নিউইয়র্ক ০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
বাংলাদেশে রাজনীতি শক্তিশালী করতে সহায়তা

যে সংস্থার নাম কেউ শোনেনি, তারা পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার: ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ‘ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে এমন এক সংস্থা ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রæয়ারী) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত গভর্নরদের এক ওয়ার্কিং সেশনে এ কথা বলেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশকে অর্থ দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর বক্তৃতার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন ফক্স নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের একঘণ্টা ২২ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিও রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রæয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ (ডিওজিই) জানিয়েছিল যে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিওজিই ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’-এ ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের (২৯ মিলিয়ন) অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
ডিওজিইর ওই বক্তব্যের পর গত শুক্রবার ট্রাম্প আবার ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন এক সংস্থার কাছে গেছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন? তিনি বলেন, ছোট একটি সংস্থা, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার পায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই সংস্থায় মাত্র দু’জন কাজ করেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (দুই কর্মী) খুব খুশি, খুব ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে।
হোয়াইট হাউসের ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য। আমাদের কি হবে! আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।’ তিনি বলেন, আমরা ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার দিচ্ছি। এতে আমাদের কি উপকার হবে? আমারও তো ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে কেন দুই কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হবে? আমার তো মনে হয় তারা কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছিল। ভারত সরকারকে আমাদের বলতে হবে। কারণ, যখন আমরা শুনতে পাই যে, আমাদের দেশে রাশিয়া প্রায় দুই হাজার ডলার খরচ করে, তখন বিষয়টি একটি ‘বিগ ডিল’। দুই হাজার ডলারে তারা ইন্টারনেটে কিছু বিজ্ঞাপন দেয়। এর পুরোটাই মাইলফলক। এর একদিন আগে এই তহবিলকে একটি ‘কিকব্যাক স্মিম’- বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নেপাল দুটি প্রকল্পের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে জীববৈচিত্র্যের জন্য নেপাল পেয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া সার্বিয়া, মলদোভাসহ আরও কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২৫ লাখ ডলার। মালিতে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। এমনিতরো বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্সদাতাদের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এক্সে ডজ জানিয়েছে এসব বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, মালি, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, মিশর সহ বিভিন্ন দেশ।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় আসার পরই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল খরচ কমানোর জন্য গঠন করেছেন ডজ। এর প্রধান করা হয়েছে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে। বিভিন্ন দেশে ইউএসএইড’র মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে ডজ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রæয়ারী প্রেসিডেন্টের ব্যয় সংকোচন দল ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ১১টি দেশের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাতিল হওয়া কয়েকটি বিদেশি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট নাম তালিকাভুক্ত করে এক্স-এ পোস্ট করে। এই তালিকায় বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করার জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প এবং ভারতে ‘ভোটদানের উপস্থিতির’ জন্য আরেকটি প্রকল্প রয়েছে। পোস্টে ডিওজিই উল্লেখ করে, ‘আমেরিকান করদাতাদের ডলার নিম্নলিখিত আইটেমগুলোতে ব্যয় করা হবে, যার সবই বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডির অর্থায়নে স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল) কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা তৈরি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানোর পাশাপাশি দল ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের এমন একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক শুক্রবার রাতে দৈনিক প্রথম আলোকে বলেন, ইউএসএআইডি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে হলে সেই সংগঠন বা সংস্থার যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধন প্রয়োজন। আর ব্যক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এই সহায়তা সরাসরি বাইরের কারও কাছে যাওয়ার কথা নয়।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে রাজনীতি শক্তিশালী করতে সহায়তা

যে সংস্থার নাম কেউ শোনেনি, তারা পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার: ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ‘ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে এমন এক সংস্থা ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রæয়ারী) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত গভর্নরদের এক ওয়ার্কিং সেশনে এ কথা বলেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশকে অর্থ দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর বক্তৃতার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন ফক্স নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের একঘণ্টা ২২ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিও রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রæয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ (ডিওজিই) জানিয়েছিল যে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিওজিই ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’-এ ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের (২৯ মিলিয়ন) অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
ডিওজিইর ওই বক্তব্যের পর গত শুক্রবার ট্রাম্প আবার ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন এক সংস্থার কাছে গেছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন? তিনি বলেন, ছোট একটি সংস্থা, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার পায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই সংস্থায় মাত্র দু’জন কাজ করেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (দুই কর্মী) খুব খুশি, খুব ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে।
হোয়াইট হাউসের ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য। আমাদের কি হবে! আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।’ তিনি বলেন, আমরা ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার দিচ্ছি। এতে আমাদের কি উপকার হবে? আমারও তো ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে কেন দুই কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হবে? আমার তো মনে হয় তারা কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছিল। ভারত সরকারকে আমাদের বলতে হবে। কারণ, যখন আমরা শুনতে পাই যে, আমাদের দেশে রাশিয়া প্রায় দুই হাজার ডলার খরচ করে, তখন বিষয়টি একটি ‘বিগ ডিল’। দুই হাজার ডলারে তারা ইন্টারনেটে কিছু বিজ্ঞাপন দেয়। এর পুরোটাই মাইলফলক। এর একদিন আগে এই তহবিলকে একটি ‘কিকব্যাক স্মিম’- বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নেপাল দুটি প্রকল্পের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে জীববৈচিত্র্যের জন্য নেপাল পেয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া সার্বিয়া, মলদোভাসহ আরও কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২৫ লাখ ডলার। মালিতে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। এমনিতরো বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্সদাতাদের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এক্সে ডজ জানিয়েছে এসব বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, মালি, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, মিশর সহ বিভিন্ন দেশ।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় আসার পরই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল খরচ কমানোর জন্য গঠন করেছেন ডজ। এর প্রধান করা হয়েছে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে। বিভিন্ন দেশে ইউএসএইড’র মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে ডজ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রæয়ারী প্রেসিডেন্টের ব্যয় সংকোচন দল ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ১১টি দেশের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাতিল হওয়া কয়েকটি বিদেশি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট নাম তালিকাভুক্ত করে এক্স-এ পোস্ট করে। এই তালিকায় বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করার জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প এবং ভারতে ‘ভোটদানের উপস্থিতির’ জন্য আরেকটি প্রকল্প রয়েছে। পোস্টে ডিওজিই উল্লেখ করে, ‘আমেরিকান করদাতাদের ডলার নিম্নলিখিত আইটেমগুলোতে ব্যয় করা হবে, যার সবই বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডির অর্থায়নে স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল) কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা তৈরি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানোর পাশাপাশি দল ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের এমন একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক শুক্রবার রাতে দৈনিক প্রথম আলোকে বলেন, ইউএসএআইডি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে হলে সেই সংগঠন বা সংস্থার যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধন প্রয়োজন। আর ব্যক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এই সহায়তা সরাসরি বাইরের কারও কাছে যাওয়ার কথা নয়।