শতাধিক বাংলাদেশিকে জার্মানি থেকে জোরপূর্বক ফেরত

- প্রকাশের সময় : ১২:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
- / ৫৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাচ্ছে জার্মানি। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের সংখ্যা শতাধিক। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ নিয়েছেন আরো অনেকে।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু করে অন্তত ১১৯ বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন করেছে জার্মানি। আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়ার পর স্বেচ্ছায় ফেরত না যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি। জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাশা লাওফরে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এমন তথ্য জানান
নিয়ম অনুযায়ী কোনো অভিবাসীর বসবাসের অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে তিনি জার্মানি ছাড়তে বাধ্য৷ এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ দেশটি না ছাড়লে পরবর্তীতে কোনো সময় না দিয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়।
এই প্রক্রিয়ায় গত ১৮ জানুয়ারি একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে ২৬ বাংলাদেশিকে ফেরানো হয়।
সাশা বলেন, প্রত্যাবর্তনকারীদের জোরপূর্বক দেশত্যাগ করানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসে এবং ফ্লাইটেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ৩৩ জনকে ঢাকায় ফেরত পাঠায় বার্লিন। জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৯৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ তবে ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি।
সামনের দিনে আর কতজনকে ফেরত পাঠানো হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাশা বলেন, আগে থেকে এই তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।
তবে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া ৫০ থেকে ৬০ জন বাংলাদেশির ট্রাভেল পারমিট সম্প্রতি ইস্যু করেছে দূতাবাস। বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমরা তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করেছি।
এর আগে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো ‘আট শতাধিক বাংলাদেশিকে জার্মানি থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে বলে’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানান, এদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে জার্মানি ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে ফেরত পাঠানোর প্রকৃত সংখ্যাটি আরো কম হবে। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ