নিউইয়র্ক ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আরিজোনায় স্ত্রীকে গুলি করে বাংলাদেশীর আত্মহত্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৩৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের লভেন শহরে এক বাংলাদেশী দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না-কে হত্যা করে স্বামী আবুল আহসান হাবিব (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী নিজেও আতœহত্যা করেছেন। খবরটি মূলধারার টেলিভিশন এবিসি নিউজে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, কলহের একপর্যায়ে সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না (৪২) নামে ওই গৃহবধূ ৯১১ জরুরি সেবায় ফোন করে তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় তার স্বামী তাকে গুলি করেন। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেশীরা জানান। স্বামী-স্ত্রী দুজনের বাড়িই বাংলাদেশের মাগুরায়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
আবুল আহসান হাবিব নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী চায়নার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সেখানে একটি পার্লার চালাতেন সোহেলি আর আহসান কাজ করতেন দোকানে। লভেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির একাধিক প্রবাসী জানান, স্ত্রীকে নিয়ে আহসান সারাক্ষণ অভিযোগ করতেন। দুই ছেলের দিকে খেয়াল রাখতেন না। কিন্তু স্ত্রী এসব অভিযোগ কখনই পাত্তা দেননি। রোববার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে আহসান হাবিবের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে স্ত্রী পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর সময় গুলি করেন আহসান হাবিব। স্ত্রীকে হত্যার পর তিনিও আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশী দম্পতি সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না-আবুল আহসান হাবিব

ফিনিক্স সিটিতে বসবাসরত ফোবানা’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব রেজা রহিম রোববার সন্ধ্যায় মিডিয়া-কে জানান, পারিবারিক ভিসায় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসে দুই পুত্রসহ এই দম্পতি আরিজোনায় বসতি গড়েন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মজীবী। সোহেলী আকতারের একটি বিউটি পারলার রয়েছে। স্বামী কাজ করতেন একটি রেস্টুরেন্টে। মহামারী করোনার কারণে উভয়েই বেকার হয়ে পড়েছেন।
অপরদিকে ফিনিক্স পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট টমী থমসন মিডিয়া-কে জানান, ইমাজেন্সী কল ৯৯১ এর অপারেটর যখন চায়নার সাথে কথা বলছিলেন সে সময়েই গুলি বর্ষণের দুটি শব্দ শোনেন। সেটি ছিল রাত ৯টা ৫১ মিনিটের ঘটনা। তবে দ্রæত বাসায় এসেও হত্যাকান্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি বলে টহল পুলিশের কর্মকর্তারা জানান। পুলিশ আরও জানায়, বন্দুকটি লাশের পাশে পড়ে ছিল। পুলিশের ধারণা, হাবিব বাসার বাইরে যাবার পরই সে (হাবিব) আবার ৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফেরেন এবং চায়নাকে গুলি করে হত্যার পরই নিজে আত্মহত্যা করেন। গুলিতে স্বামী-স্ত্রী নিহত হবার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
আরিজোনার সর্ববৃহৎ পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের আশ্রয়কেন্দ্রের সিইও মারিয়া মোহন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এ কারণে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশী দম্পতির প্রাণহানির ঘটনা তাই প্রমাণ করে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আরিজোনায় স্ত্রীকে গুলি করে বাংলাদেশীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১১:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের লভেন শহরে এক বাংলাদেশী দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না-কে হত্যা করে স্বামী আবুল আহসান হাবিব (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী নিজেও আতœহত্যা করেছেন। খবরটি মূলধারার টেলিভিশন এবিসি নিউজে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, কলহের একপর্যায়ে সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না (৪২) নামে ওই গৃহবধূ ৯১১ জরুরি সেবায় ফোন করে তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় তার স্বামী তাকে গুলি করেন। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেশীরা জানান। স্বামী-স্ত্রী দুজনের বাড়িই বাংলাদেশের মাগুরায়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
আবুল আহসান হাবিব নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী চায়নার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সেখানে একটি পার্লার চালাতেন সোহেলি আর আহসান কাজ করতেন দোকানে। লভেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির একাধিক প্রবাসী জানান, স্ত্রীকে নিয়ে আহসান সারাক্ষণ অভিযোগ করতেন। দুই ছেলের দিকে খেয়াল রাখতেন না। কিন্তু স্ত্রী এসব অভিযোগ কখনই পাত্তা দেননি। রোববার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে আহসান হাবিবের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে স্ত্রী পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর সময় গুলি করেন আহসান হাবিব। স্ত্রীকে হত্যার পর তিনিও আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশী দম্পতি সৈয়দ সোহেলি আক্তার চায়না-আবুল আহসান হাবিব

ফিনিক্স সিটিতে বসবাসরত ফোবানা’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব রেজা রহিম রোববার সন্ধ্যায় মিডিয়া-কে জানান, পারিবারিক ভিসায় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসে দুই পুত্রসহ এই দম্পতি আরিজোনায় বসতি গড়েন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মজীবী। সোহেলী আকতারের একটি বিউটি পারলার রয়েছে। স্বামী কাজ করতেন একটি রেস্টুরেন্টে। মহামারী করোনার কারণে উভয়েই বেকার হয়ে পড়েছেন।
অপরদিকে ফিনিক্স পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট টমী থমসন মিডিয়া-কে জানান, ইমাজেন্সী কল ৯৯১ এর অপারেটর যখন চায়নার সাথে কথা বলছিলেন সে সময়েই গুলি বর্ষণের দুটি শব্দ শোনেন। সেটি ছিল রাত ৯টা ৫১ মিনিটের ঘটনা। তবে দ্রæত বাসায় এসেও হত্যাকান্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি বলে টহল পুলিশের কর্মকর্তারা জানান। পুলিশ আরও জানায়, বন্দুকটি লাশের পাশে পড়ে ছিল। পুলিশের ধারণা, হাবিব বাসার বাইরে যাবার পরই সে (হাবিব) আবার ৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফেরেন এবং চায়নাকে গুলি করে হত্যার পরই নিজে আত্মহত্যা করেন। গুলিতে স্বামী-স্ত্রী নিহত হবার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
আরিজোনার সর্ববৃহৎ পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের আশ্রয়কেন্দ্রের সিইও মারিয়া মোহন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এ কারণে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশী দম্পতির প্রাণহানির ঘটনা তাই প্রমাণ করে বলে মনে করা হচ্ছে।