নিউইয়র্ক ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মহাকাশযানের ধাক্কায় পাল্টে গেল গতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪২ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (সংক্ষেপে ডার্ট) নামের এক মিশন চালিয়েছিল। ওই মিশনে ডিমরফোস নামের এক গ্রহাণুর বুকে আছড়ে ফেলে একটি নভোযানকে ইচ্ছা করে বিধ্বস্ত করেছিল নাসা। এর লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর ওপর আঘাত করতে পারে এমন বিপজ্জনক গ্রহাণুকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া কতটা সম্ভব তা খতিয়ে দেখা। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ট মিশনের পর ডিমরফোস গ্রহাণুটির গতিবিধি কিছুটা বদলে গেছে।

ওই গ্রহাণুতে ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৪৫ মাইল বেগে আঘাত হেনেছিল ডার্ট মহাকাশযানটি। ডিমরফোস মূলত একটি ছোট গ্রহাণু, যা ডিডাইমোস নামে আরেকটি বৃহৎ গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। দুটির কোনোটিই পৃথিবীর জন্য কোনো রকম ঝুঁকি তৈরি করেনি। তবে ডিমরফোসের সমান আকৃতির গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে বিবেচনায় পরীক্ষার জন্য একে বেছে নেওয়া হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওই সংঘাতের পর থেকে ডিমরফোসের ওপর নজর রাখছিলেন। তাঁরা দেখেছেন, গ্রহাণুটির প্রদক্ষিণকাল বদলে গেছে। আগের চেয়ে তার ব্যবধান ৩২ থেকে ৩৩ মিনিট। তবে পৃথিবীর সঙ্গে কোনো গ্রহাণুর সংঘর্ষ এড়ানোর উপায় বের করতে মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো এ ধরনের বিশাল শিলাগুলোর গঠনও ভালো করে জানা দরকার বলেই মত এই বিজ্ঞানীদের।

গ্রহাণুটি পুরোটাই কঠিন শিলা, নাকি মাধ্যাকর্ষণের টানে আটকে থাকা আলগা পাথর ও জঞ্জালের স্তূপ তার ওপর নির্ভর করবে সরিয়ে দেওয়ার সফল কৌশল কোনটি হবে। মহাকাশযানটি ডিমরফোসে আছড়ে পড়েই ধ্বংস হয় বলে তার অভিযান সেখানেই শেষ। কিন্তু যানটি সংঘর্ষের আগে বড় বড় পাথরে ভরা গ্রহাণুটি সম্পর্কে যেসব তথ্য পাঠিয়েছে, তা থেকে এটি কিভাবে তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেছে। সূত্র : সিএনএন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মহাকাশযানের ধাক্কায় পাল্টে গেল গতি

প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (সংক্ষেপে ডার্ট) নামের এক মিশন চালিয়েছিল। ওই মিশনে ডিমরফোস নামের এক গ্রহাণুর বুকে আছড়ে ফেলে একটি নভোযানকে ইচ্ছা করে বিধ্বস্ত করেছিল নাসা। এর লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর ওপর আঘাত করতে পারে এমন বিপজ্জনক গ্রহাণুকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া কতটা সম্ভব তা খতিয়ে দেখা। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ট মিশনের পর ডিমরফোস গ্রহাণুটির গতিবিধি কিছুটা বদলে গেছে।

ওই গ্রহাণুতে ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৪৫ মাইল বেগে আঘাত হেনেছিল ডার্ট মহাকাশযানটি। ডিমরফোস মূলত একটি ছোট গ্রহাণু, যা ডিডাইমোস নামে আরেকটি বৃহৎ গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। দুটির কোনোটিই পৃথিবীর জন্য কোনো রকম ঝুঁকি তৈরি করেনি। তবে ডিমরফোসের সমান আকৃতির গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে বিবেচনায় পরীক্ষার জন্য একে বেছে নেওয়া হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওই সংঘাতের পর থেকে ডিমরফোসের ওপর নজর রাখছিলেন। তাঁরা দেখেছেন, গ্রহাণুটির প্রদক্ষিণকাল বদলে গেছে। আগের চেয়ে তার ব্যবধান ৩২ থেকে ৩৩ মিনিট। তবে পৃথিবীর সঙ্গে কোনো গ্রহাণুর সংঘর্ষ এড়ানোর উপায় বের করতে মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো এ ধরনের বিশাল শিলাগুলোর গঠনও ভালো করে জানা দরকার বলেই মত এই বিজ্ঞানীদের।

গ্রহাণুটি পুরোটাই কঠিন শিলা, নাকি মাধ্যাকর্ষণের টানে আটকে থাকা আলগা পাথর ও জঞ্জালের স্তূপ তার ওপর নির্ভর করবে সরিয়ে দেওয়ার সফল কৌশল কোনটি হবে। মহাকাশযানটি ডিমরফোসে আছড়ে পড়েই ধ্বংস হয় বলে তার অভিযান সেখানেই শেষ। কিন্তু যানটি সংঘর্ষের আগে বড় বড় পাথরে ভরা গ্রহাণুটি সম্পর্কে যেসব তথ্য পাঠিয়েছে, তা থেকে এটি কিভাবে তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেছে। সূত্র : সিএনএন