নিউইয়র্ক ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানের নামে ‘চাঁদাবাজি’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৬০৪ বার পঠিত

শাহাব উদ্দিন সাগর: নিউইয়র্কে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। বনভোজন, রিভারক্রুজ, সংবর্ধনা প্রভৃতিসহ ইনডোর-আউডডোর বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে এক শ্রেণীর মানুষ সংবৎসর চাঁদাবাজি করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের এই চাঁদা আদায়ের টার্গেট হয়ে থাকে সাধারণত ব্যবসায়ী মহল ও বিত্তবান ব্যক্তিরা। তারা অভিযোগ করেছেন, এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে তারা নিস্তার পাচ্ছেন না। জ্যাকসন হাইটসের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ প্রসঙ্গে বলেন, অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায়কেই মনে হয় অনেকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। এসব অনুষ্ঠানে কমিউনিটির কোন বড় ধবনের লাভ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন না। লাভবান হচ্ছে কিছু পেশাদার ব্যক্তি আর বনভোজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া সরবরাহ দেয়া কিছু রেস্টুরেন্ট মালিক। পক্ষান্তরে তাদের এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে অনুষ্ঠান আয়োজকরা বলেছেন, অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তারা যে আর্থিক সাহায্য নানা জনের কাছ থেকে নেন তা তাদের নিজেদের এলাকার মানুষ বা কমিউনিটি জন্য এক ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা। কমিউনিটির কল্যাণের লক্ষ্যেই সামর্থ্যবানদের কাছ থেকে এই আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়। এর জন্য তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাদের সম্মতিতেই পৃষ্ঠপোষক বা অন্য কোন সম্মানসূচক অভীধায় তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়।
কিন্তু তাদের এ বক্তব্য মানতে রাজী নন চাঁদা দানকারী পৃষ্ঠপোষকরা। তারা বলেছেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন অনুষ্ঠাগুলোতে ‘চাঁদা’ দিতে দিতে আমরা অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতেও পারছি না, আবার সইতেও পারছি না।
সামার বা গ্রীষ্ম মৌসুমে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানের ধুম পড়ে যায়। ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মেতে উঠে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে। একই এলাকার নানা নামে বিভক্ত সংগঠনগুলোগুলোর মধ্যে রীতিমত শুরু হয়ে যায় রেষারেষি। কে কত ডলার খরচ করে কত বড় অনুষ্ঠান করবেন তা নিয়ে চলে এক ধরনের প্রকাশ্য প্রতিযোগিতা।
কমিউনিটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানগুলোর জন্য সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া হয়। তবে তার পরিমাণ হয়ে থাকে খুবই কম। আবার অনেক সংগঠন সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে কোন ধরনের চাঁদা নেন না। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন পার্ক, রেস্টুরেন্টে কিংবা বিলাসবহুল জাহাজে তারা আয়োজন করেন বনভোজন, পুনর্মিলনী, ক্রুজ, সংবর্ধনাসহ নানা নামের অনুষ্ঠান। যে সব অনুষ্ঠানের পেছনে খরচ হয় হাজার হাজার ডলার।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অনুষ্ঠানের পুরস্কার, খাবার, বাস ভাড়াসহ সার্বিক ব্যয়ভার মেটানোর জন্য টার্গেট করা হয় স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষকদের। অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েই সংশ্লিষ্টরা ছুটে যান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, বিত্তশালী ব্যক্তি ও সংস্কৃতিসেবীদের কাছে। তাদেরকে অনুরোধ করা হয় অনুষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য। শুরুতে সংশ্লিষ্টরা ‘পৃষ্ঠপোষকতা’ শুরু করলেও মাঝপথে এসে অসংখ্য অনুষ্ঠানের চাপে তারা হাঁফিয়ে ওঠেন।
এস্টোরিয়ার একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা চাই কমিউনিটিতে অনুষ্ঠান হোক। পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যখন আমাদেরকে চাঁদার পরিমান ধার্য করে দেয়া হয় তখন মন-মেজাজ তিক্ত হয়ে যায়। আমাদের কাছে চাঁদা আদয়ের জন্য এমন লোকজন নিয়ে আসা হয় যাদের দেখলে আর না দিয়ে পারি না। কিন্তু কথা হল, আর কত? এই চাঁদাবাজির হিড়িকে তো আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনি বলেন, ভাবছি আগামী সামারে পালাব। ব্যবসা বন্ধ করে অন্য রাজ্যে বেড়াতে চলে যাব।
গত সপ্তাহে একটি বনভোজন অনুষ্ঠানের পর উত্তরবঙ্গের একটি সংগঠনের নেতা সাপ্তাহিক বলেন, আমরা বনভোজন করেছি লং আইল্যান্ডের একটি পার্কে। তাতে আমাদের ১২ হাজার ডলারের মত খরচ হয়েছে। খরচের সব অর্থ এসেছে চাঁদা থেকে। কয়েকটি ফার্মেসি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাদের ভাল সহযোগিতা করেছে।
এ প্রসঙ্গে মূলধারার রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা আসলেই অতিষ্ঠ। এমন কোন সপ্তাহ নেই যে, কোন না কোন সংগঠন ‘চাঁদা’র জন্য আসছে না। আমি মনে করি ব্যাঙের ছাতার মত এখানে সংগঠন গজিয়ে উঠেছে। একেকটি সংগঠন একটি অনুষ্ঠানে কম করে হলেও দশ হাজার ডলার খরচ করে থাকে। আমি মনে করি এগুলো অপচয়। এই পরিমান অর্থ এখানে এভাবে খরচ না করে দেশে কোন সামাজিক কাজে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে। এ পরিস্থিতি থেকে আমরা নিস্তার চাই।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনওআই ইন্স্যুরেন্সের কর্ণধার শাহ নেওয়াজ বলেন, কমিউনিটিতে অনুষ্ঠান বাড়ছে। এটির নানা দিক রয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া অনুষ্ঠান করা কিন্তু সত্যিই মুশকিল।
জ্যামাইকার একজন প্রবীণ কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য যেভাবে অর্থ তোলা হচ্ছে তা এ কথায় ‘চাঁদাবাজি’। সংগঠনগুলোর নিজেদের সামর্থ্য না থাকায় বিত্তবানদের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ নিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন পুরস্কার স্পন্সর নিচ্ছেন। আমি যতদূর জানি অধিকাংশ ব্যবসায়ীই মন খুলে এর জন্য অর্থ দিচ্ছেন না। এটা তাদের ওপর এক ধরনের জবরদস্তি।
জ্যাকসন হাইটসের একজন টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন,‘চাঁদাবাজ’দের উৎপাতে আমি খুবই বিরক্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন অনুষ্ঠানে যেতে আগ্রহ বোধ করি না। তারপরও দুই-একটা পছন্দের সংগঠনকে চাঁদা দিলে অন্য আরো অনেকেই এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা রীতিমত কৈফিয়ত নেয়ার মতো জিজ্ঞেস করে ওদের দিয়েছেন আমাদের দেবেন না কেন? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংগঠন করবেন ওরা, সমাজে নাম কিনবেন ওরা আর ওদরেকে লালন-পালনের দায়িত্ব কি আমাদের?

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানের নামে ‘চাঁদাবাজি’

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শাহাব উদ্দিন সাগর: নিউইয়র্কে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। বনভোজন, রিভারক্রুজ, সংবর্ধনা প্রভৃতিসহ ইনডোর-আউডডোর বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে এক শ্রেণীর মানুষ সংবৎসর চাঁদাবাজি করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের এই চাঁদা আদায়ের টার্গেট হয়ে থাকে সাধারণত ব্যবসায়ী মহল ও বিত্তবান ব্যক্তিরা। তারা অভিযোগ করেছেন, এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে তারা নিস্তার পাচ্ছেন না। জ্যাকসন হাইটসের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ প্রসঙ্গে বলেন, অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায়কেই মনে হয় অনেকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। এসব অনুষ্ঠানে কমিউনিটির কোন বড় ধবনের লাভ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন না। লাভবান হচ্ছে কিছু পেশাদার ব্যক্তি আর বনভোজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া সরবরাহ দেয়া কিছু রেস্টুরেন্ট মালিক। পক্ষান্তরে তাদের এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে অনুষ্ঠান আয়োজকরা বলেছেন, অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তারা যে আর্থিক সাহায্য নানা জনের কাছ থেকে নেন তা তাদের নিজেদের এলাকার মানুষ বা কমিউনিটি জন্য এক ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা। কমিউনিটির কল্যাণের লক্ষ্যেই সামর্থ্যবানদের কাছ থেকে এই আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়। এর জন্য তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাদের সম্মতিতেই পৃষ্ঠপোষক বা অন্য কোন সম্মানসূচক অভীধায় তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়।
কিন্তু তাদের এ বক্তব্য মানতে রাজী নন চাঁদা দানকারী পৃষ্ঠপোষকরা। তারা বলেছেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন অনুষ্ঠাগুলোতে ‘চাঁদা’ দিতে দিতে আমরা অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতেও পারছি না, আবার সইতেও পারছি না।
সামার বা গ্রীষ্ম মৌসুমে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানের ধুম পড়ে যায়। ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মেতে উঠে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে। একই এলাকার নানা নামে বিভক্ত সংগঠনগুলোগুলোর মধ্যে রীতিমত শুরু হয়ে যায় রেষারেষি। কে কত ডলার খরচ করে কত বড় অনুষ্ঠান করবেন তা নিয়ে চলে এক ধরনের প্রকাশ্য প্রতিযোগিতা।
কমিউনিটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানগুলোর জন্য সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া হয়। তবে তার পরিমাণ হয়ে থাকে খুবই কম। আবার অনেক সংগঠন সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে কোন ধরনের চাঁদা নেন না। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন পার্ক, রেস্টুরেন্টে কিংবা বিলাসবহুল জাহাজে তারা আয়োজন করেন বনভোজন, পুনর্মিলনী, ক্রুজ, সংবর্ধনাসহ নানা নামের অনুষ্ঠান। যে সব অনুষ্ঠানের পেছনে খরচ হয় হাজার হাজার ডলার।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অনুষ্ঠানের পুরস্কার, খাবার, বাস ভাড়াসহ সার্বিক ব্যয়ভার মেটানোর জন্য টার্গেট করা হয় স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষকদের। অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েই সংশ্লিষ্টরা ছুটে যান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, বিত্তশালী ব্যক্তি ও সংস্কৃতিসেবীদের কাছে। তাদেরকে অনুরোধ করা হয় অনুষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য। শুরুতে সংশ্লিষ্টরা ‘পৃষ্ঠপোষকতা’ শুরু করলেও মাঝপথে এসে অসংখ্য অনুষ্ঠানের চাপে তারা হাঁফিয়ে ওঠেন।
এস্টোরিয়ার একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা চাই কমিউনিটিতে অনুষ্ঠান হোক। পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যখন আমাদেরকে চাঁদার পরিমান ধার্য করে দেয়া হয় তখন মন-মেজাজ তিক্ত হয়ে যায়। আমাদের কাছে চাঁদা আদয়ের জন্য এমন লোকজন নিয়ে আসা হয় যাদের দেখলে আর না দিয়ে পারি না। কিন্তু কথা হল, আর কত? এই চাঁদাবাজির হিড়িকে তো আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনি বলেন, ভাবছি আগামী সামারে পালাব। ব্যবসা বন্ধ করে অন্য রাজ্যে বেড়াতে চলে যাব।
গত সপ্তাহে একটি বনভোজন অনুষ্ঠানের পর উত্তরবঙ্গের একটি সংগঠনের নেতা সাপ্তাহিক বলেন, আমরা বনভোজন করেছি লং আইল্যান্ডের একটি পার্কে। তাতে আমাদের ১২ হাজার ডলারের মত খরচ হয়েছে। খরচের সব অর্থ এসেছে চাঁদা থেকে। কয়েকটি ফার্মেসি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাদের ভাল সহযোগিতা করেছে।
এ প্রসঙ্গে মূলধারার রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা আসলেই অতিষ্ঠ। এমন কোন সপ্তাহ নেই যে, কোন না কোন সংগঠন ‘চাঁদা’র জন্য আসছে না। আমি মনে করি ব্যাঙের ছাতার মত এখানে সংগঠন গজিয়ে উঠেছে। একেকটি সংগঠন একটি অনুষ্ঠানে কম করে হলেও দশ হাজার ডলার খরচ করে থাকে। আমি মনে করি এগুলো অপচয়। এই পরিমান অর্থ এখানে এভাবে খরচ না করে দেশে কোন সামাজিক কাজে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে। এ পরিস্থিতি থেকে আমরা নিস্তার চাই।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনওআই ইন্স্যুরেন্সের কর্ণধার শাহ নেওয়াজ বলেন, কমিউনিটিতে অনুষ্ঠান বাড়ছে। এটির নানা দিক রয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া অনুষ্ঠান করা কিন্তু সত্যিই মুশকিল।
জ্যামাইকার একজন প্রবীণ কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য যেভাবে অর্থ তোলা হচ্ছে তা এ কথায় ‘চাঁদাবাজি’। সংগঠনগুলোর নিজেদের সামর্থ্য না থাকায় বিত্তবানদের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ নিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন পুরস্কার স্পন্সর নিচ্ছেন। আমি যতদূর জানি অধিকাংশ ব্যবসায়ীই মন খুলে এর জন্য অর্থ দিচ্ছেন না। এটা তাদের ওপর এক ধরনের জবরদস্তি।
জ্যাকসন হাইটসের একজন টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন,‘চাঁদাবাজ’দের উৎপাতে আমি খুবই বিরক্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন অনুষ্ঠানে যেতে আগ্রহ বোধ করি না। তারপরও দুই-একটা পছন্দের সংগঠনকে চাঁদা দিলে অন্য আরো অনেকেই এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা রীতিমত কৈফিয়ত নেয়ার মতো জিজ্ঞেস করে ওদের দিয়েছেন আমাদের দেবেন না কেন? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংগঠন করবেন ওরা, সমাজে নাম কিনবেন ওরা আর ওদরেকে লালন-পালনের দায়িত্ব কি আমাদের?