নিউইয়র্ক ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

২০৪৬ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এই গ্রহাণু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৮৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  : নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস সম্প্রতি মহাকাশে একটি গ্রহাণু খুঁজে পেয়েছে যেটি ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। হিসাব বলছে, ২০৪৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন্স ডে’র দিন এটি পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এসময় পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই গ্রহাণুটির। বাস্তবে এ সম্ভাবনা সামান্য হলেও, মহাজাগতিক হিসেবে সংঘর্ষ হওয়ার ঝুঁকি ‘সর্বাধিক’। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট। খবরে বলা হয়েছে, ওই গ্রহাণুর নাম দেয়া হয়েছে ২০২৩ ডিডব্লিউ। গ্রহাণুটি ১৬২ ফুট চওড়া। ২৭টি বড় আকৃতির পান্ডার সমান গ্রহাণুটি বর্তমানে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ২৭১ দিন সময় নেয়। বর্তমানে টরিনো স্কেলে ১০-এর মধ্যে মাত্র ১ নম্বর পেয়েছে এই গ্রহাণু। এই স্কেলের মাধ্যমে পৃথিবীর সঙ্গে কোনও গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা মাপা হয়।

১০-এ ১০ মানে সংঘর্ষ হবেই। আর ১০-এ ১ মানে খুবই ক্ষীণ সম্ভাবনা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৬২৫ ভাগের ১ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে পৃথিবীকে প্রভাবিত করার। তবে মহাজাগতিক হিসেবে এটিও অত্যন্ত গুরুতর। নাসার কক্ষপথ বিশ্লেষকরা বলছেন, তারা গ্রহাণুটিকে আরও পর্যবেক্ষণ করবেন। বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, ০.২ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত করবে। তবে শিগগিরই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। জেরুজালেম পোস্টের সাথে কথা বলার সময় চিলিতে বসবাসরত একজন প্রবীণ ফরাসি জ্যোতির্বিদ ডক্টর অ্যালাইন মৌরি বলেন, বেশিরভাগ গ্রহাণু আবিষ্কার হয় বড় টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। এগুলোর আকৃতি হয় ১ থেকে ৮ মিটার। তবে ২০২৩ ডিডব্লিউ আবিষ্কারে ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র ২০ সেন্টিমিটারের একটি টেলিস্কোপ। এই গ্রহাণু অনুসন্ধান দলের সদস্য মৌরি। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে উচ্চ সংবেদনশীল ক্যামেরা আছে। তা দিয়েই আমরা গ্রহাণুটিকে শনাক্ত করতে পারি। অন্যান্যরা এখনও ১৯৯০ দশকের সফটওয়্যার ব্যবহার করে অথচ আমাদের সফটওয়্যার ২০২১ সালে তৈরি। আমাদের সনাক্তকরণের হারও ভাল। সূত্র : মানবজমিন

সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

২০৪৬ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এই গ্রহাণু

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  : নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস সম্প্রতি মহাকাশে একটি গ্রহাণু খুঁজে পেয়েছে যেটি ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। হিসাব বলছে, ২০৪৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন্স ডে’র দিন এটি পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এসময় পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই গ্রহাণুটির। বাস্তবে এ সম্ভাবনা সামান্য হলেও, মহাজাগতিক হিসেবে সংঘর্ষ হওয়ার ঝুঁকি ‘সর্বাধিক’। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট। খবরে বলা হয়েছে, ওই গ্রহাণুর নাম দেয়া হয়েছে ২০২৩ ডিডব্লিউ। গ্রহাণুটি ১৬২ ফুট চওড়া। ২৭টি বড় আকৃতির পান্ডার সমান গ্রহাণুটি বর্তমানে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ২৭১ দিন সময় নেয়। বর্তমানে টরিনো স্কেলে ১০-এর মধ্যে মাত্র ১ নম্বর পেয়েছে এই গ্রহাণু। এই স্কেলের মাধ্যমে পৃথিবীর সঙ্গে কোনও গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা মাপা হয়।

১০-এ ১০ মানে সংঘর্ষ হবেই। আর ১০-এ ১ মানে খুবই ক্ষীণ সম্ভাবনা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৬২৫ ভাগের ১ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে পৃথিবীকে প্রভাবিত করার। তবে মহাজাগতিক হিসেবে এটিও অত্যন্ত গুরুতর। নাসার কক্ষপথ বিশ্লেষকরা বলছেন, তারা গ্রহাণুটিকে আরও পর্যবেক্ষণ করবেন। বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, ০.২ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত করবে। তবে শিগগিরই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। জেরুজালেম পোস্টের সাথে কথা বলার সময় চিলিতে বসবাসরত একজন প্রবীণ ফরাসি জ্যোতির্বিদ ডক্টর অ্যালাইন মৌরি বলেন, বেশিরভাগ গ্রহাণু আবিষ্কার হয় বড় টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। এগুলোর আকৃতি হয় ১ থেকে ৮ মিটার। তবে ২০২৩ ডিডব্লিউ আবিষ্কারে ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র ২০ সেন্টিমিটারের একটি টেলিস্কোপ। এই গ্রহাণু অনুসন্ধান দলের সদস্য মৌরি। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে উচ্চ সংবেদনশীল ক্যামেরা আছে। তা দিয়েই আমরা গ্রহাণুটিকে শনাক্ত করতে পারি। অন্যান্যরা এখনও ১৯৯০ দশকের সফটওয়্যার ব্যবহার করে অথচ আমাদের সফটওয়্যার ২০২১ সালে তৈরি। আমাদের সনাক্তকরণের হারও ভাল। সূত্র : মানবজমিন

সুমি/হককথা