নিউইয়র্ক ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বরখাস্ত হলেন ওপেনএআইয়ের সিইও

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

স্যাম আল্টম্যান। ছবি: সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক : কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি, ড্যাল-ই ৩, জিপিটি-৪ এর মতো বিশ্বখ্যাত চ্যাটবটগুলোর উদ্ভাবক হলো এই ওপেনএআই। বরখাস্ত হওয়ায় ওপেনএআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পদও ছাড়তে হবে স্যাম আল্টম্যানকে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআই বোর্ড তাকে অপসারিত করেছে বলে জানা গেছে। তার এই পদত্যাগের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে। মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ প্রাপ্ত সংস্থার বোর্ডটি স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেয়ার পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অল্টম্যানের ওপর আর ভরসা করা যাচ্ছে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সংস্থার পর্যালোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে, বোর্ডের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন না স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআইয়ের বিকাশে স্যাম অল্টম্যানের অবদান স্মরণ করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের সিইওর দায়িত্ব পালন করবেন।

মাইক্রোসফট সহায়তায় তৈরি এই সংস্থা আর অল্টম্যানের ওপরে আস্থা রাখতে পারছেন না অভিযোগ করেই বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৩৮ বছর বয়সেই এই সংস্থার সিইও পদে বসে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন অল্টম্যান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের মাধ্যমে চ্যাটবক্স তৈরি করে গোটা বিশ্বের ক্রিয়েটিভিটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন।

এদিকে অল্টম্যানকে সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর চ্যাটজিপিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পদত্যাগের পর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গ্রেগ লেখেন, ‘আট বছর আগে আমার ফ্ল্যাট থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা যা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। একসঙ্গে আমরা অনেক কঠিন এবং ভালো সময় কাটিয়েছি। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি বলেই সাফল্য পেয়েছি। তা না হলে এটা অসম্ভব হব। তবে আজ যা খবর শুনলাম, তার পর আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বরখাস্ত হলেন ওপেনএআইয়ের সিইও

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা গবেষণা সংস্থা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি, ড্যাল-ই ৩, জিপিটি-৪ এর মতো বিশ্বখ্যাত চ্যাটবটগুলোর উদ্ভাবক হলো এই ওপেনএআই। বরখাস্ত হওয়ায় ওপেনএআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পদও ছাড়তে হবে স্যাম আল্টম্যানকে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআই বোর্ড তাকে অপসারিত করেছে বলে জানা গেছে। তার এই পদত্যাগের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে। মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ প্রাপ্ত সংস্থার বোর্ডটি স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেয়ার পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অল্টম্যানের ওপর আর ভরসা করা যাচ্ছে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সংস্থার পর্যালোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে, বোর্ডের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন না স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআইয়ের বিকাশে স্যাম অল্টম্যানের অবদান স্মরণ করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের সিইওর দায়িত্ব পালন করবেন।

মাইক্রোসফট সহায়তায় তৈরি এই সংস্থা আর অল্টম্যানের ওপরে আস্থা রাখতে পারছেন না অভিযোগ করেই বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৩৮ বছর বয়সেই এই সংস্থার সিইও পদে বসে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন অল্টম্যান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের মাধ্যমে চ্যাটবক্স তৈরি করে গোটা বিশ্বের ক্রিয়েটিভিটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন।

এদিকে অল্টম্যানকে সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর চ্যাটজিপিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পদত্যাগের পর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গ্রেগ লেখেন, ‘আট বছর আগে আমার ফ্ল্যাট থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা যা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। একসঙ্গে আমরা অনেক কঠিন এবং ভালো সময় কাটিয়েছি। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি বলেই সাফল্য পেয়েছি। তা না হলে এটা অসম্ভব হব। তবে আজ যা খবর শুনলাম, তার পর আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

হককথা/নাছরিন