নিউইয়র্ক ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪ বছর পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ৫৩ জন বাংলাদেশীকর্মী গেছে দেশটিতে।
সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ওই কর্মীদের নিয়ে একটি ফ্লাইট ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জিমাত জায়া এসডিএন কোম্পানিতে কাজে গেলেন এই কর্মীরা। ওই কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ১১০ জনের মধ্যে প্রথম দফায় ৫৩ জনের মালয়েশিয়ায় রওনা হওয়ার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য মিজানুর রহমান ও বায়রা’র সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে সোমবার রাতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বিদায় জানান বিএমইটির মহাপরিচালক।
মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয় ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।
কিন্তু অভিযোগ ওঠে প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ির নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে এজেন্সিগুলোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’ করে দুই বছরে শ্রমিকদের ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।
সরকারের তরফে নানা দেন-দরবার আর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শ্রমিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। খবর বাংলাদেশ জার্নাল
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪ বছর পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ৫৩ জন বাংলাদেশীকর্মী গেছে দেশটিতে।
সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ওই কর্মীদের নিয়ে একটি ফ্লাইট ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জিমাত জায়া এসডিএন কোম্পানিতে কাজে গেলেন এই কর্মীরা। ওই কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ১১০ জনের মধ্যে প্রথম দফায় ৫৩ জনের মালয়েশিয়ায় রওনা হওয়ার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য মিজানুর রহমান ও বায়রা’র সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে সোমবার রাতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বিদায় জানান বিএমইটির মহাপরিচালক।
মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয় ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।
কিন্তু অভিযোগ ওঠে প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ির নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে এজেন্সিগুলোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’ করে দুই বছরে শ্রমিকদের ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।
সরকারের তরফে নানা দেন-দরবার আর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শ্রমিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। খবর বাংলাদেশ জার্নাল
হককথা/এমউএ