নিউইয়র্ক ০৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টরন্টোতে বাসা থেকে দম্পতিসহ ৪ বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
  • / ৩১২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: কানাডার টরন্টোর শহরতলির প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত মারখামের একটি বাসা থেকে দম্পতিসহ চারজনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ইয়র্ক রিজিওনাল পুলিশ ২০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে। আটক যুবক নিহত দম্পতির ছেলে। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। তবে পুলিশ এখনও নিহতদের নাম, পরিচয় প্রকাশ করেনি।

সিবিএনের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, নিহত সবাই বাংলাদেশী এবং টাঙ্গাইল জেলার অধিবাসী। তারা হলেন, মোহাম্মদ মনির ও মুক্তা জামান এবং তাদের মেয়ে, এবং কানাডায় বেড়াতে আসা মুক্তা জামানের মা অর্থাৎ মনিরের শাশুড়ি।
সিবিএন আরো জানায়, নিহত দম্পতির গ্রেফতার ছেলে সম্ভবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ ছিল, এমনকি সে মাদকাসক্তও ছিল। তাদের ধারণা, খাবারে কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করার পর ছুরিকাঘাতে তাদের হত্যা করে সে। এরপর সে গেম খেলতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের খুন করার বিষয়টি এই ছেলেই মন্ট্রিয়লে থাকা তার এক বন্ধুকে ফোন করে জানায়।
কাসলমোর এভিনিউ এবং এবং মিংয়ে অ্যাভিনিউস্থ একটি বাড়িতে সংগঠিত এই হত্যাকান্ডকে গোয়েন্দা সংস্থা গণহত্যা বলে অভিহিত করে। পুলিশ প্রতিবেশিদের কাছে খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং তারা জানায়, এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে। এজন্য জনসাধারণের সাহায্য-সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
পুলিশের কাছে প্রতিবেশি পাসকোয়াল ডি’সৌজা জানায়, এ বাড়িতে পরিবারটি ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

টরন্টোতে বাসা থেকে দম্পতিসহ ৪ বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

হককথা ডেস্ক: কানাডার টরন্টোর শহরতলির প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত মারখামের একটি বাসা থেকে দম্পতিসহ চারজনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ইয়র্ক রিজিওনাল পুলিশ ২০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে। আটক যুবক নিহত দম্পতির ছেলে। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। তবে পুলিশ এখনও নিহতদের নাম, পরিচয় প্রকাশ করেনি।

সিবিএনের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, নিহত সবাই বাংলাদেশী এবং টাঙ্গাইল জেলার অধিবাসী। তারা হলেন, মোহাম্মদ মনির ও মুক্তা জামান এবং তাদের মেয়ে, এবং কানাডায় বেড়াতে আসা মুক্তা জামানের মা অর্থাৎ মনিরের শাশুড়ি।
সিবিএন আরো জানায়, নিহত দম্পতির গ্রেফতার ছেলে সম্ভবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ ছিল, এমনকি সে মাদকাসক্তও ছিল। তাদের ধারণা, খাবারে কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করার পর ছুরিকাঘাতে তাদের হত্যা করে সে। এরপর সে গেম খেলতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের খুন করার বিষয়টি এই ছেলেই মন্ট্রিয়লে থাকা তার এক বন্ধুকে ফোন করে জানায়।
কাসলমোর এভিনিউ এবং এবং মিংয়ে অ্যাভিনিউস্থ একটি বাড়িতে সংগঠিত এই হত্যাকান্ডকে গোয়েন্দা সংস্থা গণহত্যা বলে অভিহিত করে। পুলিশ প্রতিবেশিদের কাছে খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং তারা জানায়, এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে। এজন্য জনসাধারণের সাহায্য-সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
পুলিশের কাছে প্রতিবেশি পাসকোয়াল ডি’সৌজা জানায়, এ বাড়িতে পরিবারটি ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)