জনপ্রতি ৪০০ ডলার প্রদানে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারী

- প্রকাশের সময় : ০২:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
- / ৫৬ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা বেকার ভাতার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে এখন পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলেও বেকারদের ভাতার মেয়াদ বাড়ানোর নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার (৮ আগষ্ট) তিনি এই নির্বাহী অধ্যাদেশ জারী করেন। এছাড়া বছরে এক লাখের কম ডলার আয়কারীদের কর মওকুফের একটি আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পে রোল ট্যাক্স (মজুরি থেকে কাটা কর) স্থগিতের এই সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীদের ফেডারেল কর পরিশোধ করতে হবে না। মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করা এবং শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয়ার বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারলে পে রোল ট্যাক্সের সুবিধা আরও বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। নিউজার্সীর বেডমিনস্টারে ট্রাম্পের জাতীয় গলফ ক্লাবে এসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট। এ সময় ক্লাবের সদস্যদের উল্ল¬াস করতে দেখা যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
এদিকে বেকার ভাতার মেয়াদ বাড়ানোয় এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেকার ভাতা সপ্তাহে ৬০০ ডলারের পরিবর্তে ৪০০ ডলার করে দেয়া হবে। জুলাই মাসে এই ভাতা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। তবে নতুন করে ভাতার পরিমাণ কমিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হলেও তা কতদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে সেবিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে এই ভাতার ৭৫ শতাংশ তহবিল আসবে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে, বাকি ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকার পরিশোধ করবে।
কংগ্রেসে করোনাভাইরাস নিয়ে অচলাবস্থার জন্য দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটকে দায়ী করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটরা সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এমন অবস্থায় আমি নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আমেরিকানদের চাকরি বাঁচাতে এবং কর্মীদের ত্রাণ সরবরাহ করতে যাচ্ছি। এছাড়া বাসাভাড়া না দিতে পারা ভাড়াটিয়াদের আইনগতভাবে উচ্ছেদের প্রক্রিয়াও স্থগিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে তা ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি।
করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশটির অর্থনীতিও মারাত্মক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। করোনা মহামারিতে লাখ লাখ মানুষ কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রায় থমকে যাওয়া আমেরিকান অর্থনীতি নিয়ে আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। করোনা মহামারি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটিতে তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে বলে স¤প্রতি একাধিক জনমত জরিপে উঠে এসেছে।
এদিকে হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের এধরনের সহায়তার সমালোচনা করে বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন না। তার এধরনের সহায়তা সংকীর্ণনীতিমূলক কারণ বেকার ছাড়াও লাখ লাখ বয়স্ক নাগরিক রয়েছে যাদের সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।