আটলান্টায় উৎসবমুখর ঈদ উদযাপন ॥ ঈদে ছুটি ঘোষণার দাবী
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০১৫
- / ১০৫০ বার পঠিত
আটলান্টা: দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর গত ১৭ জুলাই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহর আটলান্টাতেও উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে জর্জিয়ার বাংলাদেশী মুসলমান কমিউনিটি যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার এই প্রাণোচ্ছল দিনটিকে নানা বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর তুলেছে। সকালে ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বাঙালী অধ্যুষিত পাড়ায়, এপার্টমেন্টে, বাড়িতে বাড়িতে নারী পুরুষ শিশু কিশোরদের আনন্দমুখর কলকাকলিতে সরব হয়ে উঠেছে দিনভর। প্রবাসীরা স্বদেশের নস্টালজিয়াকে এইভাবে ধারন করে মুসলমানদের এই আনন্দঘন উৎসবটিকে উপভোগ করেছে নানান আয়োজনে। এর আগের দিন অনেক বাড়িতেই শিশু ও কিশোরীদেরকে হাতে মেহেদীর আলপনা আঁকায় মেতে উঠতে দেখা গেছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও সামাজিক সংগঠনগুলো যথারীতি নামাজের আয়োজন করেছে। জর্জিয়ায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় ডাউন টাউনস্থ আটলান্টার আল-ফারুক মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, একটি সকাল সাড়ে আটটায় ও অন্যটি সকাল সোয়া ন’টায়। বড় জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় নর্থ ট্রেড সেন্টার মিলনায়তনে। জর্জিয়া ইসলামিক ইনইন্সটিটিউট মসজিদ লরেন্সভিলে একইভাবে দু’টি জামাত যথাক্রমে সকাল সাড়ে আটটায় ও সাড়ে ন’টায়, ইসলামিক সেন্টার অব নর্থ ফুলটন আলফারাটায় দু’টি, ইবাদুর রহমান দাওয়াহ সেন্টার মেরিয়েটায় একটি, আটলান্টা মসজিদ আল ইসলাম সকাল সাড়ে আটটায় একটি জামাত, মসজিদ আল মুমিন ক্লার্ক স্টোনে সাড়ে আটটায় একটি, ডুরাভিলস্থ বাংলাদেশী ব্যবস্থাধীন আত তাকওয়া মসজিদ সাড়ে আটটা ও সাড়ে ন’টায় দু’টি এবং রজওয়েল কম্যুনিটি জামে মসজিদ রজওয়েলে সকাল ন’টা ও সাড়ে ন’টায় দু’টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও কোন কোন কম্যুনিটি সেন্টারেও ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এবারের ঈদের দিনটি সামারের ছুটির মধ্যে পড়েছে বলে গত বছরের মত এবারও আটলান্টার সকল স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে অভিভাবকদেরকে বিশেষ ছুটি মঞ্জুরের জন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কোন অনুমতি পত্র পাঠাতে হয়নি।
এদিকে জর্জিয়া রাজ্যের সকল স্কুলগুলিতে নিউইয়র্কের মতো মুসলমান ছাত্রদের জন্যে ছুটি ঘোষণার জন্য এখানকার বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্যের আটলান্টা প্রবাসী বাংলাদেশী অভিভাবকগণ। তারা জানান, নিউইয়র্কে যদি দাবীর মুখে মুসলমান ছাত্রদের জন্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়, তবে চেষ্টা-তদবির করলে এখানকার বাংলাদেশীসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের অভিবাসীদের নিয়ে সোচ্চার হলে এই দাবী আদায়ে এখানেও সফলকাম হওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত মার্চে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও তার শহরের স্কুলগুলিতে সর্ব প্রথম ঈদের ছুটি ঘোষণা করেন।