ঢাকা ডেস্ক : গুগলের প্রত্যেক ব্যবহারকারী জি-মেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোজ ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে ১৫ গিগাবাইট জায়গা পেয়ে থাকে। এর বেশি প্রয়োজন হলে প্রিমিয়াম সেবা গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে মাসে ১৫০ টাকা বা বছরে ১৬০০ টাকা খরচ করে ১০০ গিগাবাইট স্টোরেজ কেনার সুযোগ আছে। ২০০ গিগাবাইটের জন্য মাসে ২৫০ টাকা বা বছরে ২৫০০ টাকা এবং ২ টেরাবাইট প্রিমিয়াম প্যাকের জন্য মাসে ৮০০ টাকা বা বছরে ৮ হাজার ১০০ টাকা খরচ হবে।খবর সাম্প্রতিক দেশকাল
গুগলের এই স্টোরেজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় অনেককে। স্টোরেজ কেনাও সম্ভব হয় না সবসময়। এক্ষেত্রে যেটুকু স্টোরেজ আছে সেটুকুকেই সাশ্রয়ী করে ব্যবহার করতে হবে।
শুরুতেই, আপনার ড্রাইভে কি কি আছে আর সেগুলোর কোনটি কতটুকু জায়গা দখল করে আছে তা দেখে নিতে হবে। দেখতে, গুগল ড্রাইভে লগইন করে ‘স্টোরেজ’ অপশনে যেতে হবে। সেখানে বামপাশে আপনার ফাইলের নাম আর ডানপাশে সেই ফাইলের দখলকৃত জায়গার পরিমাণ দেখতে পাবেন। এখান থেকে বেশি পরিমাণে জায়গা দখল করা ফাইলগুলো মুছে ফেলুন। তবে, নিশ্চিত হয়ে নিন যে সেগুলো আপনার ভবিষ্যতে আর প্রয়োজন নেই।
আমরা প্রায়ই ভুলক্রমে গুগল ড্রাইভে একই ফাইল একাধিকবার আপলোড করে থাকি। আপনিও একই ফাইল একাধিকবার আপলোড করে থাকতে পারেন। কোনো ফাইল দুই বার বা তারও অধিক বার রয়েছে কি-না দেখে নিন। যদি থাকে, তবে একটি রেখে বাকিগুলো মুছে ফেলুন।
আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই গুগল ড্রাইভ থেকে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলেছেন; কিন্তু সেগুলো এখনো গুগল ড্রাইভেই রয়েছে। আপনার মুছে ফেলা সকল ফাইল গিয়ে জমা হয়ে আছে ‘ট্র্যাশ’ ফোল্ডারে যা আপনার অজান্তেই ড্রাইভের জায়গা দখল করে আছে। সুতরাং, ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে সবকিছু মুছে ফেলুন, অর্থাৎ এই ফোল্ডারটিকে শূন্য করে দিন।
আপনার গুগল ড্রাইভ স্টোরেজের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপগুলোতে কখনো কখনো লুকানো ডেটা থাকতে পারে, তবে এটি অপসারণ করতে কেবল কয়েকটি ক্লিক প্রয়োজন। ড্রাইভের ওপরের-ডান কোনে গিয়ার-আকৃতির আইকনে ক্লিক করুন এবং ‘সেটিংস’ নির্বাচন করুন, তারপরে ‘ম্যানেজ অ্যাপস’ এ যান। যেসব অ্যাপের ব্যাপারে লুকানো তথ্য সম্পর্কে নোট রয়েছে সেগুলোর ডানদিকে ধূসর ‘অপশনস’ বাক্সে ক্লিক করুন এবং ‘লুকানো অ্যাপ ডেটা মুছুন’ নির্বাচন করুন।
আপনি যদি ফটোগুলো তাদের আসল আকারে সংরক্ষণ করে থাকেন, তাহলে গুগলের ‘স্টোরেজ সেভার’ অপশন ব্যবহার করে অনেক জায়গা খালি করতে পারেন। এটি ছবিগুলোকে ১৬ মেগাপিক্সেলে এবং ভিডিওগুলোকে ১০৮০ পিক্সেলে সংকুচিত করে। এতে সাধারণ চোখে মূল ফাইলের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য চোখে পড়বে না, আবার অনেক জায়গা খালি হবে। প্রথমেই, ফটো সেটিংস পৃষ্ঠায় যান এবং ‘স্টোরেজ সেভার’ নির্বাচন করুন। ফটো সেটিং পৃষ্ঠায় ‘রিকভার স্টোরেজ’ বোতামটি সন্ধান করুন, যা আপনার বিদ্যমান ভিডিও এবং ফটোগুলো (সবগুলো নয়) সংকুচিত করবে।
জি-মেইলে থাকা ইমেইলগুলো খুব বেশি জায়গা দখল করে না। তবে অনেক ই-মেইলের সঙ্গে থাকা অ্যাটাচমেন্ট অনেক জায়গা নিতে পারে, যার সবকিছু হয়তো আপনার প্রয়োজন নেই। এর থেকে বাঁচতে জি-মেইল ওয়েবসাইটে যান এবং ওপরের সার্চ বক্সে ‘has : attachment large : 10M’ টাইপ করুন। যেগুলো মুছে ফেলা সম্ভব সেগুলো শনাক্ত করুন এবং মুছুন। এবার আপনার স্প্যাম ফোল্ডারটি খুলুন এবং ‘ডিলেট অল স্প্যাম মেসেজ নাউ’ লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। এতে গুগল স্টোরেজ যেমন বাড়বে তেমনি গুগল অ্যাকাউন্টটি নিরাপদে থাকবে।
হককথা /এমউএ