খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিএনপি’র ব্যাপক বিক্ষোভ-সমাবেশ
- প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
- / ১৩২১ বার পঠিত
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ওয়াশিংটনে ব্যাপক বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার ওয়াশিংটনস্থ হোয়াইট হাউজ ও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রথমে ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বেলা ২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা এবং পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজের সামনে বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেন। সমাবেশ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে স্মরকিলিপি প্রদান করা হয়।
নিউইয়র্ক থেকে ৪টি বাসে দলীয় নেতা-কর্মীরা সোমবার ওয়াশিংটন যান। এছাড়াও ওয়াশিংটন ডিসি সহ নিউজার্সী, পেনসেলভেনিয়া, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া প্রভৃতি অঙ্গরাজ্যের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বাস ও কারযোগে ওয়াশিংটনের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এতে ৪/৫শত বিএনএপি নেতা-কর্মীর সমাবেশ ঘটে বলে সংশ্লিস্টরা দাবী করেন। বিএনপি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুবদল, মহিলাদল, ছাত্রদল, জাসাস, জিসাস, বাংলাদেশী আমেরিকান জাতীয়তাবাদী ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম প্রভৃতি সংগঠনের ব্যানারে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে যোগদানকারীরা তাদের দাবী-দাওয়া সম্বলিত দলীয় ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে সমাবেশ স্থল মুখরিত করে তোলেন। তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিরোধীও শ্লোগান দেন এবং নেতৃবৃন্দ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন এবং অবিলম্ব বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দাবী করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী ছাড়াও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কামাল সাঈদ মোহন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন আযম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মওলানা ওয়ালিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদ, সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস সভাপতি আবু তাহের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ সোমবারের কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই সরকার আগামী নির্বাচনে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতেই তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত দেশে-প্রবাসে আন্দোলন চলবে বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
বিক্ষোভ-সমাবেশ দু’টিতে বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। বক্তারা সকল দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছ থেকে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আহ্বান জানান।
সমাবেশ দু’টিতে দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ারুল ইসলাম, আজাদ বাকের, জসিম ভূঁইয়া, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, আনোয়ার হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, এস এম ফেরদৌস, এমলাক হোসেন ফয়সাল, গোলাম ফারুক শাহীন, আবুল বাসার, ফিরোজ পাটোয়ারী, এবাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ উদ্দিন, আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পারভেজ সাজ্জাদ, আহবাব হোসেন খোকন, আমানত হোসেন আমান, শেখ হায়দার আলী, মোহাম্মদ রেজাউল আজাদ ভূইয়া, ডা. তারেক জামান, আবুল কাশেম, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, আলহাজ জুবায়ের আলী, মার্শাল মুরাদ, হাফিজ খান সোহেল, ওয়াহিদুর রহমান, আবুল হোসেন শাহাদৎ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়াদী, খলকুর রহমান, সেলিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম সোহেল, সামসুল আলম, আলমগীর হোসেন, কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, ইমরান শাহ রন, মোহাম্মদ আলমগীর মূধা, ড. নুরুল আমিন পলাশ, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, আহসান মামুন, এস আহমেদ রুমেল, সাইফুর খান হারুন, মাজহারুল ইসলাম জনি, মোশারফ সবুজ, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা, জসিম উদ্দিন সবুজ, কাওসার আহমেদ, রুহুল আমিন নাসির, এইচ এম সাজেদুল ইসলাম, আমিন রসুল ছোটন, হুমায়ুন কবীর, মোহাম্মদ আমিনুল হক, মোহাম্মদ বিশ্বাস, রাহাত আলম, কাজী রফিক, নূর জাহান বেগম, মনির খান, মোহাম্মদ রিপন, আকবর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।