জীবাশ্ম দেখে হতবাক গবেষকরা, পাখি নাকি ডাইনোসর?
- প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / ২৯ বার পঠিত
ডাইনোসর থেকে বিবর্তন হয়ে পাখিদের উৎপত্তি, এতদিন এটাই মনে করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সের প্যালিওন্টোলজিস্টরা এখনও এই বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন। ১২০-মিলিয়ন বছরের পুরানো একটি জীবাশ্ম বিতর্ককে আরো উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত এই জীবাশ্মটিতে একটি ডাইনোসরের মতো মাথা এবং একটি পাখির মতো শরীর রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই জীবাশ্মটির নাম ‘ক্র্যাটোনাভিস ঝুই’। এই মাসে নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় নথিভুক্ত করা হয়েছে যে, জীবাশ্মটির দেহটি পাখির মতো, অথচ এর মাথার খুলিটি ডাইনোসরের মতো। কারণ আশ্চর্যজনকভাবে এতে দীর্ঘায়িত” স্ক্যাপুলা এবং প্রথম মেটাটারসাল হাড় লক্ষ্য করা গেছে, যা এটিকে পাখির প্রজাতি থেকে আলাদা করে তোলে। বিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করলে দেখা যাবে, ক্র্যাটোনাভিস সরীসৃপের মতো ডাইনোসর আর্কিওপ্টেরিক্স এবং অর্নিথোথোরেসের মধ্যে কোথাও অবস্থান করে। আধুনিক পাখিদের মধ্যে আমরা অর্নিথোথোরেসের অনেক বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই। পাথরের মধ্যে থেকে জীবাশ্মটি অধ্যয়ন করার জন্য, গবেষকরা প্রথমে উচ্চ-রেজোলিউশন সিটি স্ক্যানিং ব্যবহার করেছিলেন।
পরে, তারা ডিজিটাল পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জীবাশ্ম থেকে হাড়গুলি সরিয়ে দেন এবং মাথার খুলির আসল আকার এবং কার্যকারিতা পুনর্গঠন করেন। লক্ষ্য করা গেছে যে জীবাশ্মের মাথার খুলিটি পাখির মতো না, পরিবর্তে এটি T.rex- ডাইনোসরের মতো প্রায় একই রকম। ক্র্যাটোনাভিসের মাথার খুলি এবং নীচের চোয়াল জোড়া ছিলো, তারা এটি আলাদাভাবে নাড়তে পারতো না। গবেষণার সহ-প্রধান লেখক লি ঝিহেং বলেছেন -” ‘জীবাশ্মর মাথার খুলি দেখে বোঝা যায় যে ক্র্যাটোনাভিসের মতো বেশিরভাগ ক্রিটাসিয়াস পাখি ব্রেনকেস এবং নীচের চোয়াল স্বাধীনভাবে সরাতে পারে না ” লি মনে করেন এটি একটি কার্যকরী উদ্ভাবন যা জীবিত পাখিদের মধ্যে তাদের বিশাল পরিবেশগত বৈচিত্র্যের জন্য অবদান রাখে। সহ-প্রধান লেখক ওয়াং মিনের মতে, স্ক্যাপুলার (কাঁধের হাড়) অদ্ভুত প্রকৃতি প্রজাতিটিকে তার ডানা আরও ভালভাবে ঘোরানোর সুযোগ করে দেয়, কারণ এদের ওড়ার ক্ষমতা খুব একটা ছিল না।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস