নিউইয়র্ক ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সূর্যের বলয় ‘করোনা’য় নাসার যান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৮৬ বার পঠিত

সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার যান পার্কার। এর ফলে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্র নিয়ে বহু তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে রওনা হয়েছিল সৌরযান পার্কার। সূর্যের সবচেয়ে কাছে তা পৌঁছে গেছে বলে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসা বলেছে, এর আগে সূর্যের এত কাছে কোনও যান পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে পার্কার।

সূর্যের বলয়ের নাম করোনা। প্রচণ্ড উত্তাপ সেখানে। তবে এই এলাকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রবল। চৌম্বক ক্ষমতাও তীব্র। এতটাই ক্ষমতা ওই দুই শক্তির, যে তা সৌরপদার্থকে ওই বহিরাবরণ পেরিয়ে বার হতে দেয় না। নিরাপদে থাকে সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্কার যেখানে পৌঁছেছিল সেখানে উত্তাপ দুই মিলিয়ন কেলভিন। অর্থাৎ, ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৬ দশমিক আট পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই উত্তাপে সেকেন্ডে একশ কিলোমিটার বেগে করোনার ভিতর তথ্য সংগ্রহ করেছে পার্কার।

গত এপ্রিল মাসে পার্কার প্রথম সেখানে পৌঁছাতে পেরেছিল বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। সেই সময় পার্কার যে তথ্য সংগ্রহ করেছিল, এতদিনে তা বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, এর মধ্যে অন্তত তিনবার সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকেছে পার্কার। সব মিলিয়ে ১০ বার সূর্যের বলয়ে যানটি প্রবেশ করবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্কার তার অন্বেষণ চালিয়ে যাবে।

সূর্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে পার্কারের এই কাজ অভূতপূর্ব। এর আগে কোনও যান সূর্যের এত কাছে পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিষয়ে এত তথ্যও এর আগে বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। কীভাবে সূর্য গোটা সৌরমণ্ডলকে চালিত করে, সে বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পার্কারের তথ্য থেকে মিলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। -ডয়চে ভেলে

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সূর্যের বলয় ‘করোনা’য় নাসার যান

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার যান পার্কার। এর ফলে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্র নিয়ে বহু তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে রওনা হয়েছিল সৌরযান পার্কার। সূর্যের সবচেয়ে কাছে তা পৌঁছে গেছে বলে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসা বলেছে, এর আগে সূর্যের এত কাছে কোনও যান পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে পার্কার।

সূর্যের বলয়ের নাম করোনা। প্রচণ্ড উত্তাপ সেখানে। তবে এই এলাকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রবল। চৌম্বক ক্ষমতাও তীব্র। এতটাই ক্ষমতা ওই দুই শক্তির, যে তা সৌরপদার্থকে ওই বহিরাবরণ পেরিয়ে বার হতে দেয় না। নিরাপদে থাকে সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্কার যেখানে পৌঁছেছিল সেখানে উত্তাপ দুই মিলিয়ন কেলভিন। অর্থাৎ, ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৬ দশমিক আট পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই উত্তাপে সেকেন্ডে একশ কিলোমিটার বেগে করোনার ভিতর তথ্য সংগ্রহ করেছে পার্কার।

গত এপ্রিল মাসে পার্কার প্রথম সেখানে পৌঁছাতে পেরেছিল বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। সেই সময় পার্কার যে তথ্য সংগ্রহ করেছিল, এতদিনে তা বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, এর মধ্যে অন্তত তিনবার সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকেছে পার্কার। সব মিলিয়ে ১০ বার সূর্যের বলয়ে যানটি প্রবেশ করবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্কার তার অন্বেষণ চালিয়ে যাবে।

সূর্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে পার্কারের এই কাজ অভূতপূর্ব। এর আগে কোনও যান সূর্যের এত কাছে পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিষয়ে এত তথ্যও এর আগে বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। কীভাবে সূর্য গোটা সৌরমণ্ডলকে চালিত করে, সে বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পার্কারের তথ্য থেকে মিলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। -ডয়চে ভেলে