নিউইয়র্ক ১০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টুইটারের চাকরিচ্যুতদের কাছে ক্ষমা চাইলেন জ্যাক ডরসি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১ বার পঠিত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও এই কোম্পানির প্রথম শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডরসি সম্প্রতি চাকরিচ্যুত কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বর্তমান অবস্থার জন্য নিজের দায়ও স্বীকার করেছেন তিনি।

রোববার এক টু্ইটবার্তায় ডরসি বলেন, ‘টুইটারকর্মীরা বরাবরই দৃঢ় ও প্রাণবন্ত। অতীতেও তারা এমন ছিলেন, বর্তমানেও তাই। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, নিজেদের টিকিয়ে রাখতে তারা কোনো না কোনো উপায় তারা ঠিক বের করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস আছে।’

‘আমি বুঝতে পারছি, (টুইটারকর্মীদের) অনেকেই আমার ওপর ক্ষুব্ধ। আমি স্বীকার করছি, বর্তমানে তারা যে পরিস্থিতিতে পড়েছেন–তাতে আমার দায় রয়েছে। আমি খুব দ্রুত কোম্পানির আকার বড় করার নীতি নিয়েছিলাম। সেজন্য তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

প্রায় ছয় মাস নানা নাটকীয়তার পর গত ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। সে সময় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরমটির কর্মীসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন।

মালিকানা নেওয়ার পরপরই টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়ালকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেন তিনি। তারপর শুরু করেন গণছাঁটাই। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন মাস্ক।

কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ না দিয়ে এই গণছাঁটাইয়ের জন্য ইতোমধ্যে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।

তবে ইলন মাস্কের ভাষ্য, কোম্পানি টানা লোকসানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল; এবং এই লোকসান থেকে টুইটারকে উদ্ধারে গণছাঁটাই ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।

রোববারের টুইটবার্তায় ডরসি বলেন, ‘টুইটারে যারা আমার সহকর্মী ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, সবার জন্যই আমার মনে ভালবাসা রয়েছে। কখনও ভাবতে পারিনি, এমন অবস্থা দেখতে হবে আমাকে।’

গত শুক্রবার কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়— টুইটারের চাকরিচ্যুত অনেক কর্মী তাদের বর্তমান অবস্থার জন্য সাবেক শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডরসিকে দায়ী করেছেন। ওই কর্মীদের ভাষ্য, জ্যাক নিজের ক্যারিয়ারের ব্যাপারে আর একটু মনযোগী হতেন—তাহলে তাকেও টুইটার ছাড়তে হতো না, কর্মীরাও এমন অবস্থায় পড়তেন না।

পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই এই টুইটবার্তা দিলেন জ্যাক।

জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টেন এবং ইভান উইলিয়ামস— এই চারজন ২০০৬ সালে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন জ্যাক। ১৫ বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে পরাগ আগারওয়ালের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে টুইটার থেকে সরে যান তিনি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

টুইটারের চাকরিচ্যুতদের কাছে ক্ষমা চাইলেন জ্যাক ডরসি

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও এই কোম্পানির প্রথম শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডরসি সম্প্রতি চাকরিচ্যুত কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বর্তমান অবস্থার জন্য নিজের দায়ও স্বীকার করেছেন তিনি।

রোববার এক টু্ইটবার্তায় ডরসি বলেন, ‘টুইটারকর্মীরা বরাবরই দৃঢ় ও প্রাণবন্ত। অতীতেও তারা এমন ছিলেন, বর্তমানেও তাই। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, নিজেদের টিকিয়ে রাখতে তারা কোনো না কোনো উপায় তারা ঠিক বের করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস আছে।’

‘আমি বুঝতে পারছি, (টুইটারকর্মীদের) অনেকেই আমার ওপর ক্ষুব্ধ। আমি স্বীকার করছি, বর্তমানে তারা যে পরিস্থিতিতে পড়েছেন–তাতে আমার দায় রয়েছে। আমি খুব দ্রুত কোম্পানির আকার বড় করার নীতি নিয়েছিলাম। সেজন্য তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

প্রায় ছয় মাস নানা নাটকীয়তার পর গত ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। সে সময় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরমটির কর্মীসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন।

মালিকানা নেওয়ার পরপরই টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়ালকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেন তিনি। তারপর শুরু করেন গণছাঁটাই। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন মাস্ক।

কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ না দিয়ে এই গণছাঁটাইয়ের জন্য ইতোমধ্যে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।

তবে ইলন মাস্কের ভাষ্য, কোম্পানি টানা লোকসানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল; এবং এই লোকসান থেকে টুইটারকে উদ্ধারে গণছাঁটাই ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।

রোববারের টুইটবার্তায় ডরসি বলেন, ‘টুইটারে যারা আমার সহকর্মী ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, সবার জন্যই আমার মনে ভালবাসা রয়েছে। কখনও ভাবতে পারিনি, এমন অবস্থা দেখতে হবে আমাকে।’

গত শুক্রবার কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়— টুইটারের চাকরিচ্যুত অনেক কর্মী তাদের বর্তমান অবস্থার জন্য সাবেক শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডরসিকে দায়ী করেছেন। ওই কর্মীদের ভাষ্য, জ্যাক নিজের ক্যারিয়ারের ব্যাপারে আর একটু মনযোগী হতেন—তাহলে তাকেও টুইটার ছাড়তে হতো না, কর্মীরাও এমন অবস্থায় পড়তেন না।

পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই এই টুইটবার্তা দিলেন জ্যাক।

জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টেন এবং ইভান উইলিয়ামস— এই চারজন ২০০৬ সালে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন জ্যাক। ১৫ বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে পরাগ আগারওয়ালের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে টুইটার থেকে সরে যান তিনি।