নিউইয়র্ক ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টুইটার ছেড়ে কেন সবাই মাস্টোডন-এ যাচ্ছেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৯ বার পঠিত

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর থেকেই নানা নতুন নিয়মের কারণে অনেক ব্যবহারকারীরা ছেড়ে দিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীরা যাচ্ছেন অন্য প্ল্যাটফর্মে। এখন মনে হতে পারে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীরা যাচ্ছেন। কিন্তু না, ব্যবহারকারীরা যুক্ত হচ্ছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্মে। আর এতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্ল্যাটফর্মটি।

প্ল্যাটফর্মটির নাম ‘মাস্টোডন’। এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে মোট ব্যবহারকারী ৬ লাখ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী। প্ল্যাটফর্মটির ছয় বছরের পথ চলায় এবারেই প্রথম এত ব্যবহারকারী যুক্ত হলেন।

মাস্টোডন দেখতে অনেকটা টুইটার অ্যাকাউন্টের মতোই। এর সার্ফেসে ব্যবহারকারীরা যেকোনো পোস্টে লাইক, কমেন্ট, অন্যকে অনুসরণ করাসহ পোস্ট ও রিপোস্ট করতে পারেন।

২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হলেও মাস্টোডনের নাম অপরিচিতই ছিল এত দিন। প্ল্যাটফর্মটির ছয় বছরের পথ চলায় এবারই প্রথম এত ব্যবহারকারী যুক্ত হলেন। ফলে নতুন ব্যবহারকারীদের শুভেচ্ছা জানাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তারা। এ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে একটি সার্ভার পছন্দ করে নিতে হয়। পছন্দ করা সার্ভারের ওপর ভিত্তি করে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তারপর ব্যবহারকারী তাঁদের পছন্দগুলো জানান। সেই পছন্দের ওপর ভিত্তি করে সার্ফেসে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শিত হয়।

কোনোকিছু পোস্ট করাকে মাস্টোডনে ‘টুট’ বলে। প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারী যে কাউকে অনুসরণ এবং অন্যরাও তাঁকে অনুসরণ করতে পারবেন। ব্যবহারকারী তাঁর পছন্দ ও অপছন্দ জানাতে পারবেন। ফলে খুব সহজেই একটি কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায় বলে ব্যবহারকারীদের জানিয়েছেন।

মাস্টোডনের ইউজার ইন্টারফেস অনেকটাই টুইটারের মতো। তবে এ প্ল্যাটফর্ম টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মতো একটি মাত্র কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয় না, এটি পরিচালনা করে বিভিন্ন গ্রুপ বা ব্যক্তি। মাস্টোডন একদিকে যেমন সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়, অন্যদিকে এতে কোনো বিজ্ঞাপন নেই।

মাস্টোডনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রোচকো। নামটি দেওয়া হয়েছে হেভি মেটাল ব্যান্ড মাস্টোডনের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। এটি ক্রাউডফান্ডিংয়ে (মানুষের চাঁদায়) চলে।গত বৃহস্পতিবার রোচকো বলেন, গত ২৭ অক্টোবরের পর মাস্টোডনের ব্যবহারকারী ২ লাখ ৩০ হাজার বেড়েছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৫ হাজার।

এদিকে এ বছরের জুলাইয়ে টুইটারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলেন প্রায় ২৩৮ মিলিয়ন। রোচকো মাস্টোডনকে মূলত প্রকল্প হিসেবেই বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, এটি টুইটারের মতো বড় নয়, তবে সম্প্রতি নেটওয়ার্কটির রেকর্ড সম্প্রসারিত হয়েছে।

টুইটার ছেড়ে অনেক বড় বড় তারকা যোগ দিয়েছেন মাস্টোডনে। নভেম্বরের শুরুতেই টুইটার ছেড়ে মাস্টোডনে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কৌতুক অভিনেতা ক্যাথি গ্রিফিন। অক্টোবরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মলি জং-ফাস্ট। দুজনেরই টুইটারের বিপুলসংখ্যক অনুসারী ছিলেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

টুইটার ছেড়ে কেন সবাই মাস্টোডন-এ যাচ্ছেন

প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর থেকেই নানা নতুন নিয়মের কারণে অনেক ব্যবহারকারীরা ছেড়ে দিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীরা যাচ্ছেন অন্য প্ল্যাটফর্মে। এখন মনে হতে পারে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীরা যাচ্ছেন। কিন্তু না, ব্যবহারকারীরা যুক্ত হচ্ছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্মে। আর এতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্ল্যাটফর্মটি।

প্ল্যাটফর্মটির নাম ‘মাস্টোডন’। এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে মোট ব্যবহারকারী ৬ লাখ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী। প্ল্যাটফর্মটির ছয় বছরের পথ চলায় এবারেই প্রথম এত ব্যবহারকারী যুক্ত হলেন।

মাস্টোডন দেখতে অনেকটা টুইটার অ্যাকাউন্টের মতোই। এর সার্ফেসে ব্যবহারকারীরা যেকোনো পোস্টে লাইক, কমেন্ট, অন্যকে অনুসরণ করাসহ পোস্ট ও রিপোস্ট করতে পারেন।

২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হলেও মাস্টোডনের নাম অপরিচিতই ছিল এত দিন। প্ল্যাটফর্মটির ছয় বছরের পথ চলায় এবারই প্রথম এত ব্যবহারকারী যুক্ত হলেন। ফলে নতুন ব্যবহারকারীদের শুভেচ্ছা জানাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তারা। এ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে একটি সার্ভার পছন্দ করে নিতে হয়। পছন্দ করা সার্ভারের ওপর ভিত্তি করে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তারপর ব্যবহারকারী তাঁদের পছন্দগুলো জানান। সেই পছন্দের ওপর ভিত্তি করে সার্ফেসে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শিত হয়।

কোনোকিছু পোস্ট করাকে মাস্টোডনে ‘টুট’ বলে। প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারী যে কাউকে অনুসরণ এবং অন্যরাও তাঁকে অনুসরণ করতে পারবেন। ব্যবহারকারী তাঁর পছন্দ ও অপছন্দ জানাতে পারবেন। ফলে খুব সহজেই একটি কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায় বলে ব্যবহারকারীদের জানিয়েছেন।

মাস্টোডনের ইউজার ইন্টারফেস অনেকটাই টুইটারের মতো। তবে এ প্ল্যাটফর্ম টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মতো একটি মাত্র কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয় না, এটি পরিচালনা করে বিভিন্ন গ্রুপ বা ব্যক্তি। মাস্টোডন একদিকে যেমন সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়, অন্যদিকে এতে কোনো বিজ্ঞাপন নেই।

মাস্টোডনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রোচকো। নামটি দেওয়া হয়েছে হেভি মেটাল ব্যান্ড মাস্টোডনের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। এটি ক্রাউডফান্ডিংয়ে (মানুষের চাঁদায়) চলে।গত বৃহস্পতিবার রোচকো বলেন, গত ২৭ অক্টোবরের পর মাস্টোডনের ব্যবহারকারী ২ লাখ ৩০ হাজার বেড়েছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৫ হাজার।

এদিকে এ বছরের জুলাইয়ে টুইটারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলেন প্রায় ২৩৮ মিলিয়ন। রোচকো মাস্টোডনকে মূলত প্রকল্প হিসেবেই বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, এটি টুইটারের মতো বড় নয়, তবে সম্প্রতি নেটওয়ার্কটির রেকর্ড সম্প্রসারিত হয়েছে।

টুইটার ছেড়ে অনেক বড় বড় তারকা যোগ দিয়েছেন মাস্টোডনে। নভেম্বরের শুরুতেই টুইটার ছেড়ে মাস্টোডনে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কৌতুক অভিনেতা ক্যাথি গ্রিফিন। অক্টোবরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মলি জং-ফাস্ট। দুজনেরই টুইটারের বিপুলসংখ্যক অনুসারী ছিলেন।