নিউইয়র্ক ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সীতাকুন্ড উপজেলায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / ৮৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: গত ৪ জুন রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপো নামে একটি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। উক্ত ডিপোটি ২০১১ সাল থেকে চালু রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনায় ১০ জন দমকলকর্মী সহ ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গত ৬ জুন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস-এর মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন প্রেরীত সীতাকুন্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রেরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়:
* মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রæত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সরকারের পাশাপাশি তার দলের নেতাদেরও আগুন দ্রæত আনতে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার জন্য বলেন। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
* ক্ষতিগ্রস্ত ও আহতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার দুটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
* শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (MOLE) প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশ অনুসারে, MOLE-এর অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের দল ইতিমধ্যে আহত শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রামে যান এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের সাথে দেখা করেন।
* চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট ১০৭ জন শ্রমিক ৫০,০০০ টাকার চিকিৎসা সহায়তার চেক পেয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রত্যেক মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ২,০০,০০০ টাকা করে দেবে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

* বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক ঘোষণা করেছেন যে যারা এই দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১,০০০,০০০ টাকা দেয়া হবে, গুরুতর আহত শ্রমিকদের ৬০০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য আহত শ্রমিকদের ৪০০,০০০ টাকা দেয়া হবে।
* এছাড়াও কোম্পানি রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করবে এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরিচর্যাকারীদের খাবার ও অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। কোম্পানি মৃত ব্যক্তির পরিবারের একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যকে কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে পরিবারগুলিতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য নেই কোম্পানি তাদের প্রতি মাসে কোম্পানির একজন কর্মীর বেতনের সমান অর্থ প্রদান করবে যতক্ষণ না তাদের সন্তানরা প্রাপ্তবয়স্ক না হয়।
* শ্রম মন্ত্রনালয় আহত কর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে এবং গুরুতর আহত শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার সুবিধা প্রদান করেছে।
* বঙ্গোপসাগরে রাসায়নিক মিশ্রিত পানি ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ডিপোর কাছাকাছি খাল ও ড্রেনের পাশে সেনা সদস্যরা ইতিমধ্যেই বাঁধ তৈরি করেছে।
তদন্ত এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা:
* সরকার অগ্নিকান্ডের তদন্তের জন্য সাতটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে। নিম্নলিখিত অফিসের সমন্বয়ে এই কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে: ১) জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম; ২) উপ-মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম; ৩) বিভাগীয় শ্রম অফিস, চট্টগ্রাম; ৪) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম; ৫) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ; ৬) মালিক, বিএম কন্টেইনার ডিপো, চট্টগ্রাম এবং ৭) কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগ (DIFE), ঢাকা।
ক্স প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর, সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সীতাকুন্ড উপজেলায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

হককথা ডেস্ক: গত ৪ জুন রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপো নামে একটি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। উক্ত ডিপোটি ২০১১ সাল থেকে চালু রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনায় ১০ জন দমকলকর্মী সহ ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গত ৬ জুন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস-এর মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন প্রেরীত সীতাকুন্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রেরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়:
* মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রæত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সরকারের পাশাপাশি তার দলের নেতাদেরও আগুন দ্রæত আনতে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার জন্য বলেন। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
* ক্ষতিগ্রস্ত ও আহতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার দুটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
* শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (MOLE) প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশ অনুসারে, MOLE-এর অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের দল ইতিমধ্যে আহত শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রামে যান এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের সাথে দেখা করেন।
* চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট ১০৭ জন শ্রমিক ৫০,০০০ টাকার চিকিৎসা সহায়তার চেক পেয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রত্যেক মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ২,০০,০০০ টাকা করে দেবে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

* বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক ঘোষণা করেছেন যে যারা এই দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১,০০০,০০০ টাকা দেয়া হবে, গুরুতর আহত শ্রমিকদের ৬০০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য আহত শ্রমিকদের ৪০০,০০০ টাকা দেয়া হবে।
* এছাড়াও কোম্পানি রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করবে এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরিচর্যাকারীদের খাবার ও অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। কোম্পানি মৃত ব্যক্তির পরিবারের একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যকে কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে পরিবারগুলিতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য নেই কোম্পানি তাদের প্রতি মাসে কোম্পানির একজন কর্মীর বেতনের সমান অর্থ প্রদান করবে যতক্ষণ না তাদের সন্তানরা প্রাপ্তবয়স্ক না হয়।
* শ্রম মন্ত্রনালয় আহত কর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে এবং গুরুতর আহত শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার সুবিধা প্রদান করেছে।
* বঙ্গোপসাগরে রাসায়নিক মিশ্রিত পানি ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ডিপোর কাছাকাছি খাল ও ড্রেনের পাশে সেনা সদস্যরা ইতিমধ্যেই বাঁধ তৈরি করেছে।
তদন্ত এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা:
* সরকার অগ্নিকান্ডের তদন্তের জন্য সাতটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে। নিম্নলিখিত অফিসের সমন্বয়ে এই কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে: ১) জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম; ২) উপ-মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম; ৩) বিভাগীয় শ্রম অফিস, চট্টগ্রাম; ৪) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম; ৫) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ; ৬) মালিক, বিএম কন্টেইনার ডিপো, চট্টগ্রাম এবং ৭) কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগ (DIFE), ঢাকা।
ক্স প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর, সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।