ভূমধ্যসাগরে নৌকায় ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি

- প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৬০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ঠাণ্ডায় প্রাণ হারিয়েছিলেন সাত বাংলাদেশি। ওই নৌকায় মোট যাত্রী ছিলেন ২৮৭ জন। তার মধ্যে ২৭৩ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। বাকি ১৪ জন ছিলেন মিশরীয়।
শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরে নৌকায় অবস্থানরত সাত বাংলাদেশি দীর্ঘ সময় তীব্র ঠাণ্ডায় থাকায় ‘হাইপোথার্মিয়া’য় মারা গেছেন। এ খবর জানার পরই দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কাতানিয়া ও পালেরমোতে বাংলাদেশের অনারারি কনসালদের মাধ্যমেও প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান ও করণীয় নির্ধারণে কাজ করছে। এরপর দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রমকল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ২৬ জানুয়ারি লাম্পেদুসা পৌঁছায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠাণ্ডায় যে সাত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলে বাংলাদেশি।
মো. এরফানুল হকের ২৭ জানুয়ারি লাম্পেদুসার ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিলো। তবে মেয়র শহরের বাইরে থাকায় সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শুক্রবার তিনি ইতালি কোস্টগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সাতটি মরদেহ দেশে আনা বা দাফনের আগপর্যন্ত সিসিলি প্রদেশের আগ্রিজেন্তো এলাকার মর্গে রাখা যাবে। মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। মরদেহ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় দূতাবাস গতকাল পর্যন্ত সেগুলো পরিদর্শন করতে পারেনি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে।
এসময় দূতাবাস মানব পাচারকারী চক্র থেকে সাবধান থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দূতাবাস দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
হককথা/এমউএ