নিউইয়র্ক ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সৌদি আরবে মারা যাওয়া নওগাঁর ২ জনের বাড়িতে আহাজারি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ৩৪ বার পঠিত

রমজান আলী ও আব্দুল বারেক

বাংলাদেশ ডেস্ক : সৌদি আরবে একটি সোফা কারখানায় আগুনে মারা যাওয়া নয় বাংলাদেশির দুই জনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। এ ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে আহাজারি আর আর্তনাদ।

মারা যাওয়া নওগাঁর দুজন হলেন– আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩) এবং বিষা ইউনিয়নের উদয়পুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত রহমান সরদারের ছেলে আব্দুল বারেক সরদার (৪৫)।

মৃত বারেকের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সবশেষ গত ২০২০ সালে ভাই বাড়িতে এসেছিল। এরপর আবারও যায় সৌদি আরব। তার দুই মেয়ে রয়েছে। সৌদি আরবে আমাদের এক ভাই এবং ভাতিজা রয়েছে। তারাই বারেকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের জানান। এভাবে তার চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছি না। বারেকের বড় মেয়েটার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাড়িতে এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।’

রমজান আলীর মা রহিমা বেগম বলেন, ‘গত দুই দিন আগে ফোনে ভিডিওকলে ছেলের (রমজান) সঙ্গে কথা হয়। ভিডিওকলে নতুন বাড়ি তৈরি করা নিয়ে কথা হয়। বাড়ির কিছু কাজ মাত্রই শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে আগুনে মারা যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি।’

ফুফা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রমজানের বাবা নয় বছর আগে মারা গেছেন। এরপর তাদের সংসার অনেক কষ্টে চলতো। চার বছর আগে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদি আরব গিয়ে কাজ করতো রমজান। সে পুরো সংসারের খরচ বহন করতো।’

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে আল আহসা শহরের হুফুফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডে নয় বাংলাদেশি, এক ভারতীয়সহ মোট ১০ জন মারা গেছেন।  সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবে মারা যাওয়া নওগাঁর ২ জনের বাড়িতে আহাজারি

প্রকাশের সময় : ০৫:২১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : সৌদি আরবে একটি সোফা কারখানায় আগুনে মারা যাওয়া নয় বাংলাদেশির দুই জনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। এ ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে আহাজারি আর আর্তনাদ।

মারা যাওয়া নওগাঁর দুজন হলেন– আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩) এবং বিষা ইউনিয়নের উদয়পুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত রহমান সরদারের ছেলে আব্দুল বারেক সরদার (৪৫)।

মৃত বারেকের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সবশেষ গত ২০২০ সালে ভাই বাড়িতে এসেছিল। এরপর আবারও যায় সৌদি আরব। তার দুই মেয়ে রয়েছে। সৌদি আরবে আমাদের এক ভাই এবং ভাতিজা রয়েছে। তারাই বারেকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের জানান। এভাবে তার চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছি না। বারেকের বড় মেয়েটার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাড়িতে এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।’

রমজান আলীর মা রহিমা বেগম বলেন, ‘গত দুই দিন আগে ফোনে ভিডিওকলে ছেলের (রমজান) সঙ্গে কথা হয়। ভিডিওকলে নতুন বাড়ি তৈরি করা নিয়ে কথা হয়। বাড়ির কিছু কাজ মাত্রই শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে আগুনে মারা যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি।’

ফুফা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রমজানের বাবা নয় বছর আগে মারা গেছেন। এরপর তাদের সংসার অনেক কষ্টে চলতো। চার বছর আগে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদি আরব গিয়ে কাজ করতো রমজান। সে পুরো সংসারের খরচ বহন করতো।’

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে আল আহসা শহরের হুফুফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডে নয় বাংলাদেশি, এক ভারতীয়সহ মোট ১০ জন মারা গেছেন।  সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

নাসরিন /হককথা