নিউইয়র্ক ১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শিশু শান্তি পুরস্কার উঠল ৩ কিশোরীর হাতে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৬৬ বার পঠিত

সোফিয়া তেরেশচেঙ্কো,আনাস্তাসিয়া ফেসকোভা,আনাস্তাসিয়া ডেমচেঙ্কো। ছবি- সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শিশুদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির জন্য অ্যাপ তৈরি করে শিশু শান্তি পুরস্কার জিতেছে ইউক্রেনের তিন কিশোরী।

ইন্টারন্যাশনাল কিডস রাইটস অর্গানাইজেশন এ বছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার তুলে দিয়েছে সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর হাতে।

এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় তিন কিশোরী একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের সহায়তা পেল। এর মাধ্যমে তারা তাদের বার্তা আরও বড় পরিসরে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থা। নিরাপত্তার জন্য শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে-আশ্রয়ের জন্য। এ ঘটনায় ভীষণ মর্মাহত হয়েছিল ইউক্রেনের সোফিয়া তেরেশচেঙ্কো, আনাস্তাসিয়া ফেসকোভা ও আনাস্তাসিয়া ডেমচেঙ্কো নামে তিন কিশোরী। দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শিশুরা একটি অপরিচিত দেশে মা-বাবা ছাড়া কতটা অস্থিরতায় থাকতে পারে, সেটি ভেবে তারা খুব আহত হয়েছিল। তাই ইউক্রেনের বাতাস যখন বারুদের গন্ধে অস্থির, তখন এই তিন কিশোরী অনলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তৈরি করেছিল দুটি মোবাইল ফোন অ্যাপ। তারা এই অ্যাপ দুটি তৈরি করেছিল মূলত শরণার্থী শিশুদের সাহায্য করার জন্য।

সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর তৈরি করা অ্যাপ দুটির একটির নাম রেফি, অন্যটি সুইত। প্রথমটি তৈরি করা হয়েছে ৪ থেকে ১১ বছর বয়সী শরণার্থী শিশুদের জন্য। এই অ্যাপে শিশুদের আশ্রয় দেওয়া বিভিন্ন দেশের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে যেন শিশুরা সেই সব দেশে যাওয়ার আগে বা পরে সে দেশটি সম্পর্কে জানতে পারে। এ ছাড়া এই অ্যাপে রয়েছে শরণার্থী শিশুদের জন্য যোগাযোগসংক্রান্ত পরামর্শ। এসব পরামর্শ মেনে তারা নিরাপত্তা, খাদ্য বা আশ্রয়ের যেকোনো সংকটে যথাযথ জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে।

একটি নতুন দেশের ভাষা জানা না থাকলে সেখানে দিন কাটানোটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। এই সমস্যা দূর করতে তৈরি করা হয়েছিল সুইত নামের অ্যাপটি। এর সাহায্যে ভিন্ন ভাষাভাষী শিশুদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে ১৬ বছর এবং এর বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য।

কিডস রাইটসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ মিলিয়ন শিশুকে তাদের জন্মভূমি ত্যাগ করতে হয়েছে যুদ্ধবিগ্রহের কারণে। এই অশান্ত পৃথিবীতে শিশুদের নিরাপত্তা ও যোগাযোগের জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের তিন কিশোরী তৈরি করেছে দুটি অ্যাপ। এই বিশেষ কারণে ইন্টারন্যাশনাল কিডস রাইটস অর্গানাইজেশন এ বছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার তুলে দিয়েছে সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর হাতে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ৩৫টি দেশ থেকে মনোনয়ন পাওয়া ১৪০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শিশু শান্তি পুরস্কার উঠল ৩ কিশোরীর হাতে

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শিশুদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির জন্য অ্যাপ তৈরি করে শিশু শান্তি পুরস্কার জিতেছে ইউক্রেনের তিন কিশোরী।

ইন্টারন্যাশনাল কিডস রাইটস অর্গানাইজেশন এ বছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার তুলে দিয়েছে সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর হাতে।

এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় তিন কিশোরী একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের সহায়তা পেল। এর মাধ্যমে তারা তাদের বার্তা আরও বড় পরিসরে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থা। নিরাপত্তার জন্য শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে-আশ্রয়ের জন্য। এ ঘটনায় ভীষণ মর্মাহত হয়েছিল ইউক্রেনের সোফিয়া তেরেশচেঙ্কো, আনাস্তাসিয়া ফেসকোভা ও আনাস্তাসিয়া ডেমচেঙ্কো নামে তিন কিশোরী। দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শিশুরা একটি অপরিচিত দেশে মা-বাবা ছাড়া কতটা অস্থিরতায় থাকতে পারে, সেটি ভেবে তারা খুব আহত হয়েছিল। তাই ইউক্রেনের বাতাস যখন বারুদের গন্ধে অস্থির, তখন এই তিন কিশোরী অনলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তৈরি করেছিল দুটি মোবাইল ফোন অ্যাপ। তারা এই অ্যাপ দুটি তৈরি করেছিল মূলত শরণার্থী শিশুদের সাহায্য করার জন্য।

সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর তৈরি করা অ্যাপ দুটির একটির নাম রেফি, অন্যটি সুইত। প্রথমটি তৈরি করা হয়েছে ৪ থেকে ১১ বছর বয়সী শরণার্থী শিশুদের জন্য। এই অ্যাপে শিশুদের আশ্রয় দেওয়া বিভিন্ন দেশের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে যেন শিশুরা সেই সব দেশে যাওয়ার আগে বা পরে সে দেশটি সম্পর্কে জানতে পারে। এ ছাড়া এই অ্যাপে রয়েছে শরণার্থী শিশুদের জন্য যোগাযোগসংক্রান্ত পরামর্শ। এসব পরামর্শ মেনে তারা নিরাপত্তা, খাদ্য বা আশ্রয়ের যেকোনো সংকটে যথাযথ জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে।

একটি নতুন দেশের ভাষা জানা না থাকলে সেখানে দিন কাটানোটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। এই সমস্যা দূর করতে তৈরি করা হয়েছিল সুইত নামের অ্যাপটি। এর সাহায্যে ভিন্ন ভাষাভাষী শিশুদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে ১৬ বছর এবং এর বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য।

কিডস রাইটসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ মিলিয়ন শিশুকে তাদের জন্মভূমি ত্যাগ করতে হয়েছে যুদ্ধবিগ্রহের কারণে। এই অশান্ত পৃথিবীতে শিশুদের নিরাপত্তা ও যোগাযোগের জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের তিন কিশোরী তৈরি করেছে দুটি অ্যাপ। এই বিশেষ কারণে ইন্টারন্যাশনাল কিডস রাইটস অর্গানাইজেশন এ বছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার তুলে দিয়েছে সোফিয়া, আনাস্তাসিয়া ও ডেমচেঙ্কোর হাতে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ৩৫টি দেশ থেকে মনোনয়ন পাওয়া ১৪০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান

হককথা/নাছরিন