যে সারাদেশে আশঙ্কাজনকহারে হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকের কোনও দল নেই। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চাই পারে দেশের মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে। এখন প্রয়োজন মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা।
বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষণের হার কমানোর জন্য দেশের আইন প্রণেতারা কোনো কাজ করছে না। তবে যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করছে তাদের সংখ্যা সমাজে খুব বেশি না। তাই সমাজের সবাই যদি একসাথে সকল অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে সমাজ আরও বেশি সুন্দর হবে। ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সোনার বাংলায় নারীর প্রতি এই নৃশংস নির্যাতনে আমরা স্তম্ভিত। এই অমানবিক-পাষন্ড কর্মকান্ডের ঘটনা প্রবাসে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করছে।
মানব বন্ধনে আগত অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী লিলি ভো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নোয়াখালী, সিলেটের এএমসি কলেজসহ স¤প্রতি সময়ে একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের নারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ নারীর প্রতি সহিংসতা দেখতে চাই না। সরকারের উচিত দ্রæত এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুসস্পর্ক রয়েছে। আর্থিকভাবেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের দেশও নারীর প্রতি এধরণের সহিংসতা প্রত্যশা করে না।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে আগত প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির উপদেষ্টা জাহিদ খান, মেজর আলম, রাজিব চৌধুরী, মোহাম্মদ গাজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে একদল যুবক ও কিশোর। ছেলের বয়সী ওইসব কিশোর-যুবকের পায়ে ধরেও রেহাই পাননি ৩৭ বছর বয়সী ওই নারী। ভয়ে ৩২ দিন আগের ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারেননি নির্যাতিতা কিংবা তার স্বজনরা। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হলে তা জানাজানি হয়। এর আগে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধুকে কয়েকজন যুবুক ধর্ষণ করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনকহারে বেড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।