নিউইয়র্ক ১০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হেডফোন ডান ও বাম কান বুঝে পরা যে কারণে জরুরি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৬ বার পঠিত

প্রায় সব হেডফোনে ইংরেজি ‘এল’ এবং ‘আর’ বর্ণের দুটি চিহ্ন থাকে। হেডফোনের কোন অংশটি বাম এবং কোন অংশটি ডান কানে পরতে হবে, তা চিহ্ন দুটি দিয়ে বোঝা যায়। মিউজিক বা যেকোনো ধরনের অডিও ভালোভাবে শোনার জন্য হেডফোন সঠিকভাবে পরা জরুরি। অডিও শোনার অভিজ্ঞতায় হেডফোনের এই ডান ও বামের অংশ প্রভাব ফেলে।

শব্দ তুলনামূলক ধীরগতিতে চলে, সেকেন্ডে ৩৩০ মিটার। শব্দের প্রতিধ্বনি দিয়েই বোঝা যায়, এটি ধীরগতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছায়। যেমন কোনো দূরের সুউচ্চ ভবন বা পাহাড়ের দিকে ফিরে চিৎকার করলে, সেই শব্দের প্রতিধ্বনি এসে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। আবার কোনো গভীর কুয়ার মুখে চিৎকার করলেও একই ঘটনা ঘটে।

মানুষের কান ১০ মাইক্রোসেকেন্ডের মতো সময়ের পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। সে তুলনায় শব্দ ধীরগতিতে চলার কারণে মানুষের মস্তিষ্ক বাম কান ও ডান কানে আসা শব্দের মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। একে ইন্টার-অরাল টাইম ডিফারেন্স বা দুই কানের অন্তর্বর্তী সময়ের পার্থক্য বলে।

কেউ যদি আপনার বাম দিক থেকে কথা বলে, তাহলে আপনি ঠিকই বুঝতে পারবেন, শব্দগুলো বাম দিক থেকে আসছে। কারণ, বাম কানে আগে শব্দটি এসে পৌঁছাবে আর ডান দিকে একটু দেরিতে পৌঁছাবে। আর এই সূক্ষ্ম পার্থক্য মানুষের মস্তিষ্ক ধরতে পারে। বর্তমান যুগের মিউজিক বা অন্য কোনো অডিও প্রোডাকশনে স্টেরিও অডিও ব্যবহার করা হয়। স্টেরিও অডিও রেকর্ডের জন্য একাধিক মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়; বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এটি করা হয়।

এর ফলে স্টেরিও হেডফোন এমন ভ্রম তৈরি করে যে, মনে হবে আলাদা বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ও কণ্ঠ প্রতিটি কানে আলাদাভাবে প্রবেশ করছে। তাই স্টেরিও অডিও শোনার জন্য হেডফোন সঠিকভাবে পরতে হবে, তা না হলে শব্দগুলো বিপরীতভাবে শোনা যাবে। অর্থাৎ অডিও বা মিউজিক কম্পোজার যে অভিজ্ঞতা দিতে চান, তার বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হবে না। সামনের শব্দ মনে হবে পেছন দিক থেকে আসছে এবং পেছন থেকে আসা শব্দ মনে হবে সামনের দিক থেকে আসছে। তবে মনো অডিওর ক্ষেত্রে ডান ও বাম কানে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা সম্ভব হয় না। তাই হেডফোন ভুল কানে পরলেও সমস্যা নেই। কারণ, মনো অডিও একটি উৎস থেকে আসে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হেডফোন ডান ও বাম কান বুঝে পরা যে কারণে জরুরি

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রায় সব হেডফোনে ইংরেজি ‘এল’ এবং ‘আর’ বর্ণের দুটি চিহ্ন থাকে। হেডফোনের কোন অংশটি বাম এবং কোন অংশটি ডান কানে পরতে হবে, তা চিহ্ন দুটি দিয়ে বোঝা যায়। মিউজিক বা যেকোনো ধরনের অডিও ভালোভাবে শোনার জন্য হেডফোন সঠিকভাবে পরা জরুরি। অডিও শোনার অভিজ্ঞতায় হেডফোনের এই ডান ও বামের অংশ প্রভাব ফেলে।

শব্দ তুলনামূলক ধীরগতিতে চলে, সেকেন্ডে ৩৩০ মিটার। শব্দের প্রতিধ্বনি দিয়েই বোঝা যায়, এটি ধীরগতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছায়। যেমন কোনো দূরের সুউচ্চ ভবন বা পাহাড়ের দিকে ফিরে চিৎকার করলে, সেই শব্দের প্রতিধ্বনি এসে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। আবার কোনো গভীর কুয়ার মুখে চিৎকার করলেও একই ঘটনা ঘটে।

মানুষের কান ১০ মাইক্রোসেকেন্ডের মতো সময়ের পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। সে তুলনায় শব্দ ধীরগতিতে চলার কারণে মানুষের মস্তিষ্ক বাম কান ও ডান কানে আসা শব্দের মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। একে ইন্টার-অরাল টাইম ডিফারেন্স বা দুই কানের অন্তর্বর্তী সময়ের পার্থক্য বলে।

কেউ যদি আপনার বাম দিক থেকে কথা বলে, তাহলে আপনি ঠিকই বুঝতে পারবেন, শব্দগুলো বাম দিক থেকে আসছে। কারণ, বাম কানে আগে শব্দটি এসে পৌঁছাবে আর ডান দিকে একটু দেরিতে পৌঁছাবে। আর এই সূক্ষ্ম পার্থক্য মানুষের মস্তিষ্ক ধরতে পারে। বর্তমান যুগের মিউজিক বা অন্য কোনো অডিও প্রোডাকশনে স্টেরিও অডিও ব্যবহার করা হয়। স্টেরিও অডিও রেকর্ডের জন্য একাধিক মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়; বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এটি করা হয়।

এর ফলে স্টেরিও হেডফোন এমন ভ্রম তৈরি করে যে, মনে হবে আলাদা বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ও কণ্ঠ প্রতিটি কানে আলাদাভাবে প্রবেশ করছে। তাই স্টেরিও অডিও শোনার জন্য হেডফোন সঠিকভাবে পরতে হবে, তা না হলে শব্দগুলো বিপরীতভাবে শোনা যাবে। অর্থাৎ অডিও বা মিউজিক কম্পোজার যে অভিজ্ঞতা দিতে চান, তার বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হবে না। সামনের শব্দ মনে হবে পেছন দিক থেকে আসছে এবং পেছন থেকে আসা শব্দ মনে হবে সামনের দিক থেকে আসছে। তবে মনো অডিওর ক্ষেত্রে ডান ও বাম কানে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা সম্ভব হয় না। তাই হেডফোন ভুল কানে পরলেও সমস্যা নেই। কারণ, মনো অডিও একটি উৎস থেকে আসে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।