নিউইয়র্ক ০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কানাডায় বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানিয়ে আবারও অভিবাসনের প্রয়াস বিফল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭
  • / ১০৫৬ বার পঠিত

টরন্টো (কানাডা): কানাডার ফেডারেল কোর্টে আবারও আরেক বাংলাদেশী শরণার্থীর অভিবাসন পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হয়েছে। ওই ব্যক্তিটি নিজেকে বাংলাদেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সচিব দাবি করলেও দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানাতে কাপর্ণ্য করেনি, এমনকী কোর্টের রায়ে শরণার্থীর বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ পেলে জীবননাশ হতে পারে বিধায় নাম প্রকাশেও অনীহা জানিয়েছে। ফলে গত ১২ মে শরণার্থীর নামের আদ্যাক্ষর ‘এস.এ’ বনাম জননিরাপত্তা ও জরুরি প্রস্তুতি বিষয়ক মন্ত্রীর মধ্যকার মামলার নিষ্পত্তিতে বিচারক সাইমন ফদারগিল ওই নাকচ সংক্রান্ত রায়টি দেন।
তাতে ১৩ পৃষ্ঠা সংবলিত রায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ‘এস.এ’ আদ্যাক্ষর বিশিষ্ট আবেদনকারী কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী নিরাপত্তা বিষয়ক ৩৪(১)এফ ধারায় বর্ণিত আইনানুযায়ী আশ্রয় প্রার্থনার অযোগ্য। কেননা তার দাবি অনুযায়ী, সে বিএনপির সদস্য এমন স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই আইনি বিবেচনা ও বিশ্লেষণে ‘টেম্পোরাল কম্পোনেন্ট’ বা সাময়িক কোনো বিষয়বস্তু নেই। ফলে তার প্রদত্ত পরিচিতি অনুযায়ী বিএনপি সংগঠনটি সন্ত্রাসে যুক্ত হয়েছে, হ”েছ ও হবে সবই বাস্তবসম্মত।
পাশাপাশি চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক। ২০০৪ সালের এপ্রিলে সে বিএনপির যুব অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলে যোগ দেয়। ২০১২ সালে সে বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সচিব হয়। ২০১৪ সালে এপ্রিলে সে কানাডায় পদার্পণ করে এবং শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এতে ওই রায় প্রদানের ক্ষেত্রে দুটি ইস্যু বা বিষয় অর্থাৎ কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী নিরাপত্তা বিষয়ক ৩৪(১)এফ ধারায় বর্ণিত আইনানুযায়ী আশ্রয়ের উপযুক্ত কিনা এবং আপিলের জন্য প্রশ্ন সত্যায়ন করা হবে কিনা বিবেচনায় নেওয়া হয়। কিন্ত বিচারক সাইমন ফদারগিল উভয় ইস্যুই নাকচ করে দেন।
ইতোপূর্বে এ বছরের ২৫ জানুয়ারী অনুরূপভাবে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানিয়ে জনৈক মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজীর স্থায়ী অভিবাসনের পুনর্বিবেচনার আবেদনটি নাকচ করে দেয় কানাডার ফেডারেল কোর্ট। সে সময় অনুসন্ধানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কেউ স্বীকার করেননি বিএনপি একটি ‘সন্ত্রাসী দল’, এমনকী কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তালিকাবদ্ধ কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। তা হলে প্রশ্ন জাগে, কানাডার ফেডারেল কোর্টকে বিএনপি এ সব শরণার্থীর বিষয়ে তাদের অবস্থানটি সুস্পষ্ট করবে কী? (আমাদের সময়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কানাডায় বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানিয়ে আবারও অভিবাসনের প্রয়াস বিফল

প্রকাশের সময় : ০৬:২০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

টরন্টো (কানাডা): কানাডার ফেডারেল কোর্টে আবারও আরেক বাংলাদেশী শরণার্থীর অভিবাসন পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হয়েছে। ওই ব্যক্তিটি নিজেকে বাংলাদেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সচিব দাবি করলেও দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানাতে কাপর্ণ্য করেনি, এমনকী কোর্টের রায়ে শরণার্থীর বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ পেলে জীবননাশ হতে পারে বিধায় নাম প্রকাশেও অনীহা জানিয়েছে। ফলে গত ১২ মে শরণার্থীর নামের আদ্যাক্ষর ‘এস.এ’ বনাম জননিরাপত্তা ও জরুরি প্রস্তুতি বিষয়ক মন্ত্রীর মধ্যকার মামলার নিষ্পত্তিতে বিচারক সাইমন ফদারগিল ওই নাকচ সংক্রান্ত রায়টি দেন।
তাতে ১৩ পৃষ্ঠা সংবলিত রায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ‘এস.এ’ আদ্যাক্ষর বিশিষ্ট আবেদনকারী কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী নিরাপত্তা বিষয়ক ৩৪(১)এফ ধারায় বর্ণিত আইনানুযায়ী আশ্রয় প্রার্থনার অযোগ্য। কেননা তার দাবি অনুযায়ী, সে বিএনপির সদস্য এমন স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই আইনি বিবেচনা ও বিশ্লেষণে ‘টেম্পোরাল কম্পোনেন্ট’ বা সাময়িক কোনো বিষয়বস্তু নেই। ফলে তার প্রদত্ত পরিচিতি অনুযায়ী বিএনপি সংগঠনটি সন্ত্রাসে যুক্ত হয়েছে, হ”েছ ও হবে সবই বাস্তবসম্মত।
পাশাপাশি চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক। ২০০৪ সালের এপ্রিলে সে বিএনপির যুব অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলে যোগ দেয়। ২০১২ সালে সে বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সচিব হয়। ২০১৪ সালে এপ্রিলে সে কানাডায় পদার্পণ করে এবং শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এতে ওই রায় প্রদানের ক্ষেত্রে দুটি ইস্যু বা বিষয় অর্থাৎ কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী নিরাপত্তা বিষয়ক ৩৪(১)এফ ধারায় বর্ণিত আইনানুযায়ী আশ্রয়ের উপযুক্ত কিনা এবং আপিলের জন্য প্রশ্ন সত্যায়ন করা হবে কিনা বিবেচনায় নেওয়া হয়। কিন্ত বিচারক সাইমন ফদারগিল উভয় ইস্যুই নাকচ করে দেন।
ইতোপূর্বে এ বছরের ২৫ জানুয়ারী অনুরূপভাবে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বানিয়ে জনৈক মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজীর স্থায়ী অভিবাসনের পুনর্বিবেচনার আবেদনটি নাকচ করে দেয় কানাডার ফেডারেল কোর্ট। সে সময় অনুসন্ধানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কেউ স্বীকার করেননি বিএনপি একটি ‘সন্ত্রাসী দল’, এমনকী কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তালিকাবদ্ধ কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। তা হলে প্রশ্ন জাগে, কানাডার ফেডারেল কোর্টকে বিএনপি এ সব শরণার্থীর বিষয়ে তাদের অবস্থানটি সুস্পষ্ট করবে কী? (আমাদের সময়)