কারুগাবা মনে করেন, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা বাকি বিশ্বের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, মহাদেশ হিসেবে আফ্রিকার দিকে তাকালে এমনটাই বোঝা যায়। আমরা উদ্ভাবন করতে পারি না, আফ্রিকার মানুষ সম্পর্কে এমন প্রচলিত ধারণা আমি বদলাতে চাই। মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা এমন সব কিছুর নাগাল পেতে চাই।’অনেকটা মেমরি স্টিকের মতো কাজ করে মিনি কম্পিউটার। এর ভেতরে সাধারণ কম্পিউটার প্রোগ্রাম ভরা রয়েছে। সেই স্টিক যেকোনো স্মার্ট স্ক্রিনে ঢুকিয়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই কম্পিউটারের সুবিধা পাওয়া যায়। আর এর আকর্ষণ মূল্যতে। এর বর্তমান মূল্য প্রায় ৭০ ডলার । যা কিনা প্রায় পাঁচ গুণ কম উগান্ডায় প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায়।
এক পরীক্ষামূলক ইউনিট হাতে পেয়েছিলেন ডেন্টাল ছাত্রী সামান্থা আসিমওয়ে। সেসময় থেকেই সেটি ব্যবহার করে চলেছেন তিনি। আড়াই লাখ উগান্ডান শিলিং দিয়ে একটি ইউনিট কিনেছিলেন বলে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তার এটা দারুণ কাজে লেগেছে বলে জানান। কারণ তিনি এক টেলিভিশনের পর্দায় সব কাজ করতে পারছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমি আমার রিপোর্ট প্রিন্ট করতে পারি, লিখতে পারি, আমার তথ্য জমা রাখতে পারি। এমনকি এটাতে মিউজিকের ব্যবস্থা থাকায় মাঝে মাঝে কানে হেডফোন লাগিয়ে গানও শুনতে পারি।
কারুগাবার আশা করছেন মিনি কম্পিউটারের দাম আরও কমানো যাবে। কারণ এটা চালাতে প্রয়োজনের তুলনায় কম শক্তি লাগে। তিনি বলেন,‘আমাদের ডিভাইস চালাতে প্রায় চার ওয়াট শক্তি লাগে। যা এনার্জি সেভিং বাল্বের তুলনায় অনেক কম। এখানকার চূড়ান্ত ব্যবহারকারীর কাঁধে এমনিতেই জ্বালানি বাবদ ব্যয়ের বিশাল বোঝা রয়েছে। সাধারণ ল্যাপটপ চালাতে ৬৫ ওয়াট আর ডেস্কটপ সেটআপ চালাতে প্রায় ১২৫ ওয়াট লাগে। ফলে আমাদের পণ্য অনেক বেশি সাশ্রয় করে।’
কারুগাবা ১৫০ বেশি মিনি কম্পিউটার তৈরি করেছেন গত দুই বছরে। কারুগাবা আরও বড় আকারে উৎপাদন বাড়িয়ে বাজারে প্রবেশের আশা করছেন। আর এ জন্য সদ্য আর্থিক অনুদানও পেয়েছেন তিনি। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
হককথা/নাছরিন