মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো চিপ স্থাপন করল মাস্কের নিউরালিংক
- প্রকাশের সময় : ০১:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৮০ বার পঠিত
মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো চিপ স্থাপন করেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই চিপ স্থাপনের কাজটি করা হয়। ইলন মাস্কে নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাঁর প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইলন মাস্ক সোমবার তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘চিপ স্থাপনের পর প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, চিপটি নিউরনের স্পাইক শনাক্তকরণে বেশ ভালো সক্ষমতা দেখিয়েছে।’
সাধারণত নিউরনের কর্মকাণ্ডকে স্পাইক বলে আখ্যা দেওয়া হয়। তবে একে সেল বা কোষও বলা হয়। মূলত, মানুষের মস্তিষ্ক যে বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে সারা দেহে তথ্য আদানপ্রদান করে সেই প্রক্রিয়াকে স্পাইক বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিউরালিংকে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল। মূলত পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও স্নায়বিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক। এর পর, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউরালিংক। মাস্কের প্রতিষ্ঠান কিছুদিন আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এই চিপ বসানোর কাজে রোবটের সাহায্য নেওয়া হবে। রোবটের সাহায্যে মানুষের মস্তিষ্কের এমন একটা অংশে এই চিপ বা ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) স্থাপন করা হবে যেটি মানুষের চলাফেরার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউরালিংক জানিয়েছিল, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো—কোনো যন্ত্রের সহায়তা না নিয়ে কেবল মস্তিষ্কের চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার কারসর বা বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করে তোলা। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য বলছে, চিপটির ‘আলট্রা-ফাইন’ থ্রেড যাদের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হবে তাদের মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণে সহায়তা করবে। নিউরালিংকের প্রথম চিপটিকে ‘টেলিপ্যাথি’ নামে আখ্যা দেওয়া হবে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তিনি ১০ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান বানরের ওপর এই চিপ স্থাপনের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু এই পরীক্ষায় কোনো বানর মারা যায়নি। সূত্র : আজকের পত্রিকা।