নিউইয়র্ক ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফ্লোরিডায় দূর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮
  • / ৭৩৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আইয়ুব আলী (৬১) নামে এক বাংলাদেশী দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পার্কল্যান্ড এলাকায় তিনি তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পতে মারা যান। তিনি ফ্লোরিডা ষ্টেট যুবলীগের সহ-সভাপতি। তার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রামে। তিনি চার সন্তানের জনক। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ ষ্টেট সড়কে ‘আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে তার মাথায় গুলি করা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ এক দুর্বৃত্ত স্টোরটিতে ঢকে তাকে গুলি করে। তবে কেন, কি জন্য তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা জায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিকে, আইয়ুব আলীর উপর গুলির খবর পেয়ে স্থানীয় লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রক্তাক্ত আইয়ুব আলীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ব্রাউয়ার্ড হেলথ মেডিকেল সেন্টারে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য ব্রাউয়ার্ড শেরিফ (পুলিশ) অফিস আশপাশের সিসিটিভি পরীক্ষা করেছে এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতারে এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়েছে।
স্থানীয় বাংলাদেশীরা ইউএনএ প্রতিনিধির সাথে ফোনে আলাপকালে জানান, ঘটনাটি ডাকাতির ঘটনা, না হেইট ক্রাইম তাও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। স্টোরটিতে কোন লুটপাটের ঘটনাও ঘটেনি। এজন্য পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিস্টরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই আইয়ুব আলী একাই স্টোরটিতে কাজ করছিলেন বলেই তারা জেনেছেন।
নিহত আইয়ুব আলী ১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। ১০ বছর আগে তিনি স্টোরটি ক্রয় করেন। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।
এদিকে আইয়ুব আলী হত্যার খবরে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ ছাড়াও ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অনেকে হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। মর্গ থেকে লাশ নেওয়ার পরই স্থানীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজার পর দাফন করা হবে। তবে তার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রেই নাকি বাংলাদেশে দাফন করা হবে সেব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ফ্লোরিডায় দূর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আইয়ুব আলী (৬১) নামে এক বাংলাদেশী দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পার্কল্যান্ড এলাকায় তিনি তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পতে মারা যান। তিনি ফ্লোরিডা ষ্টেট যুবলীগের সহ-সভাপতি। তার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রামে। তিনি চার সন্তানের জনক। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ ষ্টেট সড়কে ‘আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে তার মাথায় গুলি করা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ এক দুর্বৃত্ত স্টোরটিতে ঢকে তাকে গুলি করে। তবে কেন, কি জন্য তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা জায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিকে, আইয়ুব আলীর উপর গুলির খবর পেয়ে স্থানীয় লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রক্তাক্ত আইয়ুব আলীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ব্রাউয়ার্ড হেলথ মেডিকেল সেন্টারে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য ব্রাউয়ার্ড শেরিফ (পুলিশ) অফিস আশপাশের সিসিটিভি পরীক্ষা করেছে এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতারে এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়েছে।
স্থানীয় বাংলাদেশীরা ইউএনএ প্রতিনিধির সাথে ফোনে আলাপকালে জানান, ঘটনাটি ডাকাতির ঘটনা, না হেইট ক্রাইম তাও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। স্টোরটিতে কোন লুটপাটের ঘটনাও ঘটেনি। এজন্য পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিস্টরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই আইয়ুব আলী একাই স্টোরটিতে কাজ করছিলেন বলেই তারা জেনেছেন।
নিহত আইয়ুব আলী ১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। ১০ বছর আগে তিনি স্টোরটি ক্রয় করেন। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।
এদিকে আইয়ুব আলী হত্যার খবরে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ ছাড়াও ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অনেকে হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। মর্গ থেকে লাশ নেওয়ার পরই স্থানীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজার পর দাফন করা হবে। তবে তার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রেই নাকি বাংলাদেশে দাফন করা হবে সেব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।